এখানকার বিশেষ ধরনের স্থাপনা তো আছেই, এছাড়া আমার কাছে সবচেয়ে আকর্ষণীয় মনে হয় যে ব্যাপারটি ,তা হচ্ছে, এখানে বেড়াতে আসলে আমরা চীনের অনেক বৃদ্ধ নাগরিকদের নানা ধরনের সাংস্কৃতিক পরিবেশনা দেখতে পাই । যেমন , অবসর প্রাপ্ত বৃদ্ধ বৃদ্ধারা দেখা যায় জোড়ায় জোড়ায় গানের তালে তালে নাচছেন । তাদের এই সুখী আনন্দময় পরিবেশনা দেখে মনের অজান্তেই আপনার মুখে হাসি ফুটে উঠবে।এমন ও হতে পারে আপনাকে দাড়িয়ে থাকতে দেখলে উনারা আপনাকে তাদের সাথে নাচে অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। আর নানা ধরনের ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের পাশাপাশি উনারা পাশ্চাত্য ধারার নৃত্যও পরিবেশন করেন যা দেখে সত্যি অবাক হতে হয়।উনাদের কারো কারো এই ব্যাপারে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থাকলে ও , বেশিরভাগই নিজের বুকে চীনা ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ধারণ করে মনের আনন্দে নৃত্য পরিবেশন করেন ।
এছাড়া ও আপনারা হয়তো দেখতে পাবেন অনেকে চীনা কুংফু চর্চা করছেন, কেউ হয়তোবা আপন মনে বাজিয়ে যাচ্ছেন চীনা বাদ্যযন্ত্র, কেউ আবার পার্কে বসে নিজের হাতে তৈরি করছেন নানা ধরনের কুটিরজাত পণ্য, কেউ কেউ হয়তোবা দল বেঁধে খেলায় অথবা আড্ডায় মেতে আছেন। এক কথায় এই স্বর্গের মন্দির উদ্যানে আপনি চীনের ইতিহাসের পাশাপাশি চীনের সংস্কৃতির ও দৈনন্দিন জীবনের নানা দিকের সাথে পরিচিত হতে পারেন।
শ্রোতা বন্ধু "স্বর্গের মন্দিরের" পূর্ব ফটকে পাতাল রেল স্টেশন আছে, তাই আপনারা পেইজিং শহরের যেকোনো জায়গা থেকে পাতাল রেলে চড়ে ঘুরে যেতে পারেন এই স্বর্গের মন্দির থেকে। আর এই পূর্ব ফটকের উল্টোদিকেই আছে পেইচিং শহরের অতি বিখ্যাত "পার্ল মার্কেট" যেখানে আপনি আপনার প্রিয়জনদের জন্য মুক্তোর গহনা সহ নানা ধরনের উপহার সামগ্রী কিনতে পারবেন।
বন্ধুরা "স্বর্গের মন্দির" এর ইতিহাস ও এখানে ভ্রমণ সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনারা মন্দিরের নিজস্ব ওয়েবসাইট ভিজিট করতে পারেন। ওয়েবসাইট ঠিকানা হচ্ছে www.tiantanpark.com.
| ||||