প্রদর্শনীতে তিনি সংবাদদাতাকে ইলানের উত্পাদিত লাল শিশির মদের সাথে পরিচয় করিয়ে দেন। কারণ তার সাথে চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্কিত।

    "লাল শিশির মদ-এর ফুচিয়ান প্রদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ট সম্পর্ক আছে। কারণ এক শ'রও বেশি বছর আগে এ মদ ফুচিয়ান থেকে ইলানে আমদানী করা হয়েছে। আমার কার্যমেয়াদে এ মদ ইলান জেলার বৈশিষ্ট্যময় মদ হিসেবে নির্ধারিত হয়েছে। ইলান জেলার লোকজন সবসময় এ মদ দিয়ে অতিথিদের অভ্যের্থনা জানায়।"

    ঐতিহ্যিক লাল শিশির মদ এক শ' রও বেশি বছরের মধ্যে তাইওয়ান ও ফুচিয়ানের আদান-প্রদানকে প্রমাণ করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দু'টি অঞ্চলের বেসরকারী আদান-প্রদান আরও ঘনিষ্ট হয়েছে। দু'টি অঞ্চলের মধ্যে বৈশিষ্ট্যময় জেলার মধ্যে আদান-প্রদান হল এর মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ২০০৯ সাল থেকে ফুচিয়ান প্রদেশ প্রচেষ্টা চালিয়ে এ আদান-প্রদান ত্বরান্বিত করেছে। প্রায় ১১০ দলের জেলা আদান-প্রদান ও সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে তুলেছে। প্রণালীর দু'তীরের আদান-প্রদানের মাধ্যমে কৃষি শিল্প, পশু পালন, কৃষিজাত দ্রব্য প্রক্রিয়াকরণ, গ্রাম পর্যটন ও শহর নির্মাণসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের সহযোগিতার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা হয়েছে। ফুচিয়ান প্রদেশের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের আদান-প্রদান বিভাগের পরিচালক ছেন শি হাই বলেছেন, "এবার বৈশিষ্ট্যময় জেলা প্রদর্শনী স্টেডিয়াম আয়োজনের মাধ্যমে গত দুই তিন বছরের মধ্যে আদান-প্রদানের সাফল্য ছবির মাধ্যমে প্রদর্শন করা হয়েছে। যাতে আরও বেশি তাইওয়ানের জেলা ফুচিয়ানে আসার উত্সাহ দেয় এবং ফুচিয়ানের বিভিন্ন জেলা তাইওয়ানের সঙ্গে যোগাযোগ করার উত্সাহ দেয়। এভাবে প্রণালীর দু'তীরের জেলা ও কৃষকদের জন্য কল্যাকর হবে এবং উন্নত হবে। আদান-প্রদানের মাধ্যমে তাইওয়ানের অনেক কৃষক ফুচিয়ানে এসে বৈশিষ্ট্যময় কৃষি শিল্পের উন্নয়ন করছে। তারা কৃষি ক্ষেত ভাড়া করার মাধ্যমে নিজেদের কৃষি শিল্প উন্নয়ন করে। কিছু কিছু কৃষকরা নিজেদের কৃষিজাত দ্রব্য ফুচিয়ানে সম্প্রসারণ করেছে।"

    ইলান স্টেডিয়ামের প্রধান ছেন রোং থাং পরিচয় করে বলেছেন, ইলান চা উত্পাদন করে এবং ফুচিয়ান প্রদেশের নিংতেও চা উত্পাদন এলাকা। চলতি বছরের জুন মাসে আয়োজিত প্রণালী ফোরামে ইলান জেলার সানসিং ও ছিয়াওশি জেলাসহ ৮টি জেলা আলাদা আলাদাভাবে ফুচিয়ান প্রদেশের নিতে জেলার শেখৌ উপজেলা ও সিয়াওইয়াং উপজেলার সঙ্গে সহযোগিতা করেছে। তখন তাইওয়ান জেলার প্রতিনিধিরা ফুচিয়ান প্রদেশের ফু'আন জেলায় গিয়ে স্থানীয় অঞ্চলের কালো চা খেয়েছে, খুবই পছন্দ করে।

    "ফুচিয়ানের উত্পাদিত চা'র পরিমাণ বেশি। প্রণালীর দু'তীরের পারস্পরিক আদান-প্রদান ও শেখার মাধ্যমে অভিজ্ঞতা বিনিময় করা যায়।"

    এ ধরনের অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রণালীর দু'তীরের জনগণের পারস্পরিক সমঝোতা ত্বরান্বিত করা হয়েছে এবং পরস্পরের মৈত্রী গভীরতর করা হয়েছে। ২০১০ সালে দ্বিতীয় প্রণালী ফোরাম চলাকালে ফুচিয়ান প্রদেশের সানমিং জেলা এবং তাইওয়ানের সঙ্গে ৬৩টি আদান-প্রদান ও সহযোগিতার চুক্তি আর বাণিজ্যিক প্রকল্প চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এক বছরের মধ্যে দু'পক্ষের জেলাগুলোর মধ্যে ঘনিষ্ট যোগাযোগ বজায় রেখেছে। সানমিং জেলায় আধুনিক কৃষির নতুন প্রযুক্তি,শিল্প উন্নয়ন ও নির্মাণ এবং জেলার কৃষি প্রকল্পের সম্প্রসারণ ক্ষেত্রে অনেক কল্যাণকর হয়েছে।

    এ অনুষ্ঠানে অংশ নেয়ার জন্য পেইচিং থেকে আসা চীনের তাইওয়ান বিষয়ক কার্যালয়ের আদান-প্রদান ব্যুরোর প্রধান ছেং চিন চোং প্রণালীর দু'তীরের আদান-প্রদানের সাফল্য দেখে অনেক খুশি হন। তিনি বলেছেন, প্রণালীর দু'তীরের জেলাগুলোর আদান-প্রদান হচ্ছে প্রণালীর দু'তীরের সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ফুচিয়ান প্রদেশ এ কাজের ওপর গুরুত্ব দেয় এবং সাফল্য অর্জন করেছে। আদান-প্রদান ও সহযোগিতার মাধ্যমে দু'পক্ষ সাফল্যের অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে পারে এবং যৌথভাবে সহযোগিতার পারস্পরিক কল্যাণকর ব্যবসার সুযোগ খুঁজে বের করতে পারে। যাতে প্রণালীর দু'তীরের গণ জীবিকার জন্য কল্যাণকর হয়।

    (সুবর্ণা/আবাম)