Web bengali.cri.cn   
ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানে ভ্রমণ
  2010-12-21 20:41:50  cri

 ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানের ধ্বংসাবশেষ

 বন্ধুরা, পেইচিংয়ের পশ্চিম উপকন্ঠে রয়েছে একটি প্রাচীনকালের রাজকীয় বাগান, বর্তমান ধ্বংসাবশেষ পার্ক – ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যান। এর আয়তন ৩৫০ হেক্টর। ছিং রাজবংশের সম্রাটদের একটানা ১৫০ বছর ধরে নির্মিত এ বিরাট রাজকীয় বাগান দুর্ভাগ্যজনকভাবে ১৮৬০ সালে বৃটেন ও ফ্রান্সের যৌথ বাহিনীর হাতে বলতে গেলে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে যায়। এখন এ বাগানটিতে অতীতকালের উজ্জ্বলতা না থাকলেও এ বাগানের অতুলনীয় কীর্তি সংরক্ষিত রয়েছে। আজকের অনুষ্ঠানে আমরা প্রথমে এ বাগানে বেড়াতে যাবো।

ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানের পাথর সেতু

ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ১৭০৭ সালে। এ বাগানে ১৫০টিরও বেশি দর্শনীয় স্থান রয়েছে। এ বাগান প্রধানতঃ তিনটি ভাগে বিভক্ত। তা হচ্ছে ইউয়ান মিং ইউয়ান, ছাংছুন ইউয়ান আর ওয়েনছুন ইউয়ান। ছিং রাজবংশের পাঁচজন সম্রাট তাদের রাজত্বকালে প্রায়শঃই এ বাগানে বসে রাজনৈতিক কর্মকান্ড পরিচালনা এবং বিনোদন উপভোগ করতেন। ফলে রাজপ্রাসাদ যাদুঘর সংলগ্ন এ বাগানটিকে তত্কালীন চীনের ক্ষমতার কেন্দ্র হিসেবে গণ্য করা হতো। ফ্রান্সের জনপ্রিয় লেখক ভিক্টর হুগো ১৮৬১ সালে ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানকে এভাবে মূল্যায়ন করেছিলেন যে, 'এ মনোহর দুর্গটি দেখতে ঠিক যেন চন্দ্র প্রাসাদের মতো।'

ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যান হচ্ছে চীনের তিন হাজার বছরের উদ্যান নির্মাণের ঐতিহ্যিক স্থাপত্যের শ্রেষ্ঠ শৈলীর প্রতিফলন। নানা ভাস্কর্য ও স্থাপত্যের নকশার মধ্য দিয়ে একটি বাগানের মধ্যে হাজার ধরনের পরিবর্তনশীল অপুর্ব দৃশ্যের সৃষ্টি হয়েছে। এখানে রাজপ্রাসাদের মনোজ্ঞভাব আর দক্ষিণ চীনের জলজ অঞ্চলের সুদর্শন দৃশ্য উভয়ই রয়েছে। তা ছাড়া ছিং রাজবংশের সম্রাটগণ ছাংছুন ইউয়ানের উত্তর দিকে ইউরোপীয় স্টাইলের একটি ভবন নির্মাণ করেছেন। তার নাম দেয়া হয়েছে 'পশ্চিম ভবন'। ইউয়ান মিং ইউয়ান উদ্যানের পথনির্দেশক লিউ নিং জানিয়েছেন, পশ্চিমা মিশনারি লাংশিনিং পশ্চিম ভবনের নকশা করেন। চীনের কারিগররা এ ভবনটি নির্মাণ করেছেন। এ ভবনটিতে ইউরোপীয় সাহিত্য ও শিল্পের নবজীবন-লাভের স্থাপত্য শৈলীর কক্ষ রয়েছে। এ বাগানের দশ বারোটি পশ্চিমা স্থাপত্যের মধ্যে 'দাসুইফা' নামের ভবনটি সবচেয়ে বিখ্যাত।

দাসুইফা'র ধ্বংসাবশেষ

পথনির্দেশক লিউ নিং বলেন, অতীতে এখানে একটি ১৩ তলা বিশিষ্ট চারকোণা আকারের টাওয়ার ছিল। টাওয়ারের ওপর থেকে ঝরণার মত পানি পড়তে থাকতো। টাওয়ারের চার পাশের ৮৮টি ইস্পাত নির্মিত পাইপ থেকে একসাথে পানি বের হতো। জানা গেছে, টাওয়ার ও পাইপ থেকে পানি যখন পড়তো, তখন প্রবল বন্যার মতো গুরু গম্ভীর আওয়াজ হতো। এর নিচে দাঁড়িয়ে কথা বলতে চাইলে অঙ্গ-ভঙ্গি করে বলতে হতো। তাহলে বুঝা যায়, এখানকার দৃশ্য তখন কেমন ছিল।

1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040