সব দিক বিচার করলে দেখা যায়, চীনের চলচ্চিত্রের বাজারের প্রতি বিদেশি কোম্পানির গভীর আগ্রহ রয়েছে।
চীনের কুংফু চলচ্চিত্র আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র অঙ্গনে অনেক বিখ্যাত।
বলা যায়, চীনের মার্শাল আর্ট একদিকে যেমন চীনের চলচ্চিত্রের উন্নয়নকে বেগবান করেছে অন্যদিকে চীনের চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চীনের মার্শাল আর্টকেও জনপ্রিয় করে তোলা হয়েছে।
চীনের ছয় প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালক:
চীনের চলচ্চিত্রের ভিত্তি স্থাপনকারী হিসেবে প্রথম প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা চীনের ঐতিহ্যবাহী মঞ্চ নাটক ও অপেরা থেকে অনেক ভালো পদ্ধতি গ্রহণ করেন। শুটিং করার ক্ষেত্রে তাদের কৌশলও একটু পুরনো। তখনকার চলচ্চিত্রের বিষয় ছিল তুলনামুলকভাবে একটু সহজ । শৈল্পিক ক্ষেত্রে এর মান ছিল একটু শিশুসুলভ।
চীনের দ্বিতীয় প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা প্রধানত বিংশ শতাব্দীর ত্রিশ বা চল্লিশের দশকে সক্রিয় হয়ে উঠেন। তাঁরা ছিলেন প্রথম সত্যযুগের সৃষ্টিকারী। তখন থেকেই চীনের চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তুতে পরিবর্তন শুরু হতে থাকে। তারা পুরোপুরি বিনোদন থেকে বের হয়ে গভীরভাবে সামাজিক জীবনকে প্রদর্শন করতে শুরু করেন। বিনোদনের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সামাজিক ভূমিকা পালন করতে শুরু করেন তারা।
ধাপে ধাপে দ্বিতীয় প্রজন্মের চলচ্চিত্র পরিচালকেরা চলচ্চিত্র শিল্পের মৌলিক নিয়ম আয়ত্ত করেন এবং মঞ্চ নাটকেরর রূপ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা চালান।