জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধে অবশেষে বিজয় অর্জন করেচীন। ১৯৩৭ সালের নভেম্বরে সুরকার সিয়া জি ছিউ পত্রিকায় কবি কুয়াং ওয়েই রেন এর লেখা 'জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী কোরাম' পড়ে বড় উত্সাহ পান। তিনি এ লেখা বার বার পড়েন এবং সুর দেন। এ গানের নাম হচ্ছে 'চূড়ান্ত বিজয় আমাদের'।
গানে জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী পতাকা উঁচু করে হাতে তুলে আগ্রাসনকারীদের বর্বরোচিত কার্যকলাপের বিরুদ্ধেঅভিযোগ করা হয়েছে, জনসাধারণকেযুদ্ধে আহ্বান জানানো হয়েছে, বিজয়ের আস্থা প্রকাশ করা হয়েছে।
তত্কালীন 'সিনহুয়া পত্রিকায়' বলা হয়েছে, 'চূড়ান্ত বিজয় আমাদের' নামে গান প্রাণস্পর্শী। ১৯৩৮ সালে জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী বাহিনীর জেনারেলদের প্রশংসা করার এক প্রামাণ্যচিত্রে এ গান ব্যবহার করা হয়েছে। এ বার শুনুন 'চূড়ান্ত বিজয় আমাদের' নামে গান।
বন্ধুরা, গেল পাঁচ সপ্তাহে আমি টানা পাঁচটি 'জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ বিষয়ক গান' আপনাদের পড়ে শুনিয়েছি। পাশাপাশি এ গানগুলোর মধ্য দিয়ে জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ সম্পর্কিত কিছু ঐতিহাসিক তথ্যও জানিয়েছি।
জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধজয়ে চীনা জনগণ রক্ত ও প্রাণ বিসর্জন দিয়েছেন। যুদ্ধজয়ে চীনের কমিউনিস্ট পার্টি প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। চীনের জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ হচ্ছে বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। যুদ্ধকালে চীনের ৩ কোটি ৫০ লাখ সৈন্য ও জনসাধারণ মারা যান, সেনাবাহিনীর ৩৮ লাখ সৈন্য হতাহত হন, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বিভিন্ন দেশের মোট হতাহতের সংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সবচেয়ে বেশি মূল্য দিয়েছে এমন দেশগুলোর মধ্যে চীন অন্যতম। এখন আমরা শ্রদ্ধার সাথে এ ইতিহাসকে স্মরণ করি, সেইমহান বীরদের স্মরণ করি। আমরা চাই, এ পৃথিবীতে আর যুদ্ধ হবে না। আমরা চাই, শান্তিচিরস্থায়ী হোক।
বন্ধুরা, এতক্ষণ আপনারা চীন আন্তর্জাতিক বেতারের 'সুরের ধারায়' আসর শুনলেন। এ অনুষ্ঠান শোনার জন্য ধন্যবাদ। আপনার কোনো মতামত থাকলে চিঠি লিখে জানাবেন। আমাদের ইমেইল ঠিকানা হচ্ছে ben@cri.com.cn
ভালো থাকুন সবাই। আবার কথা হবে। (ইয়ু/টুটুল)