সম্প্রতি বিখ্যাত একাউন্টিং ফার্ম 'প্রাইস ওয়াটারহাউস কুপার্স'র প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরেই চীন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম চলচ্চিত্রের বাজারে পরিণত হয়েছে। ২০১৮ সালে চীনে চলচ্চিত্রের বক্স-অফিসের আয় ২০১৩ সালের ৩১৩ কোটি মার্কিন ডলার থেকে বেড়ে ৫৯০ কোটি মার্কিন ডলারে দাঁড়াবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এসময়ে বৃদ্ধির হার দাঁড়াবে ৮০ শতাংশে। সেই সঙ্গে চীন বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতিসম্পন্ন চলচ্চিত্রের বাজারের মধ্যে অন্যতম বলেও পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হয়েছে।
তবে 'স্টেইট এ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব প্রেস পাবলিকেশন, রেডিও, ফিল্ম এ্যান্ড টেলিভিশন অব দ্য পিপল'স অব চায়না'র কর্মকর্তা লুয়েন কুও চি মনে করেন, জোয়ারের মতো বক্স-অফিস এবং আনন্দদায়ক পরিসংখ্যান থেকে প্রমাণিত হয় যে, চীনের চলচ্চিত্র বাজার সত্যিই প্রসারিত হয়েছে। তবে এর আন্তর্জাতিক প্রভাব সঙ্গে সঙ্গে উন্নত হয়নি। তিনি বলেন, 'আমাদের চীনের চলচ্চিত্রের আন্তর্জাতিক প্রভাব এবং আমাদের আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাবের সাথে আন্তর্জাতিক মর্যাদার পার্থক্য রয়েছে।'
পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, বর্তমানে চীনে বার্ষিক চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিমাণ সাত শ'রও বেশি। এগুলোর মধ্যে প্রায় ১০ শতাংশ চলচ্চিত্র বিদেশের বাজারে প্রকাশিত হয়। একদিকে স্বদেশে চলচ্চিত্রের বক্স অফিস টানা ৬ বছর ধরে ৩০ শতাংশেরও বেশি বৃদ্ধির হার বজায় রেখেছে, অন্যদিকে সাম্প্রতিক পাঁচ বছরে বিদেশে দেশীয় চলচ্চিত্রের বক্স-অফিসের আয়ের বৃদ্ধি হার মাত্র ১১ শতাংশ।
1 2 3 4 5