

সুরকার লিন হাই
১৯৬৯ সালের জানুয়ারি মাসে লিন হাই চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের চিচিয়াং আনহাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৮৮ সালে তিনি কেন্দ্রীয় সংগীত ইনস্টিটিউটে পিয়ানো বাজানো শেখেন। ১৯৮৯ সালে তিনি অষ্টম ভান ক্লেবুর্ন আন্তর্জাতিক পিয়ানো প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং সেরা দশজন বাদকের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে তিনি তাইওয়ানের বিখ্যাত সুরকার ফান জোং ফেইয়ের সঙ্গে যৌথভাবে মিউজিক গেট নামে একটি সংগীত স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। তারপর ১৯৯৮ সালে লিন হাই নিজেই নতুন একটি সংগীত স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন।
বন্ধুরা, শুনুন লিন হাইয়ের তৈরি করা অপূর্ব একটি সুর 'ঘূর্ণিজল'।
বহু বছর ধরে তিনি জনসাধারণের দৃষ্টির বাইরে থেকে মনযোগ দিয়ে সংগীত সৃষ্টি করেছেন। তিনি এই সুর সৃষ্টির মাধ্যমে চীনের সংগীত জগতে এক নতুন যুগের সূচনা করার পাশাপাশি চীনে অনেক সুর অনুরাগী তৈরি করেছেন।
কিন্তু নতুন যুগের সংগীত বলতে আসলে কী বোঝায়? আমি একটু ব্যাখ্যা করছি।
গত শতাব্দীর ৬০'র দশকের শেষ দিকে, কিছু জার্মান সুরকার বাদ্যযন্ত্র বাজানোর সময় ইলেকট্রনিক সংশ্লেষকের ধ্বনি মেশানোর চেষ্টা করেন। এ সুরগুলো পপ সংগীত নয়, আবার ক্লাসিক্যাল সংগীতও নয়। সাধারণত এ সংগীত ধ্যান, চিকিত্সা ও বিনোদনের সঙ্গে সম্পর্কৃত। পরিবর্তন হচ্ছে এ সংগীতের মর্মকথা। এ সংগীত কখনো কোনো স্থানের প্রধান চরিত্র হয় না। আপনি কারো সাথে গল্প করার সময় হয়তো এ সুরকে লক্ষ্য করবেন না। তবে এ সুরটি যখন বাজবে তখন আপনি মনের ভেতর আরাম ও আনন্দবোধ করবেন। যখন চারদিক নীরব হয়ে থাকে, তখন এ সুরের কোন এক ছন্দ আপনার কানে আসে; সে সময় আপনার মন স্পর্শ করে এই কোমল সুরটি। আর এখানেই এই সুরের সফলতা।
বন্ধুরা, শুনুন লিন হাইয়ের নতুন যুগের সংগীতের প্রতিনিধিত্বকারী কাজ 'পুরনো নগরের গল্প' নামের একটি সুর।
লিন হাইয়ের সংগীতের পথ স্মরণ করতে চাইলে তাঁর আরেকজন ভালো অংশীদারের কথা ভুলে যাবেন না। তিনি হচ্ছেন ফান জোং ফেই। ১৯৯০ সালের প্রথম দিকে এ দু'জন সুরকার এক সাথে মিলিত হবার পর তাদের নতুন যুগের সংগীত সৃষ্টির প্রয়াস শুরু হয়। তাঁরা দু'জন ক্লাসিক্যাল সংগীত শিখেছেন। আবার জ্যাজ পছন্দ করেন। একজন পিয়ানো বাজান, আরেক জন চেলো বাজান। তারা নতুন যুগের সংগীত জগতে চমত্কার সব নৈপণ্য দেখিয়েছেন।
বন্ধুরা, এবার শুনুন 'সুদূর নীরবতা' নামে একটি সুর।

| ||||



