guangying
|
মেয়েটি সিঁড়িতে বসে এ ঘটনা দেখে এবং তা মীমাংসা করার চেষ্টা করে। মেয়েটি গম্ভীরভাবে মাকে বলে, বাবার সঙ্গে ঝগড়া করো না। তুমি কি তার সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করতে পারো না? তুমি তোমার দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করো। আমি আশা করি না, তোমরা পরস্পরের সঙ্গে খারাপ আচরণ করো। আমি দেখতে চাই না, তোমরা পরস্পরের বন্ধু নও। আমি আশা করি, আমার মা-বাবা, আমি এবং আশেপাশের সকল মানুষ বন্ধু হতে পারি। আমরা সবার মুখে হাসি ফোটাতে পারি।
এই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ার পর তা অসংখ্য নেটব্যবহারকারীদের মুগ্ধ করে। চীনা নেটব্যবহারকারীরা মেয়েটির পরিপক্ক চিন্তাভাবনা নিয়ে অবাক হয়ে পড়েন। একইসঙ্গে তারা সন্তানের সঙ্গে বাবা-মার সম্পর্ক নিয়ে চীন এবং বিদেশের পার্থক্য নিয়ে আলোচনা করা শুরু করেন।
অধিকাংশ চীনাদের ধারণায়, পশ্চিমা দেশে বাবা-মা এবং সন্তানের সম্পর্ক সমান। চীনে হয়তো অনেক বাবা মা এমন ধরনের মানসিকতা পোষণ করে থাকেন যে, আমি তোমার বাবা ও মা, তাই তোমাকে অবশ্যই আমার কথা শুনতে হবে।
এ ধরনের অবস্থা আমাদের এই প্রজন্মের বাবা-মা বা আরো বয়স্ক দাদাদাদি ও নানানানির ওপরে বেশি করে দেখা যায়।