|
২০০১ সালে সা রেন ছি মু কে নিজের পরিবারের চারণভূমিতে 'সুখী তৃণভূমি'নামক পর্যটন হোটেল চালু করেছেন। তিনি পর্যটন হোটেল চালু করার পাশাপাশি ঐতিহ্যিক পশুপালনের জীবনযাপনও করেন।
সা রেন ছি মু কে ও তাঁর মা তৃণভূমির অধিকাংশ মহিলাদের মতোই দিনের জীবনযাপন গাই দোয়ানো ও দূধের খাবার তৈরী করা থেকে শুরু হয়। ভোরবেলায় হাতের কাজ সম্পন্ন করার পর তিনি দূধ চা তৈরি করতে শুরু করেন। গরম চা তৈরি হওয়ার পর ফুটানো পানিতে লাল রঙয়ের চা পাতা দেখা যায়। সাদা দূধ চায়ে রেখে দুধ চায়ের সুগন্ধ গোটা তাঁবুঘরে ভেসে বেড়ায়। গাই দোয়ানো ও দূধ চা তৈরী শেষে তিনি একদিনের মধ্যে প্রথম দলের অতিথিদের অভ্যর্থনা করেন। এরা হলেন দক্ষিণ চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।
প্রথমবারের মতো তৃণভূমিতে বেড়াতে আসা কুয়াংতুং প্রদেশের পর্যটকদের জন্য এটি একটি নতুন ব্যাপার ও অনুভব। সবাই সুন্দর রঙয়ের মঙ্গোলিয় জাতির কাপড় পড়ে মঙ্গোলিয় জাতির ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলে। বিশেষ করে সা রেন ছি মু কে'র বাসার কয়েকটি ঘোড়া পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।
ঘোড়া চড়ে সীমান্তহীন তৃণভূমিতে দৌড়াদৌড়ি একটি আরামদায়ক ব্যাপার। সবুজ তৃণভূমি, মো রি কে লে নদীর পাশে হাল্কা চিমনির ধোয়া সম্পন্ন তাঁবুঘর আর আরামদায়কভাবে ঘাস খাওয়া গরু ও ছাগলের দৃশ্য পর্যটকদের জন্য একটু সুন্দর দৃশ্য গড়ে তুলেছে। সবাই মিষ্টি হাসি ও সুখী কন্ঠে তৃণভূমির সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেন।
পশুপালক: আমাদের তৃণভূমিতে সূর্যোদয় অনেক আগে শুরু হয়।
পর্যটক: তাহলে সুর্যাস্ত কয়টায় হবে?
পশুপালক: রাতে সাড়ে নয়টায় লাল সুর্য্য এখান থেকে নেমে যাবে।
পর্যটক: আজকে আমরা এখানে থাকবো। এখানে সুর্যাস্ত ও সুর্যোদয় দেখবো।
পশুপালক: ঠিক আছে। আমরা এখানে অগ্নি প্রজ্বলন করি এবং নৃত্য করি।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |