১৯৮৬ সাল থেকে বিংশ শতাব্দীর বিশ দশক পর্যন্ত বিদেশি ব্যবসায়ীরা চীনের চলচ্চিত্র বাজারে একচেটিয়াভাবে প্রাধান্য বিস্তার করলেও চীনের চলচ্চিত্রের উন্নয়নকে ঠেকাতে পারেন নি। ১৯০৩ সালে লিন চু সান নামে জার্মানীতে অধ্যয়নরত চীনের এক ছাত্র চলচ্চিত্র ও প্রজেক্টর নিয়ে চীনে ফিরে আসেন। তিনি পেইচিংয়ের ছিয়েনমেনের একটি চা বাগান ভাড়া করে চলচ্চিত্র প্রদর্শন করেন।
১৯০৫ সালে পেইচিং অপেরা শিল্পী থান সিন পেইয়ের জন্মদিনে পেইচিং ফোং থাই ফটো গ্যালারীর কর্মী রেন ছিং থাই 'তিং চুন শান, অর্থাত্ তিং চুন পাহাড়' নামে তাঁর পরিবেশিত একটি পেইচিং অপেরা শুটিং করেন।
ফলে দেখা যায়, সর্বপ্রথম চীনের চলচ্চিত্রে ঐতিহ্যবাহী অপেরার সঙ্গে সংমিশ্রণ ঘটানো হয়, এতে নিজস্ব বৈশিষ্টসম্পন্ন এক ধরনের বিশেষ চলচ্চিত্রের রূপ সৃষ্টি হয়।
তবে 'ফোং থাই ফটো গ্যালারী' আসলে চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠান ছিল না।'দ্য কমার্শিয়াল'ব্যুরা প্রতিষ্ঠার পর চীনের চলচ্চিত্র শিল্প আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে।
তখনকার অভিনেতা অভিনেত্রীরা অপেরা মঞ্চ থেকে আসেন, তাই তখনকার অধিকাংশ চলচ্চিত্রের উপকরণ ও বিষয় চীনের অপেরা ও নাটকের সঙ্গে সম্পর্কিত ছিলো। এক কথা বলা যায়, চীনের চলচ্চিত্র শিল্প ১৯০৫ সালে জন্ম হয়।
এই চলচ্চিত্র শিল্প সৃষ্টির পিছেন আধা উপনিবেশিক, আধা সামন্ততান্ত্রিক, বিপ্লবী, নয়া চীন প্রতিষ্ঠা, মহা সাংস্কৃতিক বিপ্লব, সংস্কার ও উন্মুক্তকরণ এবং সার্বিকভাবে সচ্ছল সমাজ প্রতিষ্ঠার যুগসহ বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুগের অভিজ্ঞতা রয়েছে।
এক পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, গত ২০ ও ৩০ বছর ধরে চীনের চলচ্চিত্র চীনের মূল ভূভাগ, হংকং ও তাইওয়ানের চলচ্চিত্র নিয়ে গঠিত।
২০০০ সাল থেকে চীনের মুল ভূভাগের চলচ্চিত্র বিশাল উন্নতি করতে থাকে।