|
খ. হাংচৌ শহরে বেড়ানোর সময় আমিও এ-মন্দির পরিদর্শন করেছি। বসন্তে এর আশপাশের পাহাড় ঘন সবুজ। দূর থেকে দেখেই বোঝা যায় মন্দিরটির স্থাপত্য নকশা থাং রাজবংশ আমলের। তবে এর স্থাপত্য নিয়ে আরো কথা বলার আগে আমরা শ্রোতাদের শোনাবো আরেকটি সুন্দর গান। গানের নাম 'সিহু হ্রদে প্রজাপতির প্রেম'।
ক. গানের কথা অনেকটা এমন: "বৃষ্টি পড়ে সিহু হ্রদের কাছে, আর আমি তোমাকে মিস করি/ তুয়ানছিয়াও সেতুতে হাজার বছর ধরে আমি ছাতা নিয়ে তোমার অপেক্ষা করি, তুমি আমার দেহে হেলান দিয়ে দাঁড়াও/ আমার মনে গভীর প্রভাব ফেলে, যদিও এ-দৃশ্য আর দেখা যায় না...
খ. গানটি শুনলে মনে কষ্টবোধ জাগে। আসলে এ-গানটি রচিত হয়েছে হাংচৌ শহরের একটি সুন্দর কাহিনী অবলম্বনে। সময়স্বল্পতার কারণে আজ আমরা সে-কাহিনী নিয়ে কথা বলবো না। তবে, আগামী অনুষ্ঠানে সে-গল্প হবে।
ক. বন্ধুরা, এখন আমি আপনাদের জন্য লিংইন মন্দিরের স্থাপত্য নিয়ে কিছু তথ্য জানাচ্ছি। লিংইন মন্দিরের ইতিহাস সুদীর্ঘকালের, তবে হাজার বছরের মধ্যে এটি কয়েকবার বিধ্বংস্ত হয়েছে। পরে আবার তা পুনর্গঠনও করা হয়েছে। মূল মন্দিরটির দুটি অংশ: থিয়ানওয়াং হল এবং তাসিয়োং হল। তাসিয়োং হলে গৌতম বুদ্ধের মূর্তি আছে, যার উচ্চতা ৯.১ মিটার। এ ছাড়া, বৌদ্ধ ধর্মের বিভিন্ন উচ্চপদস্থ সন্ন্যাসীর মূর্তিও হলের দু'পাশে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
খ. বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা হাংচৌতে বেড়াতে আসলে অবশ্যই লিংইন মন্দিরে এসে প্রার্থনা করে থাকেন। লিংইন মন্দির ছাড়া হাংচৌ শহরে আরও অনেক বিখ্যাত পর্যটন স্থান আছে। এর মধ্যে হুপাও ঝরনা এবং লোংচিং পাহাড় অনেক বিখ্যাত। আপনারা জানেন, চীনের চা বিশ্বখ্যাত। হাংচৌ শহরের লোংচিং চা-এর গুণগত মান সবচে ভালো। হুপাও ঝরনার পানিতে লোংচিং চা সত্যিই অসাধারণ। এ-পানীয় সুগন্ধযুক্ত এবং মজাদার।
ক. হ্যাঁ, যে-কোনো চা-ই শরীরের জন্য উপকারী। তবে, বসন্তকালের ছিংমিং উত্সবের আগে উত্পাদিত লোংচিং চা-এর কোনো তুলনা নেই। হুপাও ঝরনা ও লোংচিং চা-এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়ার আগে আমরা আরেকটি সুন্দর গান শুনবো। গানের নাম 'সিহু হ্রদের উইলো গাছ'।
খ. সিহু হ্রদের কাছে অনেক উইলো গাছ লাগানো হয়েছে। বসন্তকালে উইলোর নরম শাখা বাতাসে দোলে। তখন অসাধারণ সুন্দর এক দৃশ্যের অবতারণা হয়। দূর থেকে দেখলে মন জুড়িয়ে যায়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |