চেন ইউয়ে
প্রিয় শ্রোতা, আপনারা শুনলে অবাক হবেন, চেন ইউয়ে তার সহজাত গুণ ও নিরন্তর প্রচেষ্টার মাধ্যমে একজন সাধারণ সংগীত প্রেমি মেয়ে থেকে ধাপে ধাপে চীনের শ্রেষ্ঠ বাঁশি বাদকে পরিণত হয়েছেন। এ পর্যন্ত তিনি নয়টি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। প্রায় দু'এক বছর পর পরই তার একটি করে বাঁশির সুরের নতুন অ্যালবাম প্রকাশিত হয়। তার প্রতিটি অ্যালবামেই নতুন ধারণা ও সৃজনশীলতা রয়েছে।
তার অ্যালবামগুলো বিভিন্ন পক্ষের ব্যাপক প্রশংসা অর্জন করেছে। একজন সমালোচক বলেছেন,'চেন ইউয়ের বাজানো সুর শুনে মনে হয় দক্ষিণ চীনের একজন সুন্দরী প্রাচীনকালের একটি বাদ্যযন্ত্র বাজাচ্ছেন। এই প্রাচীন বাদ্যযন্ত্রকে তিনি যেন জীবন দান করেছেন। তার ঠোঁট থেকে সরল ও সুমিষ্ট সুর বের হয়। সে সুরের মধ্যে হালকা বেদনার ভাব থাকে। তার পাশাপাশি যৌবনের ভাবও ভরা তার বাজানো সুরে'।
বন্ধুরা,এবার শুনুন চেন ইউয়ের বাজানো সুর 'লুয়ান হোং'।
চেন ইউয়ে এখন চীনের সংগীত ইনস্টিটিউটের জাতীয় সংগীত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। এ ছাড়াও তিনি চীনের 'জাতীয় সুষির যন্ত্র সমিতি'র সদস্য এবং চীনের বাঁশি কমিটির উপ-মহাসচিব। ২০০১ সালে তিনি চীনের কেন্দ্রীয় জাতীয় অর্কেস্ট্রার আমন্ত্রণ পেয়ে একক অতিথি বাদক হন। তিনি বহুবার চীনের চলচ্চিত্র অর্কেস্ট্রা,প্রাচ্য নৃত্যগীতি দল,কেন্দ্রীয় ব্যালে নৃত্য দল,ম্যাকাও অর্কেস্ট্রার সঙ্গে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে সুর বাজিয়েছেন। ২০১৩ সালে চীনের কেন্দ্রীয় টেলিভিশন কেন্দ্র নির্বাচিত 'চীনের সেরা দশ জন বাঁশি বাদক'-এর মধ্যে চেন ইউয়ে অন্তর্ভুক্ত হন। চেন ইউয়েকে চীনের 'সংগীতের সুন্দরী কবি' বলে অভিহিত করা হয়।
সুপ্রিয় বন্ধুরা,এবার শুনুন চেন ইউয়ের বাজানো 'রূপালি জোছনা' নামের একটি সুর। এ সুরটি পশ্চিম চীনের সংগীত সম্রাট ওয়াং লো বিনের একটি অদ্ভূত কর্ম।
| ||||