|
এ বছরের মে মাসে চীনের কুওমিনতাং পার্টির অবৈতনিক চেয়ারম্যান উ বুও সিয়োং তাইএরচুয়াংয়ে এসে এ পুনর্গঠিত পুরনো নগরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেন। তিনি বলেন, "এটা হচ্ছে আমার সারা জীবন মনে রাখার মতো একটি ব্যাপার। এ ব্যাপারের একটি অংশ হিসেবে যে গৌরব, বিশ্বের কোনও দেশের পুরনো নগর বা পুরাকীর্তিতে যাওয়ার সময় তা আমি অনুভব করি না। সেই জন্য এ স্থানটি প্রণালীর দুই তীরের আদান-প্রদান কেন্দ্র হিসেবে খুবই ভালো।"
তাইএরচুয়াং হলো চীনের প্রথম প্রণালীর দুই তীরের আদান-প্রদান কেন্দ্র। দুই হাজার নয় সালের ১৬ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এটা প্রতিষ্ঠিত হয়। এ স্থানটিকে আদান-প্রদান কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার মূল কারণ হলো এটির সঙ্গে ১৯৩৮ সালের তাইএরচুয়াং যুদ্ধের ঘনিষ্ট সম্পর্ক।
তেয়াত্তর বছর আগে তাইএরচুয়াং তুমুল লড়াইয়ের মধ্যে পড়ে। আগ্রাসী জাপানি সৈন্যদের প্রতিরোধ এবং স্বদেশভূমিকে রক্ষার জন্য ত্রিশ হাজার চীনা সৈন্য প্রাণ হারান। এ তুমুল যুদ্ধে জয় অচলাবস্থার মধ্যে পড়া চীনাদের মধ্যে আশার সঞ্চার করে এবং তাদের মধ্যে আস্থা তৈরি করে। তাইএরচুয়াং যুদ্ধের পর এ স্থানটি বিশ্ববিখ্যাত হয়ে ওঠে। এ যুদ্ধের স্বাক্ষী ৩১ ডিভিশনের স্টাফ প্রধান ছু শেনের মেয়ে ছু লিং ওয়ান বলেন, "এ যুদ্ধ চলাকালে আমরা ভেবেছিলাম সবাই যদি মারা যায়, তাহলে কী করবো? তবে তখন জাপানি শত্রুরা আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে। আর চিন্তা করার সময় ছিল না। সবাই সাহসিকতার সঙ্গে শত্রুদের প্রতিরোধ করতে থাকে।"
তাইএরচুয়াং যুদ্ধস্মৃতি জাদুঘরের উপ-মহাপরিচালক লিউ ইয়ান বলেন, "তখন জাপানি সৈন্যের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। চীনের সৈন্যদের প্রায় ৩০ হাজার মারা যান। গোটা তাইএরচুয়াংয়ের এখানে-সেখানে মৃত্যুদেহ ছড়িয়ে ছিল এবং রক্তের নদী প্রবাহিত হয়। মৃত সৈন্যদের লোহাবর্মে শহরের নদীর খালটি ভরে যায়। গোটা তাইএরচুয়াং ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়।
![]() |
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |