তৃতীয় প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা হলেন নয়া চীন প্রতিষ্ঠার পরের শিল্পীরা। তাঁরা চলচ্চিত্রে ঐতিহ্যবাহী শৈলী ও আঞ্চলিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরার ক্ষেত্রে অনেক কার্যকর প্রচেষ্টা চালান।
চতুর্থ প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালেকেরা হচ্ছেন বিংশ শতাব্দীর ষাটের দশকের পেইচিং ফিল্ম একাডেমির স্নাতকেরা। তখন থেকে চীনের চলচ্চিত্রে নাটকের গঠন পুরোপুরিভাবে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। চতুর্থ প্রজন্মের পরিচালকেরা জীবনের খুব ছোট ঘটনা ও সাধারণ মানুষ থেকে সমাজ ও জীবনের দর্শন খুঁজে বের করা শুরু করেন। তাঁরা আরো বেশি করে চীনের ইতিহাস ও জাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে বাস্তবতার সংমিশ্রণ অন্বেষণ করার চেষ্টা করেন।
পঞ্চম প্রজন্মের পরিচালকেরা হচ্ছেন আশির দশকে পেইচিং ফিল্ম একাডেমি থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাওয়া ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা হচ্ছেন আপাতত চীনের চলচ্চিত্রের সবচেয়ে উজ্জ্বল প্রজন্ম। তাঁরা ১০ বছর সাংস্কৃতিক বিপ্লবের অভিজ্ঞতা অর্জন করার পর সংস্কার ও উন্মুক্তকরণের যুগে প্রবেশ করেন। তাঁরাই সবচেয়ে বেশি তৃণমূল মানুষের কণ্ঠ শুনতে পান। তাই তাঁদের চলচ্চিত্রও অনেক প্রাণবন্ত । চলচ্চিত্রের উপাদান বেছে নেওয়া, গল্প বলা, চরিত্র সৃষ্টি করাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁরা ঐতিহ্য অনুসরণের সঙ্গে সঙ্গে কিছু কিছু ক্ষেত্রে নতুন চিন্তা যুক্ত করেন ও নতুন কিছু উদ্ভাবনের প্রচেষ্টা চালান।
চীনের ষষ্ঠ প্রজন্মের পরিচালকেরা হচ্ছেন আশির দশকের শেষ দিকে পেইচিং ফিল্ম একাডেমিতে ভর্তি হওয়া ছাত্রছাত্রীরা। তাঁরা নব্বই দশকের পর চলচ্চিত্র নির্মাণ করতে শুরু করেন।
তাঁরা চলচ্চিত্রের মাধ্যেম বর্তমান মানুষের জীবনের ওপর নিবিড় দৃষ্টি রাখা শুরু করেন। তাঁরা চলচ্চিত্রে বাস্তবিক আলো, রং ও সাউন্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।