|
একদিন শশী একটি কফি হাউসে খাবার অর্ডারের সময় দূর্বল আর অস্পষ্ট ইংরেজির কারণে পরিচারিকা তাকে কন্টকগুল্ম পরিবেশন করেন। কিন্তু আকস্মিক ভাবে সেই কফি হাউসে শশী ল্যরেন্স নামে ফ্রান্সের এক বাবুর্চির সাথে পরিচয় হয়। ল্যরেন্স খুব সৌহার্দ্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং তিনি শশীকে এই ঘটনা জন্য সমবেদনা জানান। আসলে ল্যরেন্স শশীকে প্রথম দেখেই তাঁর প্রেমে পড়ে, যাকে বলা যায়, লাভ এ্যাট ফাস্ট সাইট।
অবশেষে ইংরেজি শেখার একটি ভালো সুযোগ আসে শশীর জীবনে। শশী প্রতিদিন যে বাসে চলে সেই বাসের গায়ে লাগানো ইংরেজির প্রশিক্ষণের একটি বিজ্ঞাপন দেখতে পায় এবং দ্রুতই ফোনের মাধ্যমে নিজের নাম তালিকাভূক্ত করে নেয়।
কাকতালীয়ভাবে ল্যরেন্সও সেই ইংরেজি প্রশিক্ষণ কোর্সে অংশ নেয়। তাঁরা দুজন সহপাঠী হলেন। এই কোর্সে ইংরেজি শিখার পদ্ধতিটি খুব বিশেষ এবং আনন্দদায়ক। ফলে দ্রুতই সবার বেশ অগ্রগতি হয়। আর শশীও দিন রাত কঠোর পরিশ্রম করে ইংরেজি শিখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে লাগলেন। দিনের বেলা ক্লাসে ইংরেজি শেখা আর মার্কিন চলচ্চিত্র উপভোগের মাধ্যমে অব্যাহতভাবে ইংরেজি চর্চা চালিয়ে যেতে লাগলেন।
এদিকে ল্যরেন্স সাহস সঞ্চয় করে শশীকে তাঁর মনের কথা বলে ফেললেন। এতে শশি বিস্মিত হলেন এই ভেবে যে, তাঁর এই বয়সেও তাঁকে কোনো সুদর্শন পছন্দ করতে পারে, এটা যেন অসম্ভব কিছু একটা ঘটল তাঁর জীবনে। কেননা, শশী নিজেকে মনে করতেন তার পরিবারের একজন উপেক্ষিত সদস্য হিসেবে। স্বামী তাঁকে হেয় করেন এবং ছেলে মেয়েরাও তাঁর সাথে সদাচারণ করে না।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |