উল্লেখ্য, চলচ্চিত্রের প্রধান পুরুষ চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেতা হচ্ছেন হংকংয়ের মেগা-তারকা লিউ তে হুয়া। আসলে প্রথমে তিনি এই ছবিটিতে অভিনয় করতে আগ্রহী ছিলেন না। কারণ তিনি হচ্ছেন এই চলচ্চিত্রের প্রযোজক। নিজের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে লিউ তে হুয়া বলেন, এ চলচ্চিত্রের স্ক্রিপ্ট আমাকে এতটাই মুগ্ধ করেছে যে অবশেষে অভিনয়ের সিদ্ধান্তটা নিয়ে নিলাম। মানুষের সঙ্গে মানুষের সম্পর্ক আসলে অত্যন্ত সূক্ষ্ম আর জটিল। এই ছবিতে সিস্টার পিচ-এর সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই রজারে মধ্যে যে ভাবানুভূতি জন্ম নেয় তা হঠাত্ কোনো ছোটখাটো ঘটনার মাধ্যমে উন্মোচিত হয়। সহজেই অভিভূত হয়ে পড়ার মতো এই সম্পর্ক। লি তে হুয়া আরো বলেন, বর্তমানে অনেক তরুণ-তরুণী সারা দিন খুব ব্যস্ত দিনযাপন করেন। তাঁরা অনেক সম্পর্ককে কেবল বাণিজ্যিক বিনিময়ের ভিত্তিতে দেখে থাকেন বা সে ভাবেই সম্পর্ককে এগিয়ে নিয়ে যেতে পছন্দ করেন। কিন্তু মানুষের সাথে মানুষের যদি হৃদয়ানুভূতির বিনিময় না হয়, এটা যদি ভুলে যায় তাহলে জীবনে আর কি তত্পর্য থাকতে পারে? টাকা বা অর্থ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নিজে এবং নিজের পরিবারের সদস্যরা যদি একটু সুখ আর আনন্দের সঙ্গে জীবন যাপন করতে না-ই পারলেন, তাহলে সেই টাকার আর কি অর্থ থাকতে পারে?
চলচ্চিত্রে প্রধান মহিলা চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী হচ্ছেন হংহংয়ের বিখ্যাত নায়িকা ইয়ে তে সিয়েন। এই চরিত্রে আরো ভালোভাবে অভিনয় করার জন্য তিনি নিজ উদ্যোগে নার্সিং হোমে গিয়ে সেখানকার জীবন যাপন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেন। তিনি বলেন, নার্সিং হোমে বসবাসকারী বৃদ্ধবৃদ্ধাদের জীবন খুবই হৃদয় বিদারক আর কষ্টকর। তাঁদের সন্তানরা খুবই ব্যস্ত বলে তাঁদেরকে যত্ন নিতে পারেন না। তাই তাঁরা নার্সিং হোমে থাকেন। একদিকে তাঁরা আশা করেন, নিজের ছেলেমেয়েরা বেশি সময় নিয়ে তাদেরকে দেখতে আসবে কিন্তু নির্মম সত্য হচ্ছে ছেলেমেয়েরা বৃদ্ধাশ্রমে অতিরিক্ত সময় খরচ করতে চায় না কিছুতেই।
1 2 3 4 5