|
সম্পর্কের এক পর্যায়ে লেওন মাথিলদার কাছে কেন সে একজন হত্যাকারী হলো সে কাহিনী জানায়। তাঁর পরিবার খুব দরিদ্র বলে তাঁর বান্ধবীর বাবা তাদের প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয় না বরং ভয়ানক উপায়ে তাদের সম্পর্কের বন্ধন ছিন্ন করে। আর সেটি হলো-লেওনের সঙ্গে মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙ্গে দিতে বাবা নিজের মেয়েকেই গুলি করে হত্যা করলো। জীবনের প্রথম মেয়ে বন্ধুর মৃত্যুতে লেওনের সুকুমার মনটিও যেন মারা গেলো। এর প্রতিশোধ নিতে মেয়ের বাবাকে হত্যা করে নিউইয়র্কে পালিয়ে যায় এবং সেখানে একজন পেশাদার হত্যাকারী হিসেবে নিজেকে জড়িয়ে ফেলে।
একদিন মাথিলদা খাদ্য বিতরণকারীর ছদ্মবেশ নিয়ে স্ট্যান্সফিল্ডের ওপর আক্রমন চালাতে পুশিল স্টেশনে ঢুকে যায়। তবে দুর্ভাগ্যজনক ব্যাপার হলো: স্ট্যান্সফিল্ড আগে থেকেই এই পরিকল্পনা জেনে যায় এবং উল্টো মাথিলডাকে গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে। এই জরুরী ক্ষণে লেওন সেখানে এসে উপস্থিত হয়, এবং জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাথিলদাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে।
এরপর স্ট্যান্সফিল্ড একদল সশস্ত্র পুলিশ নিয়ে লেওনের বাড়ি আক্রমন করে। লেওন ভবনের ভেন্টসের মাধ্যমে মাথিলদাকে বের করে দেয়। কিন্তু মাথিলদা লেওনের সঙ্গে থেকে পাল্টা আক্রমনের জেদ ধরলো। কিন্তু এই জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লেওন তাকে জানায় যে, তুমি নিশ্চয়ই আমাকে চিরদিনের জন্যা হারাতে চাও না। তুমি আমাকে জীবনের স্বাদ দিয়েছো। আমি সুখী হতে চাই মাথিলডা, যাও, দ্রুত এখান থেকে পালিয়ে যাও, যাও।
যদিও মাথিলডাকে শেষপর্যন্ত প্রিয় লেওনকে হারাতে হয়। লেওন তাঁর শরীরে বেঁধে রাখা বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে স্ট্যান্সফিল্ডের সাথে নিজেকেও হত্যা করে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |