তবে এতে একটা বড় সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। যেমন- এতে করে হয়তো ওই সন্তানদের বাইরে যাওয়ার দক্ষতা, বাসে করে কোথাও যাওয়ার দক্ষতা, সামাজিক দক্ষতা, বিভিন্ন চাপ মোকাবিলা করার দক্ষতা এবং স্বাধীনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার দক্ষতায় সমস্যা দেখা দেয়।
১৯১৯ সালে চীনের নামকরা লেখক লু সুন তার একটি প্রবন্ধে সন্তানদের সঙ্গে মা বাবার আচরণ নিয়ে তিনটি নীতি লেখেন। আসলে সেই প্রবন্ধ লেখার সময় তিনি তখনও বাবা হন নি। তবে তার ওই লেখার মূল বিষয় এখনও প্রচলিত ও যুক্তিসঙ্গত।
এ তিনটি নীতি হলো: স্বাস্থ্যগতভাবে সন্তানকে জন্ম দেওয়া, সন্তানকে সঠিক শিক্ষা দেওয়া এবং তাকে পুরোপুরি স্বাধীনতা দেওয়া।
লু সুনের ধারণায়, একজন বাবা বা একজন মা হতে পারা আসলেই দারুণ একটি মহান ব্যাপার। সেই সঙ্গে এটি একটি জরুরি ও কঠিন ব্যাপারও বটে।
তিনি মনে করেন, সন্তানদের শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে প্রচলিত বেশ কয়েকটি উপায় আসলেই একধরনের বোঝা।
প্রথমটি হলো রুমে আবদ্ধ করা। বাবা মা মনে করেন, রুমে আবদ্ধ করার মাধ্যমে সন্তানকে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন করা সম্ভব। এতে করে সমাজের কোনো নেতিবাচক প্রভাব তার ওপর পড়বে না।
দ্বিতীয়টি হলো সন্তানকে সমাজের কিছু নেতিবাচক অবস্থা সম্পর্কে জানানো। বাবা মা মনে করতেন, সন্তানকে কেবল সমাজের কিছু নেতিবাচক বিষয় সম্পর্কে শিখিয়ে দিলেই তারা সমাজে বাস করতে পারবে।
তৃতীয়টি হলো সমাজের সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর জন্য কৌশল শিখিয়ে দেওয়া।
চীনে একটি কথা আছে। তা হলো জন্মগ্রহণ করার প্রথমদিকে প্রত্যেকেই সহজ, সরল ও দয়ালু থাকে। আস্তে আস্তে বাবা মার শিক্ষাদান ও আশেপাশের মানুষের প্রভাবে প্রত্যেক মানুষের প্রকৃতি বা চরিত্রে পরিবর্তন ঘটতে শুরু করে।