পরিবেশ-বান্ধব, যুদ্ধ-বিরোধি এবং মানবজাতির অর্থ-পিপাসার সমালোচনাসহ বিভিন্ন আলোচ্যবিষয়ের কারণেই মিয়াজাকি হাইয়াওকে পছন্দ করেন জাস্টিন জনসন। এ সম্পর্কে তিনি বলেন,
'আমি মনে করি, মিয়াজাকি হাইয়াও ইচ্ছাকৃতভাবে এসব আলোচ্যবিষয় তাঁর চলচ্চিত্রের চরিত্রের ওপর রাখেন নি। তাঁর চরিত্রের এমন ধরনের আলোচ্যবিষয় প্রদর্শিত হবার প্রধান কারণ হলো তাঁর নিজের ব্যক্তিগত বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তোলা। আসলে মিয়াজাকি হাইয়াও নিজেই একজন দয়ালু মানুষ। স্বাভাবিকভাবেই অবচেতন মনে তিনি নিজের ধারণা, নিজের চিত্র শিল্পকর্মে তুলে ধরেন।'
জাস্টিন বলেন, সংস্কৃতি ও ভাষার ক্ষেত্রে জাপান ও বৃটেনের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে, তা সত্ত্বেও, এসব পার্থক্য মিয়াজাকি হাইয়াওয়ের প্রতি বৃটিশ অনুরাগীদের ভালোবাসা ঠেকাতে পারে নি। কারণ তাঁর শিল্পকর্মে বৃটিশ দর্শকরা সুপরিচিত কাহিনী,চিত্রনাট্য ও দৃশ্য দেখতে পারেন। তিনি বলেন,
'বৃটেন প্রসঙ্গে তাঁর বিশেষ একটি ভাবমূর্তি আছে। তাঁর শিল্পকর্মের অনেক প্রেরণা বৃটেনের সাহিত্য থেকে পাওয়া।'