১৯৩৬ সালের ২৬ অগাস্ট 'স্বদেশে গিয়ে লড়াই করবো' নামের গানটি সারা চীনে প্রচলিত হয়। গানের কথা লিখেছেন আন ও সুর করেছেন রেন কুয়াং । 'স্বদেশে গিয়ে লড়াই করবো' গানটি হলো সুরকার রেন কুয়াংয়েরসংগীতের রীতি পরিবর্তনের সবচেয়ে সফল সংগীত কর্ম। গানটিতে সময়োচিতভাবে জনসাধারণের মনের কথা প্রতিফলিত হয়েছে এবং দ্রুত সম্প্রসারিত হয়েছে। তখন মহাপ্রাচীরের ভিতর ও বাইরে, ছাংচিয়াং নদীর দক্ষিণ ও উত্তরে সব জায়গায় 'স্বদেশে গিয়ে লড়াই করবো' নামে গানের আওয়াজ বেজে ওঠে। গানে বলা হয়েছে, "স্বদেশে ফিরে গিয়ে লড়াই করবো। জাপানের সাম্রাজ্যবাদকে নির্মূল করবো। উত্তর-পূর্ব চীন আমাদের। জাপানি হানাদার আমাদের স্বদেশবাসীকে হত্যা করে, আমাদের মাটি জোর করে দখল করে। উত্তর-পূর্ব চীনের স্বদেশবাসীরা উঠুন। আমরা স্বদেশ ফিরে গিয়ে লড়াই করবো।"
১৯৩৭ সালের ১৩ অগাস্ট জাপানের আগ্রাসী বাহিনী শাংহাইয়ে আক্রমণ করে। এসময় চীনের সেনাবাহিনী প্রায় তিন মাস ধরে এর প্রতিরোধ করেছে, তারা রক্ত দিয়ে চীনা সৈনিকের মূর্তি তৈরি করেছে। তারা প্রাণ দিয়ে জাপানি আগ্রাসনকারীদের চীনকে ধ্বংস করার স্বপ্ন ধূলিসাত করে দিয়েছে।
১৩ অগাস্ট সোংহু লড়াই চীনা জাতির পুনরুত্থানের ভরসা যুগিয়েছে। শিয়ে চিন ইউয়ানের ৫২৪ রেজিমেন্টের প্রথম ব্যাটালিয়নের ৪১১ জন সৈন্য নিয়ে কয়েক হাজার জাপানি স্থল, নৌ ও বিমান বাহিনীর দস্যুদের নির্মূল করার বীরত্ব চীনাদের মুগ্ধ করেছে।
২০০৫ সালে চীনের জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ ও বিশ্ব ফ্যাসিবাদ-বিরোধী যুদ্ধজয়ের ৬০তম বার্ষিকী স্মরণের জন্য চীনের টেলিকম জাপানের আগ্রাসন-বিরোধী যুদ্ধ বিষয়ক এক সেট টেলিফোন কার্ড প্রকাশ করে।এর মধ্যে চীনের আট'শ বীরের ছবি সম্বলিত কার্ড ছিলো।এভাবে সে সময় বীরদের অবদানকে গভীরভাবে স্মরণ করা হয়।
সুরকার কুই থাও শেং এ কাহিনীর ভিত্তিতে 'আট'শ বীরকে প্রশংসা' নামে গান রচনা করেন। গানে বলা হয়, ¡°চীনের মৃত্যু হবে না। দেখুন, সে আট'শ বীর একাই যুদ্ধক্ষেত্রে লড়াই করছে। চার দিকে তোপধ্বনি, চারদিকে শৃগাল। আমরা মরলেও আত্মসমর্পণ করবো না। আট'শ বীর এক মন নিয়ে লড়াই করলে এক লাখ শত্রুও বাধা দিতে পারে না। স্বদেশবাসীরা, উঠুন। স্বদেশবাসীরা, যুদ্ধক্ষেত্রে যান, আট'শ বীর আমাদের দৃষ্টান্ত।