জাতীয় খাবার ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি নতুন পদ্ধতি
2021-11-23 13:50:51

চীন-অস্ট্রিয়া কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপনের জন্য ‘ক্লাউড সংগীত উত্সব’ ভিয়েনায় উদ্বোধন

চীন ও অস্ট্রিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে সেন্ট্রাল কনজারভেটরি অফ মিউজিক  এবং অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় অফ মিউজিক ও পারফর্মিং আর্টের যৌথ উদ্যোগে ক্লাউড সংগীত উত্সব ৭ নভেম্বর সন্ধ্যায় অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনা কনসার্ট হলে আয়োজন করা হয়।

 

সেদিন সন্ধ্যায় ভিয়েনার কনসার্ট হলে কোন আসন খালি ছিল না। ভিয়েনার স্টেট অপেরার সংগীত পরিচালক এবং কন্ডাক্টর ফিলিপ জর্ডান, বিখ্যাত চীনা পিয়ানোবাদক লাংলাং এবং ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় অফ মিউজিক ও পারফর্মিং শিল্পের ওয়েবর্ন সিম্ফনি অর্কেস্ট্রা যৌথভাবে চাইকোভস্কির ‘রোমিও ও জুলিয়েট’ Fantasy Overture-সহ বিভিন্ন ক্লাসিক শিল্পকর্ম পরিবেশন করে। সংগীতশিল্পীদের নিখুঁত উপস্থাপনা এবং দুর্দান্ত পারফর্ম দর্শকদের প্রচুর করতালি জয় করেছে।

 

অস্ট্রিয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূত লি সিয়াওসি, অস্ট্রিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাসচিব রাউনস্কি-টিফেস্তার এবং ভিয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় অফ মিউজিক ও পারফর্মিং শিল্পের চ্যান্সেলার জুয়েসিসহ বিভিন্ন অতিথি উদ্বোধনী এই কনসার্টে উপস্থিত ছিলেন।

চীন ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ‘ক্লাউড সংগীত উত্সব’ ৪দিন চলে। ৭ নভেম্বর ভিয়েনায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠান এবং ১০ নভেম্বর বেইজিংয়ে তার সমাপনী অনুষ্ঠান হয়। উত্সবের সময় অনলাইন ও অফলাইনে দু’দেশের ‘আন্তর্জাতিক সংগীত অনলাইন মাস্টার ক্লাস’ ও চীন-অস্ট্রিয়া সাংস্কৃতিক ও আর্ট ম্যানেজমেন্ট ফোরাম’সহ বিভিন্ন সংগীত শিল্প ও শিক্ষা বিনিময় কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।

 

চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা শুধুমাত্র একটি বাণিজ্য প্ল্যাটফর্ম নয়, সাংস্কৃতিক বিনিময়ের একটি সেতুও: ছোট-মাঝারি আকারের ব্যবসায়ী

চতুর্থ চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা সফলভাবে শেষ হয়েছে। ১২৭টি দেশ ও অঞ্চলের প্রায় তিন হাজার প্রদর্শক এতে অংশ নিয়েছিল। অংশগ্রহণকারী দেশ ও কোম্পানির সংখ্যা আগের আমদানি মেলার চেয়ে বেশি ছিল। অনেক ছোট-মাঝারি আকারে ব্যবসায়ী বলেন যে, চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা শুধুমাত্র বিদেশি ব্যবসায়ীদের চীনা বাজারে প্রবেশের জন্য একটি প্ল্যাটফর্মই সরবরাহ করে না, বরং চীন ও বিদেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময়ও প্রচার করে।

 

খুব কম লোকই জানে যে, আফ্রিকার দেশ কেনিয়ায় চা উত্পাদিত হয়। এবার চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অনেক দর্শক আফ্রিকান বুথে চা উপভোগের সুযোগ পেয়েছে। যা অনেক চীনা ক্রেতার আগ্রহ জাগিয়েছে। এই আফ্রিকান চা কোম্পানির ম্যানিজার বেনজেমিন সাংবাদিকদের বলেন যে, নিরক্ষররেখা অঞ্চলের উর্বর লাল জমির কারণে সেখানে চা গাছের খুব একটা যত্ন নিতে হয় না এবং কোনও কীটনাশক ঔষধ বা রাসায়নিক সার দিতে হয় না। অনেক প্রদর্শক তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।

 

তিনি বলেন, “কেনিয়ার চা সম্পর্কে তারা অনেক আগ্রহী, তারা সবকিছু জানতে চায়। তারা শুধুমাত্র পণ্যের মূল্যের উপরই ফোকাস করে না, পণ্যের ইতিহাস সম্পর্কে জানতেও আগ্রহী। আমি মনে করি, এর কারণ হলো চীনের ৫ হাজার বছরেরও বেশি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। তাই চীনারা পণ্য সংগ্রহ, উত্পাদন পদ্ধতি এবং পণ্যের সুবিধার ওপর মনোযোগ দিয়েছে। তাদের সঙ্গে কথা বলে, আমি চীনা জাতি ও চীনা সংস্কৃতি সম্পর্কে জানতে পেরেছি, তারা কীভাবে জিনিসগুলি দেখেন- সে বিষয়েও বুঝতে পেরেছি।”

 

চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার কথা বলতে গিয়ে বেনজামিন সাংবাদিকদের বলেন, এখানে তিনি শুধুমাত্র একজন প্রদর্শকই নন, তিনিও একজন ‘দর্শক’।

তিনি বলেন, “চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কোম্পানিকে আকর্ষণ করেছে, এখানে আপনি বিভিন্ন দেশের পণ্যগুলি সম্পর্কে জানতে পারবেন। আমার জন্য এটি একটি দুর্দান্ত অভিজ্ঞতা। সারা বিশ্বের লোকজন এখানে আসে। আমরা বিনিময় করতে পারি, আলোচনা করতে পারি, ব্যবসায়িক অংশীদারদের খুঁজে পাই।”

 

কলম্বিয়া কফি কোম্পানি মাটিজ-এর এশিয়া অঞ্চলের ব্যবসায়িক প্রধান প্রতিনিধি হু-আনের অনুভূতিও একই রকম। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি দ্বিতীয়বার চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশ নিলেন। গত বছর তিনি রেজিস্ট্রেশন করতে পারেন নি এবং সিআইআইই-তে অংশগ্রহণ করতে না-পেরে  অনেক দুঃখিত। এই বছরে আবার আমদানি মেলায় এসে তিনি সাংবাদিকদের বলেন যে, চীনের ভোক্তা বাজার দ্রুত উন্নত হচ্ছে।

 

তিনি বলেন, “চীনের কফি বাজার দ্রুত উন্নত হচ্ছে। চীনা ভোক্তারা বিভিন্ন ধরনের এবং বিভিন্ন অঞ্চলের উত্পাদিত কফি সম্পর্কে অনেক বেশি জানে। কলম্বিয়ান কফির জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ। আমাদের কফির খুব ভাল খ্যাতি, বহু বছরের অভিজ্ঞতা আছে। তাই, আমরা বিশ্বাস করি- চীনা বাজারে আমাদের ব্র্যান্ডের অনেক সুযোগ আছে।”

 

হু-আন বলেন, চীনা বাজারের সম্ভাবনা বিশাল ও বহুমুখী, যা তাদের বাজারের জন্য আরও বেশি সুযোগ নিয়ে আসে।

“এটা কী?”

“এটি গ্রিক Stigma Croci চা যা গ্রিসে ৩৫০০ বছরের বেশি পুরানো।”

“আমি এ বিষয়ে খুব আগ্রহী, আপনি এটি সম্পর্কে বলুন।”

 

চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার পুরানো বন্ধু। তিনি এ পর্যন্ত চারবার সিআইআইই-তে অংশগ্রহণ করেছে। এ সংস্থার চীন অঞ্চলের প্রধান লি সিয়াও লিন সাংবাদিকদের বলেন যে, চারবার চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলায় অংশগ্রহণ চীন ও গ্রিসের মধ্যে মৈত্রীর সেতু নির্মাণ করেছে।

 

চীন ও চিলি ‘উইন্ডো অফ শাংহাই’ বা ‘শাংহাই জানালা’ প্রকল্প সহযোগিতা স্মারকলিপি স্বাক্ষর করে

শাংহাই লাইব্রেরি, চিলির কংগ্রেস লাইব্রেরি এবং চীন-লাটিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান পর্যটন, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি বিনিময় প্রচার ইউনিয়েন ৯ নভেম্বর অনলাইনে ‘শাংহাই জানালা’ প্রকল্পের স্মারকলিপি স্বাক্ষর করেছে।

 

শাংহাই বৈদেশিক মৈত্রী সমিতির পরিচালক ছেন চিন স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন, এই বছরের প্রথমার্ধে, শাংহাই ও চিলির মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক প্রবণতা সাধারণ পরিস্থিতির তুলনায় বেড়েছে। শাংহাই ও চিলির ভালপারাইসো ও চিলির রাজধানী অঞ্চলের সাথে সিস্টার সিটি ও বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময়ের সম্পর্ক রয়েছে। শাংহাই লাইব্রেরির ‘শাংহাই জানালা’ প্রকল্পের সহযোগিতা স্মারকলিপির স্বাক্ষর হবে দু’পক্ষের সহযোগিতা ও বিনিময়ের একটি নতুন সূচনা। ছেন বলেন, শাংহাই বৈদেশিক মৈত্রী সমিতি আশা করে যে ‘এক অঞ্চল, এক পথ’ এবং চীন আন্তর্জাতিক আমদানি মেলার নেতৃত্বে চিলির সঙ্গে একাধিক ক্ষেত্রে কার্যকর সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া হবে, যুব-বিনিময়কে সূচনা বিন্দু হিসেবে বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বন্ধুত্বপূর্ণ বিনিময় প্রচার করা হবে।

 

চীন-লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান পর্যটন, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি বিনিময় প্রচার ইউনিয়নের নির্বাহী চেয়ারম্যান হু-আন ডি দিওসপ্যারা বলেন, ইউনিয়নটি প্রতিষ্ঠার ৫ বছরে কার্যকর ব্যবস্থা ও চেষ্টার মাধ্যমে লাতিন আমেরিকা ও চীনা জনগণের মৈত্রী উন্নীত হয়েছে এবং দু’পক্ষের অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও পর্যটন বিনিময়ের একটি সেতু তৈরি হয়েছে। তিনি বলেন, তিন পক্ষের স্বাক্ষরিত ‘শাংহাই জানালা’ প্রকল্পের সহযোগিতা স্মারকলিপি অনুসারে, শাংহাই লাইব্রেরি চিলি কংগ্রেস লাইব্রেরিকে ৫’শ চীন সম্পর্কিত বই সরবরাহ করবে।

 

চিলি কংগ্রেস লাইব্রেরির পরিচালক ম্যানুয়েল আলফোনসো পেরেজ বলেন, এই প্রকল্প চিলি ও চীনা জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া গভীর করার ক্ষেত্রে খুব উপকারী এবং এটি শাংহাই লাইব্রেরির সঙ্গে আদান-প্রদান, তথ্য শেয়ারিং এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতার ভিত্তি তৈরি করেছে।

 

শাংহাই লাইব্রেরির পরিচালক ছেন ছাও বলেন, ‘শাংহাই জানালা প্রকল্প’ ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যা চীনা বই বিশ্বে প্রচার পরিকল্পনা-এর একটি অংশ। এর লক্ষ্য হলো চীনে প্রকাশিত বইগুলি বিদেশি লাইব্রেরি ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে দান করার মাধ্যমে, বিদেশি পাঠকদের কাছে চীনের ইতিহাস ও সংস্কৃতি পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। চিলি কংগ্রেস লাইব্রেরির সঙ্গে সহযোগিতাসহ, শাংহাই লাইব্রেরি সারা বিশ্বে মোট ১৭৭টি ‘শাংহাই জানালা’ খুলেছে। ছেন বলেন, আশা করা যায় যে ভবিষ্যতে আরও বেশি লাতিন আমেরিকান দেশ লাইব্রেরির সঙ্গে সহযোগিতা ও বিনিময় জোরদার করবে।

চীন-লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবিয়ান পর্যটন, প্রযুক্তি, সংস্কৃতি বিনিময় প্রচার ইউনিয়ন ২০১৬ সালের মে মাসে চিলির রাজধানী সানতিয়াগোতে প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি একটি বেসরকারি সংস্থা যা লাতিন আমেরিকায় চীন সরকার, একাডেমিক, বৈজ্ঞানিক গবেষণা, শিক্ষা সংস্থা ও কোম্পানি সংযুক্ত করে এবং পর্যটন, বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে চীন ও লাতিন আমেরিকার মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় তুলে ধরে।

 

‘সেন্টিমেন্টাল লাইফ’ শিল্প প্রদর্শনী সিডনিতে উদ্বোধন

‘সেন্টিমেন্টাল লাইফ’— চীনের চিয়াংসু প্রাদেশিক শিল্প জাদুঘর শিল্পীদের কাজকর্ম প্রদর্শনী এবং সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল প্রদর্শনী’ ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার সিডনির চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রদর্শনীতে চিয়াংসু প্রাদেশিক শিল্প জাদুঘরের ২৪জন শিল্পীর চীনা পেইন্টিং, ক্যালিগ্রাফি ও তৈলচিত্র-সহ মোট ৩৮টি কাজ প্রদর্শিত হয়। এই শিল্পের অনেক বৈচিত্র্য রয়েছে এবং বিষয়বস্তুও বেশ সমৃদ্ধ। পেইন্টিংসগুলির সঙ্গে সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্য প্রদর্শনীও শুরু হয়েছে। এতে চিয়াংসু প্রাদেশিক শিল্প জাদুঘরের ৮০টিরও বেশি বৈশিষ্ট্যময় সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্য সংগ্রহ করেছে এবং বৈশিষ্ট্যময় সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে প্রাচ্যের জীবনশৈলীর প্রতি আগ্রহ ও আকর্ষণ প্রকাশ করে।

 

সিডনিতে চীনা কনসাল জেনারেল চৌ লিমিন ভিডিও বক্তৃতায় বলেন, সংস্কৃতি মানুষের হৃদয়কে সংযুক্ত করার একটি সেতু। এবারের প্রদর্শনী শুধুমাত্র চীনের সমসাময়িক শিল্প সৃষ্টির কৃতিত্ব দেখায় তা নয়, সমসাময়িক চীনাদের আধ্যাত্মিক দৃষ্টিভঙ্গিও তুলে ধরে, যা সাংস্কৃতিক ও সৃজনশীল পণ্যের মাধ্যমে শিল্পকে জীবনের সঙ্গে একীভূত করে।

 

আশা করা যায় যে দর্শকরা প্রদর্শনী উপভোগের মাধ্যমে চীনা জনগণের প্রকৃতির প্রতি ভালবাসা, সৌন্দর্যের প্রতি ভালোবাসা এবং মানুষ ও প্রকৃতির মধ্যে একটি সুরেলা আধ্যাত্মিক জগতের অন্বেষণ প্রশংসা করেত পারে। যাতে দু’দেশের জনগণের মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও বন্ধুত্ব উন্নত করা যায়।

 

সিডনি’র চীনা সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের পরিচালক এবং সিডনিতে চীনের পর্যটন অফিসের পরিচালক সিয়াও সিয়াইং বলেন, এটি হলো সম্প্রতি সিডনিতে লকডাউনের পর কেন্দ্রের আয়োজিত প্রথম অফলাইন ইভেন্ট, যা এই বছর এই কেন্দ্রে চিয়াংসু প্রদেশের সংস্কৃতি ও পর্যটন বছরের গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পগুলির মধ্যে একটি। আশা করা যায়, প্রদর্শনীটি আরও স্থানীয় শিল্পপ্রেমীদের আকর্ষণ করবে এবং চীন-অস্ট্রেলিয়া সাংস্কৃতিক বিনিময় প্রচারে ভূমিকা রাখবে।

 

জাতীয় খাবার ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে একটি নতপদ্ধতি

১৮ নভেম্বর সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল উরুমুচিতে খাদ্য সংস্কৃতি-বিষয়ক একটি বিশেষ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেছে। সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন খাদ্য শিল্পের ব্যক্তিরা তাদের জাতীয় খাদ্য সংস্কৃতির উত্তরাধিকার এবং এর মাধ্যমে তাদের জীবন উন্নত করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন।

 

প্রথমে সিবেইনুল আইকেরামু’র গল্প: আমি সারা দেশে পুরো ল্যাম্ব রোস্টে রেস্টুরেন্ট খুলতে চাই।

সিবেইনুল আইকেরামুর বাবা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে পুরো ল্যাম্বের রোস্টের ব্যবসা করছেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পাসের পর, সিবেইনুল এই নৈপুণ্যের অধিকারী হয়েছেন এবং তার বাবার সঙ্গে পুরো রোস্ট ল্যাম্বের শিল্প ও ব্যবসা শুরু করেন। ২০ বর্গমিটার কম আয়তনের পরিবারে ছোট দোকান এখন ১২০ বর্গমিটারে উন্নীত হয়েছে। সেই পুরো রোস্ট ল্যাম্ব পরিবারের নৈপুণ্য তুর্পানের পৌরসভার অবৈষয়িক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সিবেইনুল আইকেরামু বলেন, “ইন্টারনেটের মাধ্যমে আমাদের পণ্যগুলি অন্যান্য প্রদেশ ও শহরে বিক্রি করা হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, অনেকে সিনচিয়াংয়ের বৈশিষ্ট্যময় খাবার বাজার-ভিত্তিক ও ব্র্যান্ড-ভিত্তিক অপারেশন শুরু হয়েছে। আরও বেশি মানুষ সিনচিয়াংয়ের বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যময় খাবারের স্বাদ নিয়েছে এবং আমি ভবিষ্যতে আমাদের পুরো রোস্টের ল্যাম্বের ব্র্যান্ডকে সারা দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রচারের পরিকল্পনা করছি, যাতে আরও বেশি মানুষ সিনচিয়াং রোস্টের পুরো ল্যাম্ব খেতে পারে।”

 

এবারে গুলিনুর জুমাবায়ী’র গল্প: আমি কিরগিজ (সিনচিয়াং উইগুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের অধিবাসী) জাতীয় খাবারের ব্যবসা করি, আমি আমাদের জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট।

৪৮ বছর বয়সী গুলিনুর জুমাবায়ী একটি রেস্তোঁরা খোলেন যা কিরগিজ খাবারের ব্যবসা করে। তিনি বলেন, “হাত-ধরা ল্যাম্ব, বারবিকিউ, ঘোড়ির দুধ ইত্যাদি গ্রাহকদের কাছে খুব জনপ্রিয়। প্রতি মাসে দোকানে প্রায় ২০ হাজার ইউয়ান লাভ হয়। আমি আমার বর্তমান জীবন নিয়ে খুবই সন্তুষ্ট।”

তারপর হুই জাতীয়তার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তৃতীয় প্রজন্মের বংশধর মা সুয়েইছাই’র গল্প।

মা সুয়েইছাই ছাংজি-এর স্ন্যাক রাস্তায় একটি রেস্তোরাঁ খোলেন, প্রধানত ঐতিহ্যবাহী হুই খাবারের ব্যবসা করেন তিনি। তিনি সাহসের সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী খাবার উদ্ভাবন করেন, ঐতিহ্য ও আধুনিকতার সমন্বয় বাস্তবায়ন করেন এবং প্রতি বছর তার ব্যবসা আরও ভাল হচ্ছে। মা বলেন, আমি হুই জাতীয়তার ঐতিহ্যবাহী খাবারের তৃতীয় প্রজন্মের বংশধর, এখন আমি আমার মেয়েকে এই ঐতিহ্যবাহী খাবারের পদ্ধতি শেখাই। সরকার আমাদের অনেক সহায়তা দিয়েছে, আমি আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছি, এবং এই ব্যবসা চালিয়ে যেতে চাই।

 

এবারে শুনুন আবদুমিজিত্ আব্দুরিক্সিটস ও তার কফি দোকানের গল্প।

আবদুমিজিত্ আব্দুরিক্সিটস প্রাচীন কাশগর শহরের আধুনিকায়নের সুবিধাভোগী। প্রাচীন শহর রূপান্তরের পর, তার বাড়ি জাতিগত বৈশিষ্ট্যযুক্ত স্থাপত্য শৈলীসহ একটি তিনতলা ভবনে পরিণত হয়। আবদুমিজিত্ একটি জাতিগত বৈশিষ্ট্যযুক্ত কফি দোকান খুলেছে এবং প্রতি বছরে তার এক লাখ ইউয়ান লাভ হয়।

তিনি বলেন, “আমি কফি তৈরির কৌশল শিখেছি, এবং আমার ব্যবসা অনেক ভাল হচ্ছে। তা ছাড়া আমাদের বাড়িতে তৈরি প্রাচীন লেনওয়ে দীর্ঘায়ু চা এবং ঐতিহ্যবাহী উইগুর চা খুবই জনপ্রিয়। আমার কফি দোকান এখন একটি ‘নেট সেলেব্রেটি’ চেক-ইন জায়গায় পরিণত হয়েছে। প্রাচীন শহর কাশগরে আসা পর্যটকরা অবশ্যই আমাদের কফি দোকানে আসবে।”