Web bengali.cri.cn   
অন্তর্মঙ্গোলিয়ার মো রি গে লে নদীতে তৃণভূমির দৃশ্য উপভোগ
  2011-09-20 15:48:26  cri
    মঙ্গোলিয় জাতির মেয়ে সা রেন ছি মু কের পরিবার ও তাদের পূর্ব পুরুষরা সুন্দর বারহু তৃণভূমির মো রি কে লে নদীর পাশে বসবাস করেন। বিশ্বের সবচেয়ে আঁকাবাঁকা নদীর সুনামের অধিকারী মো রি কে লে নদীর উত্স উত্তরপূর্ব চীনের তাসিংআনলিং বনাঞ্চলের পশ্চিম তীরে অবস্থিত, এঁকেবেঁকে বারহু তৃণভূমি অতিক্রম করেছে। বারহু তৃণভূমি হল অন্তর্মঙ্গোলিয়ার হুলুনবেরের বিখ্যাত প্রাকৃতিক চারণভূমি। সুন্দর গ্রীষ্মকালে বারহু তৃণভূমি একটি সীমান্তহীন সবুজ সমুদ্রের মতো দেখায়। লাল ও নীল রঙয়ের ফুল ফুটে, নীল আকাশে সাদা সাদা মেঘ ভেসে বেড়ায়, বাতাসের সাথে সুগন্ধী ঘাস ও ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে থাকে। এসব দৃশ্য আরামদায়ক অনুভব সৃষ্টি করার কারণে প্রতি বছর এখানে এসে গ্রীষ্মকালের ছুটি কাটানো লোকজনের সংখ্যা অব্যাহতভাবে বেড়েছে। বিশেষ করে পশুপালকদের বাসায় তৃণভূমির রীতিনীতি অনুভব করা পর্যটকের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।

    ২০০১ সালে সা রেন ছি মু কে নিজের পরিবারের চারণভূমিতে 'সুখী তৃণভূমি'নামক পর্যটন হোটেল চালু করেছেন। তিনি পর্যটন হোটেল চালু করার পাশাপাশি ঐতিহ্যিক পশুপালনের জীবনযাপনও করেন।

    সা রেন ছি মু কে ও তাঁর মা তৃণভূমির অধিকাংশ মহিলাদের মতোই দিনের জীবনযাপন গাই দোয়ানো ও দূধের খাবার তৈরী করা থেকে শুরু হয়। ভোরবেলায় হাতের কাজ সম্পন্ন করার পর তিনি দূধ চা তৈরি করতে শুরু করেন। গরম চা তৈরি হওয়ার পর ফুটানো পানিতে লাল রঙয়ের চা পাতা দেখা যায়। সাদা দূধ চায়ে রেখে দুধ চায়ের সুগন্ধ গোটা তাঁবুঘরে ভেসে বেড়ায়। গাই দোয়ানো ও দূধ চা তৈরী শেষে তিনি একদিনের মধ্যে প্রথম দলের অতিথিদের অভ্যর্থনা করেন। এরা হলেন দক্ষিণ চীনের কুয়াংতুং প্রদেশের একটি মাধ্যমিক স্কুলের শিক্ষকবৃন্দ।

    প্রথমবারের মতো তৃণভূমিতে বেড়াতে আসা কুয়াংতুং প্রদেশের পর্যটকদের জন্য এটি একটি নতুন ব্যাপার ও অনুভব। সবাই সুন্দর রঙয়ের মঙ্গোলিয় জাতির কাপড় পড়ে মঙ্গোলিয় জাতির ছেলে মেয়েদের সঙ্গে ছবি তুলে। বিশেষ করে সা রেন ছি মু কে'র বাসার কয়েকটি ঘোড়া পর্যটকদের কাছে প্রিয় হয়ে উঠেছে।

    ঘোড়া চড়ে সীমান্তহীন তৃণভূমিতে দৌড়াদৌড়ি একটি আরামদায়ক ব্যাপার। সবুজ তৃণভূমি, মো রি কে লে নদীর পাশে হাল্কা চিমনির ধোয়া সম্পন্ন তাঁবুঘর আর আরামদায়কভাবে ঘাস খাওয়া গরু ও ছাগলের দৃশ্য পর্যটকদের জন্য একটু সুন্দর দৃশ্য গড়ে তুলেছে। সবাই মিষ্টি হাসি ও সুখী কন্ঠে তৃণভূমির সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করেন।

    পশুপালক: আমাদের তৃণভূমিতে সূর্যোদয় অনেক আগে শুরু হয়।

    পর্যটক: তাহলে সুর্যাস্ত কয়টায় হবে?

    পশুপালক: রাতে সাড়ে নয়টায় লাল সুর্য্য এখান থেকে নেমে যাবে।

    পর্যটক: আজকে আমরা এখানে থাকবো। এখানে সুর্যাস্ত ও সুর্যোদয় দেখবো।

    পশুপালক: ঠিক আছে। আমরা এখানে অগ্নি প্রজ্বলন করি এবং নৃত্য করি।


1 2 3
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040