চেন ইউয়ে
চেন ইউয়ে যুক্তরাষ্ট্র,জাপান,দক্ষিণ কোরিয়া,ফ্রান্স, রাশিয়া,অস্ট্রেলিয়া,জার্মানী,আয়ারল্যান্ড,লাটভিয়া, ব্রাজিল ও ব্রিটেনসহ বিশ্বের নানা দেশ ও অঞ্চল সফর করেছেন। বহুবার বিদেশী বিভিন্ন রাষ্ট্রনেতা ও রাজকীয় পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাত্ করেছেন। তার সুরের মাধ্যমে চীনের আধুনিক বাঁশির সুর বিশ্ব মঞ্চে প্রশংসা পেয়েছে। বন্ধুরা,এবার শুনুন তার বাজানো সুর 'ইয়ালুজানবুর পৌরাণিক কাহিনী'।
প্রিয় শ্রোতা, চেন ইউয়ে একজন আশাবাদী মানুষ। তিনি প্রফুল্লচিত্তের মানুষ, বিশাল হৃদয় তার। অনেকে অবাক হন যে,এমন একজন হাসিখুশিতে ভরপুর মেয়ে কী করে এতো সমৃদ্ধভাবে আবেগে পরিপূর্ণ বেদনার সুর বাজাতে পারে।
চেন ইউয়ে চীনের জাতীয় সংগীতের সংস্কারের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। ফলে তার অ্যালবাম কোনো কোনো অধ্যাপক শোনার পর তাদের মধ্যে কেউ কেউ বলতেন,তার সুর তারা বুঝতে পারেন না। তারা এ ধরণের সংস্কার করা সুর গ্রহণ করেন না। কিন্তু আমি মনে করি,সুর সকলের জন্য। কেবল অধ্যাপকদের জন্য নয়। যে সুর সাধারণ শ্রোতাদের পছন্দ হয় সে সুরকেই ভালো সুর বলা যায়। তাই না?
চেন ইউয়ে একজন ব্যস্ত মানুষ। পরিশ্রম করতে পছন্দ করেন তিনি। তিনি বিভিন্ন সংগীতানুষ্ঠানে সুর বাজানো ও অ্যালবাম রেকর্ড ও প্রকাশ করার পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের বাঁশি বাজানো শিক্ষা দেওয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকেন। তিনি গর্বের সাথে বলেন,তার চার শ'র বেশি ছাত্রছাত্রী আছে।
শ্রোতা, সংগীত মাধ্যমের একটি অত্যন্ত বিস্ময়কর বিষয় হলো 'সুর'। যে কোনো সুর শুনে ক্ষণে ক্ষণে আমাদের অনেক দিন ধরে ভুলে যাওয়া স্মৃতি আবার হৃদয়পটে ভেসে ওঠে। চেন ইউয়ের বাজানো বাঁশির সুর ঠিক এমন ভূমিকাই পালন করে। আর এ কারণেই তার বাজানো সুরগুলো হৃদয় জয় করে আমাদের।
বন্ধুরা,আজকের অনুষ্ঠানের শেষে শুনুন চেন ইউয়ের বাজানো সুর 'পরস্পরকে দেখা'।
প্রিয় শ্রোতাবন্ধুরা,এতোক্ষণ আপনারা চীনের বিখ্যাত বাঁশি বাদক চেন ইউয়ের বাজানো বাঁশির কয়েকটি সুর শুনলেন। কেমন লাগলো? ভালো লাগলে আমাকে জানাবেন নিশ্চয়। আপনাদের মতামতের অপেক্ষায় রইলাম।
এ পর্বের 'সুরের ধারায়' আসর এ পর্যন্তই। এ অনুষ্ঠানটি শোনার জন্য ধন্যবাদ। ভালো থাকুন সবাই। আপনাদের কল্যাণ হোক। আবারও কথা হবে। (ইয়ু/মান্না)
| ||||