বন্ধুরা, আজকের অনুষ্ঠানের শুরুতে আমি আপনাদেরকে ‘ফেনমুও’ নামের একটি গান শোনাতে চাই। গানটি গেয়েছেন হুও জুন। ফেনমুও চীনা ভাষায় ‘অপেরা পরিবেশনের সাজ-সজ্জা’কে বলা হয়। গানের কথাগুলো হল: ‘ফুলের মত ছবি, চলমান জলের মত সময়, আমরা আশা করি, ঋণগ্রস্ত না থাকার। লাল গালিচায় পিয়নি ফুলের সামনে, সারা বিশ্বে কত প্রেমিকের একই স্বপ্ন থাকতে পারে? ফেনমুও, আমাদের চোখকে করে বিস্মিত। উদ্দীপক ভাবনাগুলো আমরা শুনি, এবং ব্যাকুলতা নিয়ে এসব পরিবেশন করি। তুমি ফেনমুও গাও। আমিও তোমার সঙ্গে গাই। গল্প খুবই ছোট, কিন্তু খাঁটি। কে পার্ক ভ্রমণ করে, কিন্তু আমার স্বপ্নে প্রবেশ করে। গভীর স্বপ্নে তুমি আমাকে ডাকছো। আমাদের কাছে বাইরের বিশ্বের কোনো তাত্পর্য নেই। এখন থেকে আগামি জীবনে কত প্রেমিক ভালোবাসবে, কিন্তু একসঙ্গে থাকতে পারবে না। কে আমার সঙ্গে সংযুক্ত হবে? আমার অশ্রু তোমার জন্য পড়ে, এটি একেবারে খাঁটি’।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হুও জুনের কন্ঠে ‘ফেনমুও’ নামের গান। তিনি ১৯৯০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর চীনের শাংহাইতে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হলেন চীনের বিখ্যাত কণ্ঠশিল্পী হুও ফেংয়ের ছেলে। তিনি শাংহাই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। ২০১২ সালে তিনি একটি সংগীত প্রতিযোগিতায় তৃতীয় স্থান লাভ করেন। এর মাধ্যমে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সংগীত জগতে প্রবেশ করেন। তাঁর লেখা গান চীনে অনেক জনপ্রিয়। তাঁর লেখা গানগুলোতে চীনা অপেরা ও কবিতার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘রোল পুঁতি পর্দা’ শীর্ষক গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, শুনছিলেন হুও জুনের মিষ্টি কন্ঠে একটি গান। এখন আমি আপনাদের কাছে একটি ব্যান্ডের পরিচয় তুলে ধরবো। ব্যান্ডটির নাম হল নানজেংবেইচান (এনজিবিজি)। নানজেনবেইচানের চীনা অর্থ হল দক্ষিণ থেকে উত্তরাঞ্চলের অনেক যুদ্ধে অংশ নেওয়া। ব্যান্ডটির সদস্যরা চীনের নানা স্থান থেকে এসেছেন। সেজন্য ব্যান্ডটির নাম নানজেংবেইচান। দিন ইয়াং, চাও ছেন লং ও নি লং–এ তিনজন ব্যান্ডটি গঠন করেন। ২০১২ সালে ব্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ব্যান্ডটি অনেক চলচ্চিত্রের থিম গান গেয়েছে। এখন শোনাবো ব্যান্ডটির ‘আসলে’ শিরোনামের একটি গান। আশা করি, বন্ধুরা গানটি পছন্দ করবেন।
বন্ধুরা, এখন আমি ব্যান্ডটির ‘ওলালাইয়ে’ নামের গানটি শোনাতে চাই। ওলালাইয়ে গানের কথা এমন যে, ‘আমি তোমাকে গ্রীষ্মপ্রধান স্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমি উত্তপ্ত রোদের শান্ত সৈকত। তুমি আসায় আমি উজ্জ্বল হয়েছি। প্রতিটি সূর্যাস্তের সন্ধ্যা অনেক সুন্দর ও রোমান্টিক। আমি ঢেউয়ে একাকি জাহাজ। আমরা চিরদিন থাকবো নিষ্পাপ শিশুর মত। নারিকেল গাছের মত বাতাসে দুলছি। আসলে আবেগ আমাদের হৃদয়ে লুকোনো রয়েছে। আনন্দ উপভোগ করি, প্রত্যেকের প্রতিভা আছে। এমন কি আকাশ প্রবালের রং ধারণ করেছে। মেঘ সঙ্গীতের সঙ্গে নাচ করছে। আমি তোমাকে গ্রীষ্মপ্রধান স্থানে নিয়ে যেতে চাই। আমরা গরম ঢেউয়ের উদ্যমতা অনুভব করবো, এবং স্বাধীনতার ডাক শুনবো। আমরা একসঙ্গে গ্রীষ্মপ্রধান স্থানে যাবো, হাত ধরবো, এবং বেকে অপরকে কখনো ত্যাগ করবো না। দেখো, মেয়েদের গরম শরীর। চলো নাচবো’। আচ্ছা, এখন আমরা একসঙ্গে গানটি শুনবো। কেমন?
এখন আমি আপনাদেরকে নারী কন্ঠশিল্পী ওয়াং চেংয়ের গান শোনাবো। তিনি ১৯৮০ সালের ৩ জানুয়ারি শানসি প্রদেশের সি’আন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ৫বছর বয়স থেকে বেহালা ও সেল্লো শেখা শুরু করেন। ছয় বছর বয়স থেকে তিনি পরিবেশন শুরু করেন। এখন শোনাবো তাঁর কন্ঠে ‘বসন্তকালের বাতাস’ নামের একটি গান। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন। গানটি ২০০২ সালে রিলিজ, এবং তাঁর প্রথম অ্যালবামে অন্তর্ভুক্ত হয়।
বন্ধুরা, শুনছিলেন ওয়াং চেংয়ের কন্ঠে ‘বসন্তকালের বাতাস’ শীর্ষক গান। ১৪ বছর বয়স থেকে তিনি শানসি প্রদেশের শিল্প নর্মাল বিদ্যালয়ে ভোকাল সঙ্গীত বিভাগে লেখাপড়া শুরু করেন। ১৭ বছর বয়স থেকে তিনি সামরিক সংস্কৃতি কলেজ, জাতীয় প্রতিরক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় পিএলএ চীনে ভোকাল সঙ্গীত বিভাগে লেখাপড়া শুরু করেন। এখন আমি আপনাদেরকে তাঁর কন্ঠে ‘আমি তোমার জন্য গান গাইতে চাই’ নামের গানটি শোনাবো। আশা করি, আপনারা গানটি পছন্দ করবেন।
প্রিয় শ্রোতা, এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে জানাই অসংখ্য ধন্যবাদ। যদি আপনারা আমাদের অনুষ্ঠানে কোনো পছন্দের গান শুনতে চান, তাহলে আমাদের জানাবেন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn এবং আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানা হলো caiyue@cri.com.cn। ‘গানের অনুরোধ’ সম্পর্কিত ইমেইল আমার নিজস্ব ইমেইল ঠিকানায় পাঠালে ভালো হয়।
(ছাই/এনাম/ফেই)