Web bengali.cri.cn   
খালের পুরনো নগর তাইএরচুয়াং
  2012-01-03 18:52:41  cri

যুদ্ধ-ধ্বংসাবশেষের সংরক্ষণ ও পুনর্গঠনের সঙ্গে সঙ্গে পুরনো নগর তাইএরচুয়াংয়ের খাল-সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য ও আকর্ষণ ৭০ বছরের পর আবার ফুটে উঠেছে। পুরনো স্থাপত্য, মন্দির, ছোট ছোট নৌকা, কালো পাথরসড়ক ও পুরনো বন্দর দেখলে মনে হয় যেন প্রাচীনকালে ফিরে গেছি। বিভিন্ন অঞ্চল থেকে পর্যটকরা এখানে বেড়াতে আসেন।

ক. "আমি প্রথমবারের মতো এখানে এসেছি। মনে হয় এটা তাইওয়ান অঞ্চলের সানসিয়া পুরনো সড়কের মতো। খুবই সুন্দর এবং প্রাচীনকালের বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন।"

তাইএরচুয়াং পুরনো নগরে আস্তে আস্তে হাঁটলে বিভিন্ন সময়ের ইতিহাস জানা যায়। পুরনো নগরে এলে মানুষের মন শান্ত হয়ে যায়। সময় যেন হঠাত্ থেমে যায় এবং আমাদের মনের দরজা খুলে যায়।

নগর ঘুরে দেখার সময় এক দম্পতির সঙ্গে দেখা আমাদের সংবাদদাতার। তাদের নাম লিউ ইউ সোং এবং স্যুয়ে হোং ইয়ান। তারা বিয়ের কাপড় পরে পুরনো নগরে বেড়াতে এসেছিলেন। লিউ ইউ সোং বলেন, "আমার জন্মস্থান এখানে। যদিও আমরা এখন বাইরে চাকরি করি, তবে বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য অবশ্যই জন্মস্থানে ফিরে আসতে হয়। এখন আমাদের পুরনো নগর এত সুন্দরভাবে নির্মিত হয়েছে যে, আমরা এখানে ফিরে এসে ছবি তুলি। পরে আমাদের বাইরের বন্ধু ও সহকর্মীদের দেখাই। এবার হচ্ছে আমাদের প্রথমবার পুরনো নগর আসা। খুবই আশ্চর্যজনক লাগছে।"

পুনর্গঠনের কারণে তাইএরচুয়াং পুরনো নগর চীনের বিভিন্ন অঞ্চলের পর্যটকদের আকর্ষণ করে। বিশেষ করে প্রণালীর দু'তীরের আদান-প্রদান কেন্দ্র হিসেবে নির্ধারণের পর প্রণালীর ড্রাগন নৌকা প্রতিযোগিতা, প্রবাসী তাইওয়ানিদের শারদীয় উত্সব এবং প্রণালীর দুই তীরের বিখ্যাত শিল্পীদের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

তাইএরচুয়াং পুরনো নগরের থাংস্যুয়ান নামক চীনামাটি দোকানের মালিক প্রবাসী তাইওয়ানি ইউ ছুন মিং বলেন, "এখানটা ধ্বংসাবশেষ থেকে বর্তমানের সুন্দর দৃশ্যে পরিণত হয়েছে। আমি তার স্বাক্ষী। স্থানটি ধীরে ধীরে আরও সুন্দর হয়েছে। আমি এ নগরকে আমাদের বন্ধু-বান্ধুবীদের কাছে পরিচয় দিতে চাই।"

তাইএরচুয়াং যুদ্ধের ৩১ ডিভিশনের স্টাফ প্রধানের মেয়ে ছু লিং ওয়ান বলেন, "তাইএরচুয়াং হলো আমাদের দ্বিতীয় জন্মস্থান। এখানে এলে প্রতিবারই নতুন পরিবর্তন দেখতে পাই। পুনর্গঠনের পর তাইএরচুয়াং হয়েছে দক্ষিণ চীনের জল-নগরের মতো। এর দৃশ্য অনেক আকর্ষণীয় লাগে।"

তাইওয়ানের বিখ্যাত লেখক ম্যাডাম ইউ ফু সিনের পূর্বপুরুষরা তাইএরচুয়াংয়ের অধিবাসী। আকস্মিক সুযোগ পেয়ে তিনি তাইএরচুয়াংতে এসে এখানে বসবাস করেন এবং এখানকার স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেন। "পুনর্গঠনের পর তাইএরচুয়াংয়ের ভাগ্যেও পরিবর্তন ঘটেছে। এ পরিবর্তনের সঙ্গে আমিও নিজের ভাগ্য সমন্বয় করেছি। গত বছরের এ সময়েও আমি কখনও এখানে আসার আর বসবাস করার কথা চিন্তা করিনি।"

যুদ্ধ শেষ হয়েছে অনেক আগে, কিন্তু মানুষের স্মৃতি যেন সেই পুরনো স্থানে এখনও আটকে আছে। আলোতে ছবিতে আঁকার মতো সুন্দর নদী শান্ত গতিতে বয়ে চলে। পুরনো সংস্কৃতির প্রতিফলন ঘটানোর সাথে সাথে এটা প্রণালীর দু'তীরের চীনাদের অভিন্ন স্বপ্ন ও ইচ্ছাকেও বয়ে নিয়ে চলে। (সুবর্ণা/এসআর)


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040