|
সুবর্ণা: ফুহাই উপজেলার শীতকালের মাছ ধরার উত্সবে ইতিহাস ৮ বছরের পুরনো। বর্তমানে এই মাছ-ধরা উত্সব বসন্ত উত্সব চলাকালে আলেথাই এলাকা ও উত্তর সিনচিয়াংয়ের সবচে জাকজমকপূর্ণ কর্মকাণ্ডে পরিণত হয়েছে। পর্যটকরা এ-উত্সবে কাজাখ জাতির রীতিনীতি, নৃত্য ও গান উপভোগ করতে পারেন, মাছ দিয়ে ১০টিরও বেশি ডিশ খেতে পারেন, তুষারে চালিত মোটর গাড়িতে বসে হ্রদের দৃশ্য দেখতে পারেন এবং বরফে দৌড়াদৌড়ি প্রতিযোগিতা, ঘুড়ি ওড়ানো ও স্কেটিংসহ বিভিন্ন খেলাধুলায় অংশ নিতে পারেন। চলতি বছরের বসন্ত উত্সবের সময় এই মাছ-ধরা উত্সবে অংশগ্রহণের জন্য ২২ হাজারেরও বেশি পর্যটকের সমাগম ঘটেছিল ওই অঞ্চলে।
আলিম: আচ্ছা, এ মজার উত্সব নিয়ে আলোচনার পর এখন আবারো গানের পালা। গানের নাম 'তুষার-শাপলা'। তুষার-শাপলা সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সবচে জনপ্রিয় ফুলগুলোর একটি। গানের কথা বাংলায় অনুবাদ করলে মোটামুটি এমন দাঁড়াবে: 'উচুঁ তুষারাচ্ছন্ন পাহাড়ের উপর সাদা তুষার দেখা যায়/ পাহাড়ের পাদদেশে টানানো গরম তাঁবু / তাঁবুর ভেতরে তুষার-শাপলা নামের এক সুন্দরীর বাস/ সে চুল পরিস্কার করার সাথে সাথে মিষ্টি কণ্ঠে গান গায়/ তুষার-শাপলার মতো সুন্দর এই মেয়ে/ তার চোখে খেলা করে খানিকটা দু:খবোধ/ সুন্দর মেয়ে তুষার-শাপলার মতো সুন্দর/ বহুবর্ণ কাপড়ে তাকে সবচে সুন্দর লাগে...
সুবর্ণা: বর্তমানে ফুহাই উপজেলার শীতকালের মাছ ধরার উত্সব বসন্ত উত্সবের চেয়েও সরগরম। তা সিনচিয়াংয়ের উত্তরাঞ্চলের লোকদের একটি মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। স্থানীয় অঞ্চলের লোকেরা মনে করে, গাড়ি চালিয়ে এখানকার মাছ ধরার উত্সবে অংশ নেয়া তাদের জন্য খুবই মজার অভিজ্ঞতা। কারণ শীতকালে আত্মীয়স্বজন ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাসায় বসে থাকার মধ্যে তেমন মজা নেই। বরং সবার সঙ্গে বাইরে স্কেটিং ও মাছ ধরা খুবই উত্তেজনাময় ও ইন্টারেস্টিং।
আলিম: ফুহাই উপজেলায় নানা ধরনের সামুদ্রিক মাছ উত্পাদিত হয়। এখানকার বার্ষিক উত্পাদনের পরিমাণ ৪৫০০ টনে দাঁড়িয়েছে। শীতকালের মাছ-ধরার উত্সব জনপ্রিয় হবার পাশাপাশি স্থানীয় অঞ্চলের কৃষক ও পশুপালকদের হোস্টেলগুলোও অনেক জনপ্রিয় হয়েছে। বর্তমানে কৃষক ও পশুপালকদের হোস্টেলের সংখ্যা ৮০টিরও বেশি।
সুবর্ণা: উলুনকু হ্রদের কাছে ইয়োংফু মাছ দোকানের মালিক আমাদের সংবাদদাতাকে জানিয়েছেন, বর্তমানে মাছ ধরা উত্সবের কল্যাণে তাদের মাছ প্রক্রিয়াকরণ কাজ আরও উন্নত হয়েছে। কর্মীরা মাছ পরিস্কার করার পর ফ্রোজেন করে, তারপর মেশিন দিয়ে প্লাস্টিক ব্যাগ বায়ুশূন্য করে তাতে প্যাকেটজাত করে। সারা বছরের বিভিন্ন ঋতুতে নানা ধরনের মাছ পাওয়া যায়; তবে শীতকালের মাছ সবচে দামী।
আলিম: এবার বসন্ত উত্সব দেখার পর আমার মনে হয়েছে, চীনারা উত্সব খুবই পছন্দ করেন। তারা উত্সবের সময় আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয়। আমরাও কিন্তু বাংলাদেশে বিভিন্ন পালা-পার্বনে এবং উত্সবের দিনে খুব মজা করে থাকি; আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আনন্দ করি।
সুবর্ণা: তাহলে বন্ধুরা, সময় পেলে শীতকালে সিনচিয়াংয়ের ফুহাইতে বেড়াতে আসবেন এবং স্থানীয় অঞ্চলের মাছ-ধরা উত্সবের আনন্দ উপভোগ করবেন, এই প্রত্যাশা রইল।
আলিম: প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, দেখতে দেখতে আমাদের অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময় ফুরিয়ে এলো। তবে যাবার আগে আরেকটি গান। '
সুবর্ণা: এবার এ-সপ্তাহের কুইজ প্রতিযোগিতার প্রশ্ন। প্রশ্নটি হচ্ছে: চীনে শীতকালের মাছ-ধরার রীতিনীতি কোথা থেকে প্রচলিত হয়েছে?
আলিম: প্রশ্নটি আবার বলি: চীনে শীতকালের মাছ-ধরার রীতিনীতি কোথা থেকে প্রচলিত হয়েছে?
সুবর্ণা: আপনারা যদি উত্তর জানেন, তাহলে আমাদেরকে চিঠি পাঠাতে ভুলবেন না। আমাদের সঙ্গে যোগাযোগের ঠিকানা ben@cri.com.cn (সুবর্ণা/আলিম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |