|
আলিম: শ্রোতাবন্ধুরা, 'চলুন বেড়িয়ে আসি' অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গ আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। আপনাদের নিয়ে চীনের অলিগলি ঘুড়ে বেড়াবো ভাবতেই ভালো লাগছে। আচ্ছা, সুবর্না, আপনিতো গেল বছরের শেষদিকে অর্থাত ডিসেম্বরে হংকং ও ম্যাকাও বেড়াতে গিয়েছিলেন। কেমন লাগলো?
সুবর্ণা: খুবই ভালো। আমি এর আগেও হংকং ও ম্যাকাও ভ্রমণ করেছি। ওখানে গেলে প্রতিবারই কিছু-না-কিছু নতুন অভিজ্ঞতা হয়; কিছু-না-কিছু নতুন জিনিস দেখি এবং শিখি। গত অনুষ্ঠানে আমি আর প্রকাশ শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে হংকংয়ের বিভিন্ন তথ্য ও অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। আজ ম্যাকাও সম্পর্কে শ্রোতাদের জানাতে চাই।
আলিম: হ্যা, শ্রোতাদের সঙ্গে আমিও শুনবো ম্যাকাওএর গল্প। আমি কখনো ম্যাকাও যাইনি, তবে এর সম্পর্কে পড়েছি। ম্যাকাও টাওয়ার কনভেনশন অ্যান্ড এন্টারটেইনমেন্ট সেন্টার বা সংক্ষেপে 'ম্যাকাও টাওয়ার', 'ক্যাথেড্রেল অব সেইন্ট পল', 'সিনাডো স্কোয়ার', ম্যাকাও-এর প্রথম থিমপার্ক 'ম্যাকাও ফিশারম্যানস ওরফ্', ম্যাকাও-এর বিখ্যাত ও প্রাচীনতম তাওবাদী মন্দির 'আ-মা টেম্পল' সম্পর্কে পড়েছি এবং এগুলোর ছবিও দেখেছি। আজ একজন প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে এ-ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে পারবো ভাবতে ভালো লাগছে।
সুবর্ণা: আলিম ভাই, আমিও যে ম্যাকাও-এর সবকিছু দেখার সুযোগ পেয়েছি, তা কিন্তু নয়। যতোটুকু দেখেছি, শ্রোতাবন্ধুদের সঙ্গে তা অবশ্যই শেয়ার করবো। আপনি জানেন, ম্যাকাও চীনের একটি বিশেষ প্রশাসনিক এলাকা। ১৫৫৩ সালে পর্তুগিজরা অঞ্চলটি দখল করেছিল। তারপর প্রায় ৫০০ বছর ধরে ম্যাকাওয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য সংস্কৃতির চর্চা হয়েছে। তাই, এখানকার স্থাপত্যশিল্পে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বৈশিষ্ট্য প্রতিফলিত হয়েছে।
আলিম: ইতিহাস বলে, ১৫৫৩ সাল থেকে পর্তুগিজরা ম্যাকাওয়ে এসে বসবাস শুরু করে। ১৮৮৭ সালের পয়লা ডিসেম্বর পর্তুগিজ সরকার ও চীনের ছিং রাজবংশের মধ্যে স্বাক্ষরিত এক চুক্তির আওতায় পর্তুগাল ম্যাকাওয়ের ওপর কর্তৃত্ব করার সুযোগ পায়। ১৯৮৪ সালের ৩ অক্টোবর চীনের সাবেক প্রেসিডেন্ট তেং সিয়াও পিং প্রথমবারের মতো 'এক দেশে দুই ব্যবস্থার' নীতিতে ম্যাকাও সমস্যা সমাধানের প্রস্তাব পেশ করেন। ১৯৮৭ সালে চীন ও পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রীরা ম্যাকাও সমস্যা সংক্রান্ত যৌথ ঘোষণা স্বাক্ষর করেন। ঘোষণায় বলা হয়: ১৯৯৯ সালের ২০ ডিসেম্বর থেকে চীন আনুষ্ঠানিকভাবে ম্যাকাওয়ের শাসনভার গ্রহণ করবে; তবে এ-অঞ্চলটিতে ধনতান্ত্রিক অর্থব্যবস্থা বজায় থাকবে।
সুবর্ণা: শ্রোতাবন্ধুরা, আমরা ম্যাকাও এবং এর সুন্দর সুন্দর পর্যটন স্থান সম্পর্কে আরো তথ্য আপনাদের জানাবো। তবে, তার আগে একটি গান শুনে নিই। গানটি চীনের বিখ্যাত কবি ওয়েন ই ডুওয়ের কবিতা অবলম্বনে রচনা করা হয়েছে। গানের নাম 'সাত সন্তানের গান'। গানের মধ্যে ফুটে উঠেছে মাতৃরূপী চীনের কোলে সন্তানরূপী ম্যাকাওয়ের ফিরে আসার আকুতি। গানের কথাগুলো মোটামুটি এমন: তুমি জানো 'ম্যাকাও' আমার আসল নাম নয়/ মা, আমি তোমার কাছ থেকে চলে গেছি বহুদিন আগে/ তবে শত্রু রা শুধু আমাকে দখল করেছে, আমার আত্মা শুধু তোমার জন্য সংরক্ষিত/ দয়া করে আমার ডাক নাম ডাকো, আমাকে ডাকো 'আওমেন' বলে....
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |