|
আলিম: গানতো শোনা হলো। এবার শ্রোতাদের ফেংহুয়াং নগরের যাওয়ার রাস্তা বাতলে দিতে চাই। রেলস্টেশন চিশৌতে পৌঁছার পর পর্যটকরা মিনিবাসে উঠে বসতে পারেন। মিনিবাসে নগরে পৌঁছাতে সময় লাগবে প্রায় দেড় ঘন্টা। আবার হুনান প্রদেশের হুয়াইহুয়া স্টেশন থেকে ফেংহুয়াং নগরে যাওয়ার বাস আছে; বাসের টিকিটের মূল্য ৩৫ ইউয়ান; আর সময় লাগে প্রায় ৩ ঘন্টা। হুনান প্রদেশের ছাংশা শহর, ছাংতে শহর থেকে ফেংহুয়াং নগরে যাওয়া যায় শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত বাসে চড়ে। সেক্ষেত্রে বাসে পাড়ি দিতে হবে প্রায় ২২০ কিলোমিটার; সময় লাগবে প্রায় ৫ ঘন্টা। বাসের টিকিটের মূল্য ৭০ ইউয়ান। ফেংহুয়াং পুরনো নগরে কোনো গাড়ি দেখা যায় না; পর্যটকদের পায়ে হেটে বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখতে হয়।
সুবর্ণা: স্থানীয় অঞ্চলের হোটেলের রুম ভাড়াও একেক হোটেলে একেক রকম। তিন তারার হোটেলের রুমের ভাড়া ১০০ থেকে ২০০ ইউয়ান পর্যন্ত। নগরে হোটেলের সংখ্যা প্রায় ১০০০। সবচে সস্তা হোটেলে থাকলে পর্যটকদের প্রতিদিন ভাড়া দিতে হবে মাত্র ২০ ইউয়ান। এক্ষেত্রে আমি বলবো: নগরের পুরনো অঞ্চলের হোটেলগুলোতে থাকা ভালো। কারণ, এতে নগরের প্রাচীন সংস্কৃতি সম্পর্কে পর্যটকরা সহজে জানতে পারবেন। নদীর পাশের হোটেলের রুমভাড়া একটু বেশি---১০০ থেকে ২০০ ইউয়ান। পর্যটকদের জন্য আমার আরেকটি টিপস: অক্টোবর মাসে চীনের জাতীয় দিবসের ছুটি চলাকালে ফেংহুয়াং পুরনো নগরে পর্যটকদের ভিড় সবচে বেশি হয়; তখন হোটেল-ভাড়া অন্যান্য সময়ের চেয়ে ৫ থেকে ১০ গুণ বেড়ে যায়। আসলে তখন হোটেলরুম খুঁজে পাওয়াই মুশকিল হয়। বসন্তকাল বা শরত্কাল এ-নগরের পর্যটনের সোনালী সময়পর্ব; অথচ তখন পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি হয় না এবং হোটেলের ভাড়াও তুলনামূলকভাবে কম থাকে। শ্রোতাবন্ধুরা, সময় ও সুযোগ পেলে আপনারা অবশ্যই এখানে বেড়াতে আসবেন এবং উপভোগ করবেন প্রাচীন নগরে সময় কাটানোর সুখানুভূতি---এই আশা করি।
আলিম: প্রিয় বন্ধুরা, সময় দ্রুত বয়ে চলে। আজকের অনুষ্ঠানের সময়ও ফুরিয়ে এলো। আগামী সপ্তাহে আমরা ফেংহুয়াং পুরনো নগরের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান সম্পর্কে আরোকিছু তথ্য নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হবো, ইনশাআল্লাহ।
সুবর্ণা: তবে যাবার আগে আরেকটি সুন্দর গান শোনাবো শ্রোতাদের। এটি ফেংহুয়াং-এর সংখ্যালঘু জাতির গান। গানের নাম 'হুয়াং পরিবারের চতুর্থ মেয়ে'। (সুবর্ণা/আলিম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |