এ গ্রামের সম্পাদক হিসেবে সর্বপ্রথম পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের মাধ্যমে হুয়াং ই ছেং গ্রামবাসীদের জন্য একটা দৃষ্টান্ত সৃষ্টি করেছেন। জলাভূমির কেন্দ্রীয় অঞ্চলের ৯২টি পরিবারকে অন্য জায়গায় স্থানান্তর করার পর আগের সবজি ক্ষেত ও কৃষি ক্ষেত জলাভূমিতে পরিণত হয়েছে। তাচিউ হ্রদ জাতীয় জলাভূমি পার্কের প্রশাসনিক ব্যুরো ১১টি প্রাকৃতিক হ্রদ স্থাপন করেছে। এভাবে প্রাকৃতিক পরিবেশ উন্নত হয়েছে। চীনের শ্রেষ্ঠ পাখি কালো সারসসহ ১৩টি পাখি তাচিউ হ্রদ জলাভূমিতে ফিরে এসেছে। বর্ষাকালে এ হ্রদ জলাভূমির আয়তন দাঁড়ায় ৫০০০ একরে। শুষ্ক মৌসুমে প্রাকৃতিক জলাভূমির ১৫০০ একর আয়তন পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। সংবাদদাতা বলেন, "এখন শরত্কালের শুরু। সবুজ হ্রদের সর্পিলাকারের কাঠ সেতুতে হেঁটে মৃদু সমীরণ অনুভব করছি। এখানে শান্ত ও সুন্দর পাহাড়ের প্রতিছবি হ্রদে দেখা যায়, বিভিন্ন ধরনের পশু আয়েশে ঘাস খায়। হ্রদে জোয়ার ভাটা দেখা যায়। পানি মাঝে মাঝে অন্ধকার বাঁধ দিয়ে ভেসে যায় এবং মাঝে মাঝে ঘাসের ফাঁক থেকে ভেসে যায়। ফলে পানি জলাভূমির ৪৭টি ছোট গুহার মধ্যে চলে যায়।"

    এসব ছোট গুহা হল হানচিয়াং নদীর বৃহত্তম শাখা তু নদীর উত্স। তু নদীর পানি পাহাড়ের অন্য দিক থেকে আশ্চর্যজনকভাবে ভেসে যায় এবং দক্ষিণ চীনের পানি উত্তর চীনে আনার প্রকল্পের আরম্ভবিন্দু তানচিয়াংখৌ জলাধারে মেশে। তাচিউ নদীর পরিস্কার ঝাড় অবশেষ রাজধানী পেইচিং ও উত্তর চীনের গুরুত্বপূর্ণ শহর থিয়ানচিনে আনা হয়। এটা তাচিউ হ্রদ জলাভূমির প্রাকৃতিক ব্যবস্থা সংরক্ষণ করার উদ্দেশ্য শ্রেষ্ঠ শ্যাওলা বাঁচানোর মাটি প্রদান করার পাশাপাশি মধ্য চীনের জল-পরিবেশের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

    তাচিউ হ্রদের পাশে কয়েকজন পর্যটক হাতের কলম দিয়ে চিত্র আঁকেন। পর্যটক ছেন বলেন, তাচিউ হ্রদ শহর থেকে অনেক দূরে। এটা স্বর্গের মতো সুন্দর। এটাকে অবশ্যই ভালভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।

    "এখানে দারুণ প্রশান্তি লাগে। আমার ধারণায় এটা সরাসরি প্রকৃতির সামনে দাঁড়ানো। এখানে উদ্ভিদ সম্পর্কিত ধারণার সুযোগও খুব বেশি। বিভিন্ন ধরনের উদ্ভিদের পাতার রঙ ভিন্ন ভিন্ন। এ জন্য এ বনের রঙ বেশ বৈশিষ্ট্যময়।"  (সুবর্ণা/এসআর)