|
তিনি বলেছেন, তখন পর্যটকরা মাঝে মাঝে তাঁর তাঁবুঘরে বেড়াতে আসে। এ ধরনের পশুপালকদের জীবনযাপন উপভোগ করার পদ্ধতি তাঁকে উত্সাহিত করে। ফলে তিনি এবং তাঁর বাবা মা পরিবারের দু'টি তাঁবু ঘর ব্যবহার করে পারিবারিক হোস্টেল চালু করেছেন। কয়েক মাস পর পর্যটকদের মধ্যে তাঁদের তাঁবুঘর বিখ্যাত ও জনপ্রিয় হয়েছে এবং তাঁদের পরিবারের জন্য প্রচুর আয় এনেছে।তিনি তাঁবুঘরের আয় দ্বিতীয় বছরের ব্যবসায় পুঁজি বিনিয়োগ করেছেন, অব্যাহতভাবে অভ্যর্থনার স্কেল বাড়িয়েছেন, বর্তমানে তাঁদের পরিবারে মোট ১২টি তাঁবুঘর নির্মিত হয়েছে এবং পর্যটকদের সংখ্যাও অনেক বৃদ্ধি হয়েছে।
গ্রীষ্মকালের তৃণভূমির দৃশ্য অতি সুন্দর, তা হল তৃণভূমিতে পর্যটনের সোনালী সময়পর্ব এবং টাটকা দূধ ফসলের সময়। মঙ্গোলিয় জাতির লোকেরা দূধ দিয়ে নানা ধরনের খাবার তৈরী করে। এ সব দূধ খাবারের মজুত পরিবারের সদস্য ও পর্যটকদের বৈশিষ্ট্যময় হাল্কা খাবারে পরিণত হয়েছে। পর্যটকরা পশুপালাকদের কাছ থেকে দূধ তৌফু, দূধ চা ও সিদ্ধ খাঁসির মাংসের রান্নার উপায় শিখতে পারে। ছাগল পালনের মাধ্যমে স্থানীয় অঞ্চলের পশুপালকদের জীবনযাপন অনুভব করা যায়।
তৃণভূমিতে মানোনীয় অতিথিদের অভ্যের্থনার সুস্বাদু খাবার হল খাঁসির মাংস। এখানে আসা পর্যটকদের ভালভাবে মঙ্গোলিয় জাতির ঐতিহ্যিক সুস্বাদু খাবার উপভোগ করার জন্য সা রেন ছি মু কে মনোযোগ দিয়ে খাঁসির মাংসের রোস্ট তৈরী করেন। তাঁবঘরের বাইরে বিশেষ ওভেনে ভেসে যাওয়া রোস্ট খাঁসির মাংসের সুগন্ধ পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
খাঁসির মাংস ধোয়ার পর, আমরা মাংসের ওপর মঙ্গোলিয় জাতির ব্যবহৃত এক ধরনের উপকরণ মেখে ফেলি, তারপর টাটকা মাংস ঝুলিয়ে করে ৪০ মিনিট রোস্ট করি,তখন এ মাংস খাওয়া যায়।
প্রতি বছরের গ্রীষ্মকালে বারহু তৃণভূমির মো রি কে লে নদীর পাশাপাশি অনেক পশুপালক জমে থাকে। তখন একটি যাযাবর জাতির উপজাতি সৃষ্টি হয়, এখানকার সকল দৃশ্য এত সুষম ও শান্ত। তাঁবুঘর হল মঙ্গোলিয় জাতির অস্থায়ী বাসভবন। নলখাগড়া ও উইলোর শাখা দিয়ে গঠিত তাঁবুঘর হল বারহু অঞ্চলের মঙ্গোলিয় জাতির বিশেষ বাসভবন। এর বৈশিষ্ট্য হল গ্রীষ্মকালে বৃষ্টি প্রতিরোধ করা। তৃণভূমির পশুপালকদের বাসায় এসে তাদের বসবাস ও শ্রমের পদ্ধতি বুঝলে অনেক মজা লাগবে।
সন্ধ্যাবেলায় কুয়াংতুং পর্যটকদের খাঁসির মাংসের রোস্ট রান্না হয়েছে। সুস্বাদু ও সোনালী রঙয়ের খাঁসির মাংস পর্যটকদের পছন্দ হয়েছে।
তাঁবুঘরের মিষ্টি হাসি ও সুখী কন্ঠে সা রেন ছি মু কে'র বাসায় কুয়াংতুং পর্যটকদের একদিনের ভ্রমণ শেষ হবে। আন্তরিক মালিক সাদা হাদা প্রদান করে সবার জন্য মঙ্গোলিয় জাতির গান গাইচ্ছেন। তারা মনের সবচেয়ে আন্তরিক শুভেচ্ছা দূরদূরান্ত থেকে আসা অতিথিদেরকে জানিয়েছে। সুগন্ধী খাঁসির মাংস ও দূধ চার রাতে সবাই হাত হাত মিলিয়ে গান গাওয়া, নাচ করা। এ সুন্দর রাত চিরদিন তাদের মনে রাখবে।
গ্রীষ্মকালের অন্তর্মঙ্গোলিয়ার তৃণভূমি শান্ত থেকে সরগরম হয়ে উঠে। আনন্দদায়ক নাদামু উত্সব, পবিত্র প্রার্থনার অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ঐতিহ্যিক পশুপালকদের অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়। সুযোগ পেলে আপনারা অবশ্যই তৃণভূমিতে বেড়াতে আসবেন।
(সুবর্ণা/আবাম)
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |