Web bengali.cri.cn   
প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো সকলের জন্য সুযোগ
  2013-06-03 20:16:24  cri

প্রথম চীন-দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো ৬ থেকে ১০ জুন চীনের ইয়ুননান প্রদেশের রাজধানী খুনমিং শহরে অনুষ্ঠিত হবে। একই সাথে ২১তম চীনের খুনমিং আমদানি রপ্তানি পণ্য বাণিজ্য মেলাও অনুষ্ঠিত হবে। ওই সময় দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর পণ্য প্রদর্শনী, দক্ষিণ এশীয় দেশগুলোর বিনিয়োগ উন্নয়ন সভা, চীন-দক্ষিণ এশিয়ার পণ্য ক্রয় সভা, চীন-দক্ষিণ এশিয়া বাণিজ্য ফোরাম, চীন-দক্ষিণ এশিয়া চিন্তাশালা ফোরাম, চীন-সার্ক ঊর্ধ্বতন অর্থনীতি ও বাণিজ্য বিষয়ক কর্মকর্তাদের সম্মেলন আর চীন-আসিয়ান শিল্প সহযোগিতা সম্মেলনসহ নানা কর্মসূচি আয়োজিত হবে। এবারের এক্সপোর উদ্দেশ্য হচ্ছে পণ্য ও সেবা বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পর্যটন সহযোগিতা বাড়ানো আর সাংস্কৃতিক বিনিময় জোরদার করা।

ইয়ুননান বিশ্ববিদ্যালয়ে চীনা ভাষার আন্তর্জাতিক শিক্ষাদান বিষয়ক মাস্টার ডিগ্রি অর্জনকারী বাংলাদেশী ছাত্র লুপেয়া খুনমিংয়ে দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো আয়োজনের তথ্য জেনে খুব খুশি হয়েছেন। তিনি দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো চলাকালে আবার খুনমিংয়ে ফিরে যেতে চান। চীন, বিশেষ করে খুনমিংয়ের অতিপরিচিত বাঙালি হিসেবে দক্ষিণ এশিয়া এক্সপো থেকে তাঁর একটি বড় প্রত্যাশা রয়েছে। সেটি হচ্ছে খুনমিং থেকে চট্টগ্রামগামী এক্সপ্রেস সড়কপথ চালু হোক। কারণ এ সড়কপথ চালু হওয়ার পর বাংলাদেশ ও চীনের বেসরকারি আদানপ্রদান অবশ্যই আরো ঘনিষ্ঠ হবে, দু'দেশের বাণিজ্যিক লেনদেন আরো দ্রুত হবে, বাংলাদেশের গভীর সমুদ্র বন্দরের নির্মাণকাজ বেগবান হবে।

চীন সরকার আশা করে, ইয়ুননান এবং দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় দেশগুলোর বাণিজ্য ও বিনিয়োগ জোরদার করবে। ২০০৯ সালের জুলাই মাসে তত্কালীন চীনা প্রেসিডেন্ট হু চিন থাও ইয়ুননান সফরের সময় ঘোষণা করেছিলেন যে, ইয়ুননানকে চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমমুখী উন্মুক্ততার গুরুত্বপূর্ণ সেতুমুখ হিসেবে গড়ে তোলা হবে। চীন সরকার এ অঞ্চলের অবকাঠামো নির্মাণ ক্ষেত্রের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে, এ প্রদেশ আর নিকটবর্তী দেশগুলোর পরিবহণ ব্যবস্থা উন্নত করেছে। এ অঞ্চলে সড়কপথ, রেলপথ আর বিমানপথের সমন্বয়ে এক পরিবহণ নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সেটির মধ্য দিয়ে ইয়ুননান আর মিয়ানমার, ভারত, বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ জোরদার হয়েছে। চীন সরকার এ প্রকল্পগুলো দেশের পাঁচশালা পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করেছে।

1 2
মন্তব্য
লিঙ্ক