|
ভাল গান ও নৃত্যের মাধ্যমে মঙ্গোলিয় জাতির লোকেরা নিজেদের অনুভূতি প্রকাশ করতে চায়। বিশেষ করে তৃণভূমিতে আত্মীয়স্বজন ও ঘনিষ্ট বন্ধুর সম্মিলনী আর উত্সব উদযাপনের সময় তারা এটা করে থাকে। আজকে এত বেশি পর্যটক এখানে এসেছে, নাচ গান অবশ্যই প্রদর্শন করতে হবে। কুয়াংতুং প্রদেশের পর্যটকরা প্রথমবারের মতো মঙ্গোলিয় জাতির নাচ পরিবেশন করবে। তৃণভূমির মঙ্গোলিয় জাতির আন্তরিক চরিত্র তাদেরকে গভীর মুগ্ধ করেছে।
অতি ক্লান্ত লাগে, তবে খুবই মজা।
সা রেন ছি মু কে'র যে তাঁবুঘরে প্রবেশ করে, তার মাঝখানে চেঙ্গিস খানের ছবি ঝোলানো রয়েছে। ঐতিহ্যিক মঙ্গোলিয় জাতির সুন্দর ছবি আঁকার আলমারির ওপর গৌতম বুদ্ধের মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। তাঁবুঘরের মালিক অতিথিদের জন্য গরম দুধ চা এবং মাখনসহ বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি দুধ খাবার প্রদান করেন।
সা রেন ছি মু কে প্রতিদিন অতিথিদের অভ্যের্থনা করা ছাড়াও নিয়মিত পশুপালকদের জীবনযাপন কাটাতে হয়। তাঁর বাসায় ৫০০০রও বেশি একর তৃণভূমি ও ৪০০টিরও বেশি ছাগল আছে। ২০০১ সালে হুলুনবের ইনস্টিডিউটে ভর্তি হওয়ার পর তিনি আর শহরে থাকেন না, তবে জন্মস্থানে ফিরে এসে পশুপালকের জীবনযাপন শুরু করেন।
২০০১ সালে ভর্তি হওয়ার পর আমি বাবা মাকে পশুপালনে সাহায্য করার জন্য ফিরে এসেছি। আমার বাবা মা তিনজন বাচ্চাদের জন্য অনেক অবদান রেখেছেন। আমার বাবা মা'র জীবনযাপন খুবই কঠোর শ্রমসাধ্য। আমার এ পরিবারের বড় বাচ্চা হিসেবে তাদের যত্ন নেয়ার দায়িত্ব পালন করা উচিত।
এর আগে সা রেন ছি মু কে'র বাবা মা তিনজন বাচ্চা লেখাপড়া করার জন্য তাদের তৃণভূমি ও পশুগুলোকে অন্যান্য লোকদের দিয়েছে। দীর্ঘকাল তৃণভূমি প্রশাসন অভাবের কারণে এখানকার প্রাকৃতিক তৃণভূমির অবনতি হয়েছে। তখন সা রেন ছি মু কে পশুপালন এলাকায় ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। প্রথমে তিনি পর্যটকদের অভ্যের্থনার কোনো পরিকল্পনা চিন্তা করেন নি, তাঁর একমাত্র ইচ্ছা হল তৃণভূমির উন্নতি করা এবং পশুদের সংরক্ষণ করা।
তখন আমাদের বাসার পূর্ব দিকে একটি পর্যটন স্থান আছে, সেখানকার পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেশি। আমাদের বাসা রাস্তার পাশে নির্মিত হয়েছে, পর্যটকরা আমাদের পশুপালকদের জীবনযাপনের পদ্ধতি উপলব্ধি করতে চায়।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |