লি: 'স্বেচ্ছাসেবক' এই বিশেষ খাত প্রসঙ্গে চেং থাও বলেন, এতে তিনি অনেক লাভবান হয়েছেন এবং এই কাজ তিনি চালিয়ে যেতে চান। তিনি বলেন,
টু: 'সহজভাবে বলা যায়, আমার ভাষা অনেক উন্নত হয়েছে। চলচ্চিত্র বর্ণনা হচ্ছে গল্প বলার মতো। অব্যাহতভাবে কোনো কাজ করা মাঝেমাঝে একটি সহজ ব্যাপার নয়। দশ বছর ধরে আমি স্বেচ্ছাসেবকের কাজ করছি। যা আমার জন্য এক ধরনের চ্যালেঞ্জ'।
লি: অন্ধ দর্শকরা আজ চেং থাওয়ের চলচ্চিত্র বর্ণনা নিয়ে অনেক খুশি। চলচ্চিত্র শেষে সবার স্বত:স্ফূর্ত হাততালিতেই তাদের খুশি প্রমাণিত হয়।
টু: হুয়াং থিয়েন খুও চীনের তাইওয়ানের একজন তরুণ, তিনি অনেক প্রাণবন্ত, দয়ালু ও পরিশ্রমী। মূক-বধির মানুষদের প্রতি তার সমবেদনা গভীর। তিনি একজন মূক-বধিরকে ভালোবাসেন। তাঁদের দু'জনের ভালোবাসা হুয়াং থিয়েন খুওয়ের পরিবারের সদস্যদেরকে মুগ্ধও করেছে। অবশেষে হুয়াং থিয়েন খুও বুঝতে পারেন, যে মেয়েকে তিনি ভালোবাসে, সেই মেয়ে আসলে মূক-বধির নয়। মেয়ের বড় বোন মূক-বধির।তিনি সবসময় বড় বোনের সঙ্গে সাংকেতিক ভাষায় কথা বলেন। তাই হুয়াং থিয়েন খুও আগে মনে করতেন, তিনি একজন মূক-বধির।
লি: উ তিয়েন চোং নামের একজন অন্ধ দর্শক সত্যিকারভাবে যে চলচ্চিত্রের কাহিনী বুঝতে পেরেছেন, তা প্রমাণের জন্য তিনি বলেন, তিনি সিনমু সিনেমা হলের একজন নিয়মিত ও ভক্ত দর্শক। ২০০৪ সাল থেকে প্রত্যেক শনিবার সকালে তিনি এখানে আসেন।
টু: সিয়া ইউ ফোং নামের আরেকজন অন্ধ দর্শক প্রতি শনিবার স্বামীর সঙ্গে এখানে চলচ্চিত্র দেখেন। তার স্বামী অন্ধ। তিনি বলেন, চলচ্চিত্র দেখা এবং স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তার অনেক পরিবর্তন হয়েছ। তিনি বলেন,
লি: 'চলচ্চিত্র ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে আমার সবচেয়ে বড় অনুভূতি হলো, আমার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। আগে আমি বাইরে যেতে চাইতাম না এবং অন্যদের সঙ্গে আড্ডা দিতে চাইতাম না। কারণ আমরা অন্ধ মানুষ। এখন আমি বুঝতে পারি, স্বেচ্ছাসেবকরা আমাদের সাহায্য করেন। বাইরে ঘুরে বেড়ানো আমার দারুণ আনন্দের একটি ব্যাপার। যারা আমার পরিচিত, তারা সবাই বলেন, আমি একজন নতুন লোকে পরিণত হয়েছি'।