|
দক্ষিণ চীনের হাইনান প্রদেশের হাইখৌ শহরে শিশান নামে একটি জেলা আছে, সেখানে একটি পুরনো গ্রাম রয়েছে। সেখানকার সবই জিনিসেরই আগ্নেয়গিরির পাথরের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক রয়েছে। স্থানীয় লোকজন কয়েক শ' বছরে আগ্নেয়গিরির পাথর দিয়ে বৈশিষ্ট্যময় পাথরগ্রাম নির্মাণ করেছে। পাথর দরজা, পাথর বাসভবন, পাথর সড়ক ও পাথর জাঁতা - জীবনযাপনের স্থাপত্য ও যন্ত্রপাতি সবই আগ্নেয়গিরির পাথর দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। এ গ্রামে আসলে মনে হয়, যেন একটি আগ্নেয়গিরির পাথরের বিশ্বে প্রবেশ করা হয়েছে। হাইখৌ শহরের জাতীয় আগ্নেয়গিরি ভূতত্ত্ব পার্কের কাছে অবস্থিত রোংথাং গ্রাম হলো হাজার বছরের ইতিহাসিক পাথরগ্রাম। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা এ পাথরগ্রাম ভ্রমণ করবো।
হাইখৌ শহর থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে আধা ঘন্টা গাড়ি চালিয়ে আমরা হাজার বছরের ইতিহাসিক রোংথাং গ্রামে পৌঁছেছি। এ পুরনো গ্রামের দৃশ্য অবাক করার মতো। পাথর দিয়ে তৈরি তোরণ, পাথর বাসভবন, পাথরের পথ ছাড়াও গ্রামে প্রবেশ করার পর নানা জায়গায় ধূসর রঙের আগ্নেয়গিরির পাথর দেখা যায়। এ পাথরের ওপর মধুচক্র আকারের ক্ষুদ্র গুহা রয়েছে, যেটা যেন লোকজনের কাছে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুত্পাতের সময়ের দৃশ্য ও ইতিহাসিক গল্প বর্ণনা করছে।
গ্রামের প্রবেশ পথে কয়েকজন প্রবীণকে দেখা যায় গাছের ছায়ায় বসে হাইনান প্রদেশের অপেরা শুনছেন এবং গল্পগুজব করছেন। একানব্বই বছর বয়স্ক চোং ছাও ইউয়ান আমাদেরকে জানান, রোংথাং গ্রামে আগে ৬০টি পরিবার ছিল। প্রায় ২০ বছর আগে গ্রামবাসীরা পুরনো গ্রাম থেকে সরে গেছে এবং অদূরে রাস্তার কাছে নিজেদের বাড়ি নির্মাণ করেছে। বর্তমানে গ্রামে মাত্র পাঁচ ছয়টি পরিবারের প্রবীণ মানুষ বসবাস করেন। পুরনো বাড়ি ত্যাগ না করা প্রবীণরা প্রতিদিন গ্রামের প্রবেশ এলাকায় জড় হন এবং পুরনো গ্রামটির ঐতিহ্যকে রক্ষা করেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |