|
'হ্যালো, প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা, আমি এখন অতি জনপ্রিয় সানফাংছিসিয়াংয়ে দাঁড়িয়ে আছি। এখানে এসে প্রাচীনকালের বৈশিষ্ট্য উপলব্ধি করতে পারছি।'
শ্রোতাবন্ধুরা, আমরা শুনছিলাম তাইওয়ানের বেতার উপস্থাপিকা লিন ইয়ার ফুচৌ শহরের সানফাংছিসিয়াংয়ে ধারণকৃত কণ্ঠের অংশবিশেষ। তিনি তাইওয়ানের ২৬টি বেতারের প্রতিনিধি হিসেবে এবারের সাক্ষাত্কার কার্যক্রমে অংশ নেন।
সানফাংছিসিয়াংয়ের সংস্কৃতি ও সাংস্কৃতিক-সম্পদের সমৃদ্ধ আকর্ষণ উপলব্ধি করার পর তিনি সেখানে অবস্থিত লিন জুয়ে মিনের পুরনো বাসভবনে যান সাক্ষাত্কার নিতে।
'আমাদের প্রথম সফরের স্থান হলো লিন জুয়ে মিনের পুরনো বাসভবন। আমি যখন তাঁর লেখা 'স্ত্রীর সঙ্গে বিদায় নেয়া চিঠি' দেখি, তখন দারুণ মুগ্ধ হই। এর আগে আমি শুধু বইয়ে তাঁর সম্পর্কে পড়েছি। লেখাপড়ার সময় আমি তাঁর লেখা মুখস্ত করেছি। এ অনুভূতি আমার মনে গভীর ছাপ ফেলেছে।'
লিন জুয়ে মিন ছিলেন ফুচিয়ান প্রদেশের মিনহৌ জেলার অধিবাসী। চীনের সিনহাই বিপ্লব চলাকালে হুয়াংহুয়াকাংতে যে ৭২জন যোদ্ধা জীবন উত্সর্গ করেছিলেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন লিন জুয়ে মিন। ১৯১১ সালে কুয়াংচৌ বিদ্রোহ অংশ নেয়ার আগে তিনি 'স্ত্রীর সঙ্গে বিদায় নেয়া চিঠিটি' লিখেছিলেন। সিনহাই বিপ্লবের শহীদ হিসেবে লিন জুয়ে মিন ও তাঁর 'স্ত্রীর সঙ্গে বিদায় নেয়া চিঠিটি' তাইওয়ান প্রণালীর দু'তীরের কয়েক যুগের চীনা প্রবাসীদের ওপর গভীর প্রভাব ফেলেছে। এটি যেমন আবেগময় একটি প্রেমের চিঠি, তেমনি একটি দেশপ্রেমের প্রবন্ধ। লিন ইয়া একজন উপস্থাপিকা হিসেবে নিজের অনুভূতি নিয়ে কথা বলেন।
'একজন মহিলা সংবাদদাতা হিসেবে সাক্ষাত্কার নেয়া গভীর আবেগের ব্যাপার। এ কারণে আমি যখন লিন জুয়ে মিনের বাসভবনে ভ্রমণ করি তখন অনেক মুগ্ধ হই। তাঁর লেখা 'স্ত্রীর সঙ্গে বিদায় নেয়া চিঠির' শুরুতে তিনি নির্দিষ্টভাবে বিপ্লবের ঘটনা বর্ণনা করেছেন। তাঁর লেখা স্পষ্ট ও সুশৃঙ্খল। তবে পরে দেখা যায় তাঁর আবেগ বেশি হয়েছে, কথাও বেশি হয়েছে। অবশেষে তিনি আবিস্কার করেন, তাঁর কাগজ যথেষ্ট নয়। সেকারণে অক্ষর ধীরে ধীরে ছোট হয়ে যায় এবং লেখাও প্রথম দিককার মতো সুন্দর লাগে না। তা থেকে চিঠি লেখার সময় তাঁর আবেগের পরিবর্তন বোঝা যায়।'
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |