তৃতীয় কুইলিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান
সম্প্রতি কুইলিন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল চীনের 'তৃতীয় কুইলিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা'। কুইলিন শহরের মেলাবিষয়ক ব্যুরোর দায়িত্বশীল কর্মকর্তা লিয়াং দাই হুই এবারের মেলা সম্পর্কে বললেন, "কুইলিন মেলাবিষয়ক ব্যুরো প্রথম দু'বার কুইলিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা সাফল্যের সাথে আয়োজন করেছে এবং স্বীকৃতি ও পুরস্কার পেয়েছে। এবারের তৃতীয় মেলায় বিশ্বের ৬০টি দেশ ও অঞ্চল এবং চীনের ১৭টি প্রদেশের ৫০টিরও বেশি শহরের পর্যটন প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করে। কুইলিন তার আন্তর্জাতিক পর্যটন প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে কুয়াংশির পর্যটনশিল্পকে বিশ্বের কাছে তুলে ধরবে।"
২০১০ সালে চীনের কুইলিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা আয়োজনের পর, কুইলিন ২০১১ ও ২০১২ সালে চীনের সেরা দশটি মনোমুগ্ধকর মেলা-শহরের একটি হবার গৌরব অর্জন করে। কুইলিন শহরের পৌর কমিটির সম্পাদক লিউ চুন বলেন, "এবারের মেলা পর্যটনব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ সৃষ্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক বাজারকে আরো সম্প্রসারিত করেছে। আন্তর্জাতিক মেলার ব্র্যান্ড ও আন্তর্জাতিক মেলা শহর গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে পর্যটনপণ্যের প্রদর্শনী, মেলাশিল্প গবেষণা, আর্থ-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আলোচনা, বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পর্যটনসম্পদ প্রদর্শনসহ নানা কর্মসূচি ছিল এবারের মেলার বৈশিষ্ট্য। এর মাধ্যমে বিশ্বে কুয়াংশির মর্যাদা বেড়েছে।"
চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিল রুহিদাস জোদ্দার
এবার ১২টি দেশের ২৮টি পর্যটন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান প্রথমবারের মতো কুইলিন আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় অংশগ্রহণ করে। বাংলাদেশ তৃতীয়বারের মতো অংশ নেয়। চীনে বাংলাদেশ দূতাবাসের বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রুহিদাস জোদ্দার বলেন, "বাংলাদেশ তৃতীয় বারের মতো কুইলিন পর্যটন মেলায় অংশ নিয়েছে। পাঁচ বছর আগে চীনে বাংলাদেশ দূতাবাস প্রতিমাসে ৫০০ থেকে ৬০০টি ভিসা ইস্যু করতো। এখন তা বেড়ে ১৮০০ থেকে ২০০০টিতে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাংলাদেশে ভ্রমণ করতে যাওয়া চীনাদের সংখ্যাও অনেক বেড়েছে। বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে চীনের আয়োজিত বিভিন্ন মেলায় অংশ নিয়ে থাকে। ২০১১ সালে কুনমিং ও ২০১২ সালে শাংহাইয়ে আয়োজিত চীনের আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলা এবং পেইচিং আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় আমাদের দেশ অংশগ্রহণ করেছে। এসব মেলা ও প্রদর্শনীর মধ্যে কুইলিন পর্যটন মেলা তুলনামূলকভাবে বেশি ভালো। এখানে আসা দর্শকদের সংখ্যা বেশি, সাংগঠনিক কাজেও থাকে শৃঙ্খলার ছাপ। আয়োজক সংস্থা প্রতিবছর বাংলাদেশ দূতাবাসকে মেলাপ্রাঙ্গনে বিনা খরচে স্টল বরাদ্দ দিয়ে থাকে। ভবিষ্যতেও আমরা এ-মেলায় অংশ নেবো। আমি বাংলাদেশের পক্ষ থেকে কুইলিন পর্যটন ব্যুরোকে ধন্যবাদ জানাই।" (ইয়ু/আলিম)
| ||||