0428jingji.m4a
|
২০২০ সাল নাগাদ চীনের জনসংখ্যা ১৪১ কোটি হবে। এতো বিপুল মানুষের খাদ্যের সংস্থান করা একটা বড় চ্যালেঞ্জ—এতে কোনো সন্দেহ নাই। আসলে, শতাধিক কোটি মানুষের এই দেশে নাগরিকদের জন্য পর্যাপ্ত খাদ্যের সংস্থান করা বরাবরই সবচে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল এবং এখনো আছে। ২০১৪ সাল পর্যন্ত গত ১১ বছরে চীনের কেন্দ্রীয় সরকারের অগ্রাধিকার তালিকার এক নম্বরে ছিল কৃষি। চলতি বছরেও কেন্দ্রীয় সরকার খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের বিষয়টিকে সবচে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। সরকারের এ সংক্রান্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে, শিগগিরই দেশ গম ও ধান উত্পাদনের দিক দিয়ে মোটামুটি ১০০ শতাংশ আত্মনির্ভরশীল হবে। আর সার্বিকভাবে দেশ খাদ্যে ৯০ শতাংশ আত্মনির্ভরশীল হবে।
চীনের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে তা কেবল দেশটির দীর্ঘস্থায়ী শান্তির জন্য ভিত্তি স্থাপন করবে তা নয়, বরং সারা বিশ্বের খাদ্য নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০০০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বিশ্বে খাদ্যশস্যের উত্পাদন ৪৩ কোটি টন বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যে চীনে খাদ্যশস্যের উত্পাদন বেড়েছে ১৩ কোটি ৪০ লাখ টন। অর্থাত, এ ক্ষেত্রে চীনের অবদান ৩১ শতাংশ।
২০১৩ সাল পর্যন্ত চীনে একটানা দশ বছর ধরে খাদ্য উত্পাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্য ও সয়াবিনসহ সারা দেশে শস্য উত্পাদনের পরিমাণ ৬০ কোটি টন ছাড়িয়েছে, যা দেশের ইতিহাসে একটি নতুন রেকর্ড। অবশ্য, এর পাশাপাশি চীনে খাদ্যশস্যের আমদানির পরিমাণও বেড়েছে। গত বছর চীন প্রায় ১ কোটি ৫০ লাখ টন খাদ্যশস্য আমদানি করেছে, যা ২০১২ সালের তুলনায় প্রায় ১০ লাখ টন বেশি।
খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ বৃদ্ধি ও নগরায়নের সাথে পাল্লা দিয়ে চীনে খাদ্যশস্যের উত্পাদন অব্যাহতভাবে বৃদ্ধি পাবে কি না, খাদ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাবে কি না—এসব প্রশ্ন কেবল চীনাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ তা নয়, বরং গোটা বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণের বিষয়।
| ||||