|
আলিম. ১৮৪১ সালে চীনের সিছুয়ান প্রদেশের জিকুং জেলার একজন ব্যবসায়ী ছেন বাও বাও এ দানদানমিয়ান উদ্ভাবন করেছিলেন। এ নুডলসের রং সাদা এবং সুপের রং লাল, মরিচ ও গোল মরিচের সুগন্ধী থাকায় খেতে একটু ঝাল লাগে। এ কারণে অনেকের তা খেতে বেশ ভালো লাগে।
সুবর্ণা. দানদানমিয়ান নেয়ার এ ভার-এর বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। ভারের একপাশে থাকে আগুনের চুলা, এর ওপর একটা পাত্র আছে, পাত্রের মধ্যে গরম পানি রাখা আছে এবং অন্য পাশে বড় পেয়ালা, চপস্টিক, নানা ধরনের উপকরণ ও পেয়ালা ধোয়ার বালতি। এভাবে ভারের সাহায্যে এসব জিনিস নিয়ে রাস্তায় হেঁটে হেঁটে দানদানমিয়ান বিক্রি করা হয়। এ বিশেষ বিক্রি পদ্ধতির জন্যই দানদানমিয়ান নাম হয়েছে। তবে দানদানমিয়ানের সুস্বাদ ও সুগন্ধীর কারণে তা জনপ্রিয় হয়েছে।
আলিম. শুনেছি সিছুয়ান প্রদেশের দানদানমিয়ান খাওয়ার তিন রকম পদ্ধতি রয়েছে। একটা হচ্ছে: স্যুপযুক্ত। এ নুডলসের মধ্যে মাংস ও সবজি থাকার পাশাপাশি সুপও থাকে। আরেকটা হল নুডলসের সাথে ঘন ঝোল। তৃতীয়টা হল সসের সাথে মেশানো শুকনা নুডলস। বাংলাদেশের চীনা রেস্তরাঁয় এ খাবার পাওয়া যায়, সুযোগ পেলে আপনারা তা খেয়ে দেখতে পারেন। ভালো লাগবে। আমি খেয়েছি।
সুবর্ণা. আচ্ছা, ছেংতু শহরের মজার খাবারের তথ্য জানার পর এখন গানের পালা। গানের নাম 'ছেংতু শহর আপনাদের হাশিখুশি রাখুক'। এ শহরে বেড়াতে আসার পর আমার মনে হয়েছে, এদতঞ্চলের লোকদের জীবন অনেক আরামদায়ক; এখানে বাস করা সত্যিই আনন্দদায়ক। চলুন, শ্রোতাবন্ধুরা, একসঙ্গে এ-সম্পর্কিত গানটি শুনি। আলিম. সুন্দর গান শোনা হলো। এবার যাবার পালা। অনুষ্ঠানের সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। তবে, যাবার আগে এ-সপ্তাহের ক্যুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন। প্রশ্নটি হচ্ছে: চীনের জাতীয় পশুর নাম কী?
সুবর্ণা. বন্ধুরা, আজকের ক্যুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্নটি খুবই সহজ। প্রশ্নটি আমি আবার বলি: চীনের জাতীয় পশুর নাম কী?
আলিম. আমরা আপনাদের চিঠির অপেক্ষা রইলাম, আমাদের যোগাযোগ ঠিকানা ben@cri.com.cn.(সুবর্ণা/আলিম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |