0603yinyue.m4a
|
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা শুনছেন চীন আন্তর্জাতিক বেতারের বাংলা অনুষ্ঠান। এখন শুরু হচ্ছে সুরের ধারা। পরিবেশন করছি আমি আনন্দী। আশা করি, আপনারা সবাই ভালো আছেন।
আজকের এ আসরে আপনাদের শোনাবো 'আমাদের দূরে সরে যাওয়া স্বদেশ' নামের অ্যালবামের কয়েকটি সুর। এ অ্যালবামটি ২০০৮ সালে নতুন শতাব্দীর প্রথম দশকের এশিয়ার জনপ্রিয় দশটি অ্যালবামের একটি নির্বাচিত হয়। এটি হচ্ছে সুরকার লি চি হুইয়ের রচিত চীনের ভৌগলিক সংগীতের অ্যালবাম। তাহলে চলুন বন্ধুরা, আমরা সুরকারের সৃষ্ট মোহনীয় সুর লহরির সঙ্গে ভেসে বেড়াই চীনের প্রত্যন্ত অঞ্চল।
হুইচৌ নগর
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন 'সবুজ ইট ও সাদা দেয়ালের হুইচৌ নগর' নামে সুর। হুইচৌ হচ্ছে চীনের চেচিয়াং প্রদেশের ছোট্ট একটি নগর। নগরটি হুয়াং পাহাড় ও থিয়েনমু পাহাড়ের উপত্যকায় অবস্থিত। চারপাশ পাহাড় বেষ্টিত হওয়ায় এ অঞ্চলে মোহনীয় এক দৃশ্যের অবতারণা হয়েছে। প্রাচীন এ অঞ্চলে প্রবেশ করলে আপনার চোখে পড়বে বহু পুরাতন রাস্তাঘাট, ঐতিহ্যবাহী দালানকোঠা, প্রাচীন স্বাদের সুউচ্চ টাওয়ার ও গভীর কূপ। এ সুরের প্রতিটি পরতে পরতে ছড়িয়ে রয়েছে হুইচৌর স্থাপত্য কর্মের বিশেষ সৌন্দর্যের ছোঁয়া।
বন্ধুরা, হুইচৌ ছেড়ে এবার আমরা চীনের কুয়াংশি প্রদেশের আকর্ষণীয় স্থান কুইলিনের দিকে রওনা দেবো। কুইলিনের সবচেয়ে লোভনীয় স্থানের নাম ইয়াং শোই। এ ক্ষুদ্র নগরটিতে সবুজ পাহাড়, মনোরম নদী, বিস্ময়কর গুহা ও সুন্দর পাথর রয়েছে। এ অঞ্চলে ঘুরে বেড়ানোর সময় মনে হবে, যেনো অপরূপ কোন ছবির মধ্যে দিয়ে হেঁটে বেড়াচ্ছেন আপনি।
ইয়াং শোই
বন্ধুরা, এখন আপনারা শুনছেন 'ইয়াং শোইয়ের সুন্দরে ভ্রমণ' সুরটি। ইয়াং শোই গেলে যেতে হবে পশ্চিম সড়ক। প্রাচ্য ও পশ্চিমা সুরধারার নিখুঁত মিলন হয়েছে এখানে। এখানে গড়ে উঠেছে অনেক বার ও হোটেল। এখানে সবসময় মানুষের ভিড় লেগে থাকে। এ সড়কের বেশির ভাগ মানুষ কম-বেশি ইংরেজি বলতে পারেন। তাদের মুখ থেকে ইংরেজি কথা শুনে আপনি অবাক হবেন। অনেক পর্যটকই এখানে আসার পর আর যেতে চান না। বেশ কিছু পর্যটক এখানে আসার পর এখানে থেকেই যান। অথবা অন্য জায়গায় কাজ করে টাকা উপার্জনের পর আবার এখানে ফিরে এসে দু'এক মাস বা দু'এক বছর করে থেকে যান। ইয়াং শোই নগরে প্রাচীন ও আধুনিক সবই পাওয়া যায়।
| ||||