Web bengali.cri.cn   
ফেংহুয়াং পুরনো নগরের দর্শনীয় স্থান
  2013-01-30 15:30:34  cri

সুবর্ণা: গত অনুষ্ঠানে আমরা বলেছি, হুনান প্রদেশের লোকেরা ঝাল খাবার খেতে বেশ পছন্দ করে। গোটা চীনে হুনান প্রদেশের ডিশ ও খাবার সবচেয়ে ঝাল। স্থানীয় অঞ্চলের বিভিন্ন ডিশে লাল মরিচ বা সবুজ মরিচ আর শুকনো মরিচ দেখা যায়। ঝাল খাবার খেলে স্থানীয় আর্দ্র আবহাওয়ার বিরূপ প্রভাব থেকে শরীর মুক্ত থাকে। আর্দ্রতা সহজে শরীরে চর্মরোগের সৃষ্টি করে। তাই এতদঞ্চলের লোকেরা ঝাল খাবার খায় এবং তা ওষুধের মতোই কাজ করে। এবার আমরা একটি গান শুনবো; গানেও আছে ঝালের কথা। গানটি লেখা হয়েছে 'ঝাল মেয়েকে' উদ্দেশ্য করে। আলিম: গানের কথাগুলো মোটামুটি এমন: ঝাল মেয়ে ঝাল খাবার খেতে বেশি পছন্দ করে/ খাবার ঝাল না-হলে তার মজা লাগে না/ প্রতিদিন খাবারে তার ঝাল মরিচ চাই-ই চাই/ ঝাল খেতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে ঝাল মেয়ে... শ্রোতাবন্ধুরা এ-গানে ফুটে উঠেছে হুনান প্রদেশের লোকদের মজার চরিত্র। চলুন তাহলে গানটি শোনা যাক।

 সুবর্ণা: ফেংহুয়াং পুরনো নগরের ৪ কিলোমিটার উত্তরে একটি সুন্দর গুহা আছে। গুহাটির দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটারেরও বেশি। ৫টি দর্শনীয় এলাকা নিয়ে গুহাটি গঠিত। গুহার ভেতরে পাহাড় দেখা যায় এবং পাহাড়ের মধ্যেও গুহা থাকে। নানা ধরণের আশ্চর্য্য সুন্দর স্তম্ভ গুহার ভেতরে এক চমত্কার দৃশ্যের অবতারণা করে। সুন্দর রঙয়ের বাতির আলোতে বিভিন্ন পাথর নিয়ে গঠিত গুহা দেখতে এক অন্য বিশ্বের মতো। গুহার ভেতরে একটি বড় আকৃতির হল আছে। কথিত আছে, এ-হলের মধ্যে একটি ছোট বিশেষ ধরণের পাথর আছে। জরুরি প্রয়োজনে বা বিপদের সময় এ-পাথরে ফুঁ দিলে অনেক দূর থেকে মানুষ তা শুনতে পায়।

আলিম: তা ছাড়া, ফেংহুয়াং থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সিমেন গিরিখাত আছে। এ-গিরিখাতের মোট দৈর্ঘ্য ৬ কিলোমিটার; পাহাড় ও নিবিড় বনের মধ্যে অবস্থিত এ গিরিখাত দারুণ সুন্দর। এখানকার নদীর স্রোতের গতি বেশি; এখানকার ছোট ছোট নদীও খরস্রোতা। স্রোতে ভেসে চলতে যারা পছন্দ করেন, এটি তাদের জন্য স্বর্গ। এখানকার ছিংলোং নদীর পাড়ের বিস্তার ৪০০ মিটার এবং উচ্চতা ২০ মিটার; উঁচু স্থান থেকে নৌকাতে বসে স্রোতের টানে ভেসে চলা অতি উত্তেজনাময় ও মজার ব্যাপার।

সুবর্ণা: বন্ধুরা, স্রোতে ভেসে চলা যদিও খুবই মজার ব্যাপার, তবে নিরাপত্তার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। অসুস্থ শরীর নিয়ে বা দুর্বল হার্ট বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে এ-ধরনের খেলায় মেতে না-ওঠাই নিরাপদ। কী শ্রোতাবন্ধুরা, ভয় পেয়ে গেলেন? না, ভয় পাবার কিছু নেই। তবে, কথায় আছে না: সাবধানের মার নেই? আর যদি ভয় পেয়েই থাকেন, তবে আমি নিশ্চিত যে, এখন একটি গান শুনলে সে ভয় কেটে যাবে। হ্যা, এবার আবারো গান শোনার পালা। এবারো শুনবো হুনান প্রদেশের একটি লোকসংগীত। গানের নাম 'লিউ হাই গাছ কাটা'।

আলিম: বর্তমানে আধুনিক জীবনযাপন পদ্ধতির প্রভাবে ফেংহুয়াং নগরের সংখ্যালঘু জাতির জীবনযাপন পদ্ধতিতেও পরিবর্তন এসেছে। যদি শুধু নগরে বেড়াতে আসেন, তাহলে আপনারা মিয়াও জাতি ও থুচিয়া জাতির ঐতিহ্যিক জীবনযাপনের পদ্ধতি দেখার সুযোগ তেমন একটা পাবেন না। তবে ফেংহুয়াং নগরের বাইরে মিয়াও জাতির কয়েকটি উপজেলা আছে; সেখানকার রীতিনীতি ও জীবনযাপনের অভ্যেস এখনো প্রাচীনকালের মিয়াও জাতির মতোই রয়ে গেছে। যদি আপনারা মিয়াও জাতির পুরনো বাসায় থাকতে যান, তাহলে শানচিয়াং ও সানচিয়াংসহ বিভিন্ন মিয়াও জাতির বাসস্থানে যেতে পারেন।

সুবর্ণা: আচ্ছা, বন্ধুরা, সময় দ্রুত চলে যায়। আজকের অনুষ্ঠানের সময়ও ফুরিয়ে এসেছে। আসলে, মাত্র দুটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমরা অবশ্যই সঠিকভাবে ফেংহুয়াং পুরনো নগরের সকল দৃশ্য বর্ণনা করতে পারি না। তবে আশা করি, আপনারা একসময় সেসব দৃশ্য নিজেদের চোখে দেখার সুযোগ পাবেন।

আলিম: তবে, অনুষ্ঠানটি শেষ করার আগে হুনান প্রদেশের আরেকটি সুন্দর গান প্রচার করতে চাই। গানের নাম 'লিউইয়াং নদী'। নদীটি হুনান প্রদেশের বৃহত্তম নদীগুলোর অন্যতম। হুনান প্রদেশের অনেক শহর ও জেলার ভেতর দিয়ে এ-নদী প্রবাহিত হয়েছে।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040