Web bengali.cri.cn   
স্বর্গের মন্দির
  2014-04-23 19:38:18  cri

পৃথিবীর মন্দির

বন্ধুরা "স্বর্গের মন্দির" এর পর এবারে চলুন "পৃথিবী মন্দির" থেকে ঘুরে আসি । পেইচিং শহরের উত্তর দিকে ২য় রিং রোডের বাইরে অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় এর অবস্থান। ১৫৩০ সালে মিং ডাইন্যাস্টিতে সম্রাট চিয়া চিং এটি নির্মাণ করেন। "দিথান পার্ক" বা "পৃথিবী মন্দির" ৪০ হেক্টর এলাকা জুড়ে বিস্তৃত।

প্রাচীন চীনাদের বিশ্বাস অনুযায়ী পৃথিবী বর্গাকৃতির,আর তাই পৃথিবীর প্রতিক হিসেবে এই মন্দিরও বর্গাকৃতির।"স্বর্গের মন্দিরের" তুলনায় এই মন্দিরটির আকার ছোট হলেও এটা পেইচিং শহরের পৃথিবীর ঈশ্বর উপাসনালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম। এখানে মিং ও ছিং রাজবংশের সম্রাটরা ভালো আবহাওয়া, ভালো ফসল এবং শক্তিশালী ও স্থিতিশীল জাতি গঠনের উদ্দেশ্য ঈশ্বরের কৃপা লাভের আশায় বলিদানের আয়োজন করতেন।

বর্তমানে এই মন্দিরের প্রধান আকর্ষণ হলো চীনা বসন্ত উত্সবের সময় আয়োজিত মেলা। ৮০'র দশক থেকে শুরু হওয়া এ উত্সব আয়োজন বর্তমানে দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে ভীষণ জনপ্রিয়। এ সময় নানা রঙের ঐতিহ্যবাহী পাখা, হাজার হাজার চীনা লণ্ঠন এবং নানা রঙ ও আকৃতির ঘুড়ি দিয়ে পুরো পার্কটি সাজানো হয়। দেশী বিদেশী পর্যটকদের পদচারনায় মুখর হয়ে উঠে পুরো উদ্যান এলাকাটি। দোকানীরা নানা ধরনের পসরা সাজিয়ে আমন্ত্রণ জানান মেলায় আগত অতিথিদের। এছাড়া থাকে নানা ধরনের খেলাধুলার ব্যবস্থা। এ সময় বেড়াতে আসা পর্যটকরা পুরো চীনের বিখ্যাত সব খাবারের স্বাদও নিতে পারেন মেলা উপলক্ষে স্থাপিত অস্থায়ী খাবারের দোকানগুলো থেকে। মেলার এই উত্সবমুখর পরিবেশ থেকে চীনা বসন্ত উত্সবের বিশালতা আমরা অনুধাবন করতে পারি।

বছরের অন্যান্য সময়গুলোতে শহরবাসীরা এই মন্দির উদ্যানে আসেন প্রাত্যাহিক শরীরচর্চা করতে। এ উদ্যানটি চীনের বিখ্যাত উশু "থাই চি" চর্চার একটি জনপ্রিয় স্থান।

পেইচিং এর প্রাচীন উদ্যানগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি জনপ্রিয় উদ্যান হচ্ছে "রি থান পার্ক" বা " সূর্য মন্দির"। এটি নির্মিত হয় ১৫৩০ খ্রিস্টাব্দে মিং ডাইন্যাস্টির শাসনামলে।

এই উদ্যানটি পেইচিং এর ব্যবসায়িক প্রাণকেন্দ্র ছাও ইয়াং জেলায় অবস্থিত। এর আশেপাশে অনেক দুতাবাস থাকায় বিদেশিদের কাছে এই উদ্যানটির রয়েছে এক অন্যরকম জনপ্রিয়তা। প্রতিদিন প্রচুর বিদেশী নাগরিকসহ স্থানীয় অধিবাসিরা ও এখানে বেড়াতে আসেন, যারা মাছ ধরতে ভালবাসেন তাদের জন্য এখানে রয়েছে একটি পুকুর যেখানে সামান্য অর্থের বিনিময়ে আপনারা মাছ ধরার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। গ্রীষ্মকালে ছায়াঢাকা এ পার্কে ঘুরে বেড়ানো খুবই আরামদায়ক। এছাড়া এই উদ্যানের আশেপাশে রয়েছে দেশী বিদেশী অনেক রেস্তোরাঁ, বার এবং কেনাকাটার সুব্যবস্থা যা পর্যটক আকর্ষণের অন্যতম একটি কারণ ও বটে।

1 2 3 4 5
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্য
Play
Stop
ওয়েবরেডিও
বিশেষ আয়োজন
অনলাইন জরিপ
লিঙ্ক
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040