মাথিলডা ১৩ বা ১৪ বছর বয়সী একটি মেয়ে। সে আর তার পরিবারের সদস্যরা লেওনের সঙ্গে একই ভবনে বাস করে। মাথিলডার জীবনেও রয়েছে নানা অসম্পূর্ণতা। তাঁর পরিবারিক জীবন মোটেই সুখের ছিল না। কেননা বাবা মাদকদ্রব্য পাচারের সাথে যুক্ত এবং সত্ মা ও তার মেয়ে সব সময়ে তার সাথে দুর্ব্যবহার আর শারিরিক নির্যাতন করতো। কেবল একমাত্র ছোট ভাই তাকে বন্ধুর মতো উষ্ণ ব্যবহার করতো। এই সব কারনে মাথিলডা ছোট বয়স থেকেই ধূমপান করা এবং স্কুল পালানোয় অভ্যস্ত হয়ে উঠলো।

একদিন স্ট্যান্সফিল্ড নামে মাদকদ্রব্য চোরাকারবারি দমনে নিয়োজিত ড্রাগ স্কয়াড পুলিশের এক দূর্নীতিবাজ পুলিশের নেতৃত্বে একদল পুলিশ মাথিলদার পরিবারের সবাইকে হত্যা করে। কিন্তু মাথিলডা কোনো ভাবে বেঁচে যায়। কেননা সে সময় মাথিলদা দোকান থেকে দূধ কেনার জন্য বাইরে থাকায় সৌভাগ্যক্রমে সে বেঁচে যায় এবং বাসায় ফিরে স্বচোখে নিজের পরিবারের সবাইকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। এই দৃশ্য তাকে ভয়ানক ভাবে আন্দোলিত করলেও সকল প্রকার উত্তেজনা আর আবেগ প্রকাশ করা থেকে নিজেকে বিরত রাখে। বরং সে শান্তভাবে সরাসরি প্রতিবেশী লেওনের কক্ষের দিকে চলে যায়। দয়ালু লেওন দরজা খুললো এবং তাকে আশ্রয় দিলো।

মাথিলডা লেওনের কাছে হত্যাকারী হওয়ার প্রশিক্ষণ দিতে অনুরোধ জানায়। কেননা সে পরিবারের সদস্যদের হত্যার বদলা নিতে চায়।

লেওন এতে রাজি হয় এবং দিনে দিনে মাথিলদাকে একজন পেশাদার হত্যাকারী হওয়ার সব ধরনের কৌশল শিখিয়ে দেয় এবং তাদের দু'জনের মধ্যে বিশুদ্ধ স্নেহের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।