

জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী ঘাঁটি ক্রমেই বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৪২ সালে জাপানি হানাদার বাহিনী ইচোং ঘাঁটিকে ধ্বংস করার সময় সেখানকার জনসাধারণ জাপানি হানাদারদের রোধ করার জন্য অনেক উপায় বের করেন। সুড়ঙ্গ যুদ্ধ হচ্ছে এগুলোর মধ্যে একটি। ইচোং অঞ্চলের কাও চিয়া চুয়াংয়ের জনগণ পার্টির সম্পাদক কাও লাও চোং ও মিলিশিয়া দলের প্রধান কাও ছুন পাও -এর নেতৃত্বে বাড়ির ভূগর্ভস্থ ঘরকে সংযুক্ত করে সুড়ঙ্গ নির্মাণ করেন। তার মাধ্যমে তারাজাপানি হানাদারদের সঙ্গে লড়াই করেন।
১৯৬৫ সালে ১ অগাস্ট চীনের চলচ্চিত্র কোম্পানি 'সুরঙ্গ লড়াই' নামে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে।
২০১২ সাল পর্যন্ত মোট ৩০০ কোটি দর্শক এ চলচ্চিত্র দেখেন। এখন শুনুন এ চলচ্চিত্রের গান 'সুরঙ্গ যুদ্ধ'। গানে বলা হয়েছে, "সুরঙ্গে হাজার হাজার সৈন্য ওত পেতে থাকে। হাজার মাইল বিস্তীর্ণ সমতলভূমিতে শত্রুদের সঙ্গে গেরিলা যুদ্ধ করে। গ্রামের সঙ্গে গ্রাম, পরিবারেরসঙ্গে পরিবার যুক্ত হয়েছে। হানাদারেরবিরুদ্ধে আঘাত হানবে। প্রত্যেক গ্রামবাসী হচ্ছেন সৈন্য, সবাই লড়াইয়ে অংশ নেন। আমরা সম্পূর্ণভাবে হানাদারকে নির্মূল করবো।"
'সুরঙ্গ লড়াই' চলচ্চিত্রের আরেকটি গানও খুব জনপ্রিয় । গানের নাম হচ্ছে ¡°চেয়ারম্যান মাও'র কথা মনে রেখে"। গানের কথা লিখেছেন এবং সুর করেছেন ফু গেং চেন, গেয়েছেন তেং ইয়ু হুয়া। এ গানে মহান নেতার প্রতি চীনা জনগণের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা এবং শত্রুদের সঙ্গে সংগ্রাম করে বিজয় অর্জনের আস্থা প্রকাশিত হয়েছে। গানে বলা হয়েছে, "সূর্যালোক চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। চেয়ারম্যান মাওয়ের চিন্তাধারা সূর্যালোকের মতো উজ্জ্বল। চেয়ারম্যান মাওয়ের চিন্তাধারা চারদিকে সম্প্রচারিত হয়। জনগণ বিপ্লবের চেতনা পেয়েছে। নারী, পুরুষ, বৃদ্ধ ও শিশু সবাই যুদ্ধে অংশ নেন। গণযুদ্ধ হচ্ছে অপরাজেয় শক্তি। চেয়ারম্যান মাওয়ের কথা মনে রেখে আমরা সকল দস্যুকে কবর দেবো।"



