একই বছরের ২৩ জুন এ প্রামাণ্যচিত্র নিউইয়র্ক থিয়েটারে প্রথমবারের মতো প্রদর্শিত হয় এবং এটি খুব ভীষণভাবে সবাইকে আকৃষ্ট করে। রবিন লুং বলেন, তার পড়া পত্রিকার প্রতিবেদন থেকে দেখা যায়, 'কুকান' প্রদর্শনের পর এ প্রামাণ্যচিত্র প্রসঙ্গে তখনকার মার্কিন সমাজের প্রতিক্রিয়া অনেক ইতিবাচক।
তিনি বলেন, 'বিশ্লেষকরা পৃথক পৃথকভাবে বলেছেন, এ প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে দর্শকেরা বহুজাতিক একটি চীনকে দেখতে পান। এতে জাপানের আগ্রাসনের সমানে চীনা জনগণের অদম্য প্রতিরোধ এবং বিস্ফোরণের মধ্যে প্রতিদিন সাহসের সঙ্গে জীবনযাপন করার দৃশ্য বর্ণনা করা হয়'।
তবে চৌ ইয়োংয়ের চোখে যুক্তরাষ্ট্রের তখনকার সমাজে এ প্রামাণ্যচিত্রের ইতিবাচক ভূমিকা অনেক। তার ধারণায়, অনেক মার্কিন নাগরিক 'কুকান' প্রামাণ্যচিত্র দেখার পর চীনকে সাহায্য করা শুরু করেন। কোনো কোনো মার্কিন তরুণ আমেরিকান ভলান্টিয়ার গ্রুপে (এভিজি) যোগ দেন এবং চীনের যুদ্ধে অংশ নেন।
এ প্রসঙ্গে চৌ ইয়োং আরো বলেন, 'এ প্রামাণ্যচিত্রটি যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শনের পর যে আলোড়ন সৃষ্টি হয় তা থেকে প্রতিফলিত হয় যে, এটি ৭০ বছর আগে নিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রকে মুগ্ধ করে। এ প্রামাণ্যচিত্রের মাধ্যমে তখনকার মার্কিন জনগণ চীনা জনগণের প্রতিরোধযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং চীনকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেন। ফলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের সঙ্গে হাতে হাত রেখে যৌথভাবে ফ্যাসিবাদকে পরাজিত করে'।