|
সুন ইয়াত সানের মনোযোগের জন্য ১৯১১ সালে বন্ধ্যা পুখৌ বন্দরে পুখৌ রেলস্টেশন নির্মাণ করা হয়। তখন রেলপথের নাম ছিল চিনপু রেলপথ, তা হল থিয়ানচিন থেকে পুখৌ পর্যন্ত । ১০০ বছরের মধ্যে ট্রেনের হুইশলের শব্দে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা যাওয়া যাত্রীরা তার মাধ্যমে যাতায়াত করতো।
১৯১৮ সালের শীতকালে চীনের বিখ্যাত পণ্ডিত, লেখক চু জি ছিং এখানেই ট্রেন স্টেশনে বসে লেখাপড়া করতেন। পুখৌ রেলস্টেশনে তাঁর পিতাকে বিদায় দিয়ে চীনের জনপ্রিয় কাব্যগ্রন্থ 'বাবা'র পিঠে ঝোলানো ব্যাগ' লিখেছে। ১৯২৭ সালে কুও মো রুও পুখৌ রেলস্টেশন ছেড়ে দিয়ে জাহাজে বসে চিয়াংসি প্রদেশের নানছাং শহরের বিপ্লবে অংশ নিতেন। ১৯২৯ সালের মে মাসে সুন ইয়াত সানের শবাধার পেইচিং থেকে পুখৌ রেলস্টেশনে পৌঁছে এবং নদী অতিক্রম করে অবশেষে চোংশান সমাধিতে স্থাপন করা হয়। ১৯৪৯ সালের এপ্রিল মাসে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য তেং সিয়াও পিং ও জু দে আনহুই প্রদেশের হোফেই থেকে পুখৌ রেলস্টেশনে পৌঁছান এবং গাড়িতে প্রেসিডেন্ট ভবনে প্রবেশ করেছেন। নানচিংয়ে মুক্তির উজ্জ্বলতা এসেছে। ইতিহাসে পুখৌ রেলস্টেশনের গল্প অতি সুউজ্জ্বল। ১০০ বছর পর যদিও পুখৌ রেলস্টেশন পুরনো হয়েছে, তবে তার ইতিহাস নতুন যুগের মর্ম হিসেবে লোকজনকে উত্সাহ দেয়।
নানচিং শহরের অধিবাসী পান হুই চুয়ান পুখৌ রেলস্টেশনের কাছে বসবাস করেন। যদিও পুরনো রেলস্টেশন বন্ধ হওয়ার জন্য একটু দুঃখ পেয়েছেন, তবে পুখৌ'র নতুন পরিবর্তন তাঁকে অনেক আনন্দিত করেছে। "আমাদের পরিবারের পূর্বপুরুষরা এখানে বসবাস করতেন। আমার দাদা বলেছেন, প্রতি বছর এখানে পরিবর্তন দেখা যায়। যদিও রেলস্টেশন আরও ব্যবহার করা যায় না, তবে তার পরিবর্তে ইয়াংসি নদী সেতু, ইয়াংসি নদীর সুরঙ্গ নির্মিত হয়েছে এবং এসব ব্যবস্থাপনা আরও সুবিধাজনক। পুখৌ নতুন শহর ও উন্নয়ন এলাকা নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এ স্থানটি আরও সমৃদ্ধ হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে আরও ভালো হবে।
১০০ বছর আগে সুন ইয়াত সানের 'বাস্তব পরিকল্পনায়' পুখৌর নির্মাণ কাজ একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। তিনি উল্লেখ করছিলেন, নানচিং শহর ও পুখৌ অঞ্চল সংযুক্ত করার জন্য ইয়াংসি নদীর নিচে একটি সুরঙ্গ নির্মাণ করতে হবে। বর্তমানে জনাব সুন ইয়াত সানের ইচ্ছা বাস্তবায়িত হয়েছে এবং নানচিং শহরের উন্নয়ন আরও ভালো হয়েছে। ১৯৬৮ সালের অক্টোবর মাসে নানচিং ইয়াংসি নদীর সেতু চালু হয়েছে, ২০১০ সালের মে মাসে ইয়াংসি নদীর সুরঙ্গ চালু হয়েছে। ২০১০ সালের ১০ জানুয়ারি পুখৌ নতুন শহরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। তাছাড়া, ২০১৪ সালে নানচিংয়ে যুবকদের দ্বিতীয় অলিম্পিক গেমস আয়োজনের আগে, আরও তিনটি সাবওয়ে নির্মাণ করতে হবে। এর মধ্যে দুটি লাইন পুখৌ নতুন শহর ও নানচিং শহরের সঙ্গে সংযুক্ত হবে।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |