লি ছি-র বিদেশে কাজ করার অসাধারণ অভিজ্ঞতা
2024-06-13 16:37:15

লি ছি চীনের পেট্রো গ্রুপের আন্তর্জাতিক পাইপলাইনের উজবেকিস্তান কোম্পানির একজন কর্মকর্তা। ২০১৫ সালে অয়েল ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর তিনি এ কোম্পানিতে যোগ দেন। ২০১৬ সালে তিনি উজবেকিস্তানে আসেন। তারপর ৭ বছর গত হয়েছে। এখন তিনি সংশ্লিষ্ট একটি গ্যাসস্টেশনের পরিচালক।

‘বেল্ট অ্যান্ড রোড’ উদ্যোগের আওতায় গড়ে ওঠা, চীন-মধ্য এশিয়া প্রাকৃতিক গ্যাস পাইপলাইন হচ্ছে, চীন ও মধ্য-এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশকে জ্বালানি খাতে সংযুক্ত করার গুরুত্বপূর্ণ পাইপলাইন। নিজের চাকরি নিয়ে খুব গর্বিত লি ছি। তিনি বলেন, মধ্য-এশিয়ার গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক গ্যাস উত্পাদনকারী দেশ হিসেবে, উজবেকিস্তান চীনে প্রাকৃতিক গ্যাস রফতানি করে। তাঁর এই প্রাকৃতিক গ্যাসস্টেশন মধ্য-এশিয়ার প্রাকৃতিক গ্যাসকে, বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে, পাইপলাইনে প্রবেশ করায়। তারপর সে গ্যাস, পুরাতন রেশমপথ অনুসরণ করে, একদম পূর্ব দিকে যাত্রা শুরু করে। উজবেকিস্তান, কাজাখস্তান, এবং চীনের সিনচিয়াংয়ের হু’র কুও সি’র মধ্য দিয়ে গেছে এই পাইপলাইন। এর  ফলে চীনের ২৭টি প্রদেশ, শহর ও স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের ৩০ কোটি মানুষ দূষণমুক্ত জ্বালানির কল্যাণ লাভ করছে।

 উজবেকিস্তানে কাজ করতে আসার শুরুর দিকে, স্থানীয় আবহাওয়া, ভাষা ও সংস্কৃতির সাথে খাপ খাওয়াতে পারছিলেন না লি ছি। তবে, সাত বছর পর আজ লি ছি ‘অর্ধেক স্থানীয় নাগরিক’-এ পরিণত হয়েছেন। স্টেশনের পরিচালক হিসেবে, তিনি প্রতিদিন সকাল ৮টায় মিটিংয়ে বসেন এবং চীন ও উজবেকিস্তানের প্রকৌশলীদের আগের দিনের কাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

তাঁর স্টেশনে, কাজের ফাঁকে ফাঁকে, নানান সাংস্কৃতিক ও বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। এতে চীন-উজবেকিস্তান মৈত্রী জোরদার হয় এবং দু’দেশের মানুষ পরস্পরের আরও কাছাকাছি আসার সুযোগ পায়।  লি ছি বলেন, “আমাদের সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপট, ধর্মীয় বিশ্বাস, ও রীতিনীতি ভিন্ন। তবে, আমাদের মধ্যে কমন ব্যাপার হচ্ছে কাজের দর্শন ও পদ্ধতি।” লিন ছি জানান, পারস্পরিক ‘শ্রদ্ধা, সহনশীলতা, একতা, ও সম্প্রীতির’ ভিত্তিতে, তাদের প্রতিদিনের কাজের মান অনেক উন্নত হয়েছে।

বিদেশে চাকরি করার অভিজ্ঞতার কারণে লিন ছি বিশ্বের অনেক আধুনিক শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগের সুযোগ পেয়েছেন। এ সব সুযোগ কাজে লাগিয়ে, তিনি তাঁর দৃষ্টিকোণ সম্প্রসারণ করেছেন এবং পেশাদার প্রকৌশলী হিসেবে নিজেকে আরও উন্নত করতে সক্ষম হয়েছেন।

 লিন ছি মনে করেন, বিদেশে ৭ বছরের কাজের অভিজ্ঞতার কারণে, তিনি এ উদ্যোগকে আরও ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন। এ উদ্যোগ কেবল শতাধিক দেশের সাথে জড়িত বিলিয়ন বিলিয়ন ইউয়ানের প্রকল্প নয়, বরং তাঁর মতো বিদেশে কর্মরত তরুণদের নিজেদের গড়ে তোলার প্ল্যাটফর্মও বটে। লিন ছি আশা করেন, ভবিষ্যতে তিনি বিদেশের আরও প্রকল্পে অংশগ্রহণের মাধ্যমে, আরও জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা অর্জনে সক্ষম হবেন।