'কুকান' প্রামাণ্যচিত্রে চীনা জনগণের জাপানি আগ্রাসনবিরোধী যুদ্ধ চলাকালে চীনের যে অংশ জাপানি বাহিনী দখল করে নেয় নি সেখানকার অবস্থা তুলে ধরা ছাড়াও, এতে ১৯৪০ সালের ১৯ থেকে ২০ অগাস্ট পর্যন্ত চীনের ছোং ছিং শহরে জাপানি বাহিনীর বিমান হামলার প্রক্রিয়া রেকর্ড করা হয়।
চৌ ইয়োং এ প্রামাণ্যচিত্রের অনেক মূল্যবান শট আগে কখনও দেখেন নি।
তিনি বলেন, 'হঠাত্ করে বিমান-বিধ্বংসী সতর্কতা সাইরেন বেজে ওঠে, সেই সময় একটি প্রান্তে একটি লাল লণ্ঠন ঝুলানো থাকে। এর অর্থ হলো ছোং ছিংয়ের ওপর বিমান হামলার জন্য জাপানের বিমান হান খৌ থেকে রওয়ানা হয়েছে। এ খবর শুনে মানুষ বোমাপ্রতিরোধী ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে সরে যান। কিছুক্ষণ পর দু'টি লাল লণ্ঠন ঝুলানো হয়। তার মানে জাপানের বিমান সি ছুয়ান প্রদেশে পৌঁছেছে। এ সময় সরে যাওয়ার গতি আরও দ্রুত হয়।
জাপানের বিমান একটি একটি করে ছোং ছিংয়ের আকাশ দিয়ে উড়ে যায়। প্রথম দফর বিস্ফোরণ শেষ হওয়ার পরপরই দ্বিতীয় দফার বিস্ফোরণ শুরু, দ্বিতীয় দফার বিস্ফোরণ শেষ হওয়ার পরপরই তৃতীয় দফার বিস্ফোরণও শুরু হয়। পুরো শহর আগুনের মধ্যে পড়ে যায়। আগুনের ছায়ায় পুরো ছোং ছিং শহর ঢেকে যায়। তারপর জাপানের বিমান চলে যায়, ছোং ছিং বাসীরা আগুন নেভান এবং বিধ্বস্ত বাড়িঘর পুনর্নির্মাণ করেন। এমন সত্যিকার দৃশ্য-বিন্যাস আমি আগে কখনও দেখিনি'।
১৯৪১ সালের পহেলা জানুয়ারি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন রুজভেল্ট 'কুকান' প্রামাণ্যচিত্র দেখেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী রুজভেল্টের জন্য মাত্র ২০ মিনিটের ভিডিও প্রদর্শন করার কথা ছিলো কিন্তু রুজভেল্ট পুরো প্রামাণ্যচিত্রটিই দেখেন।