চৌদ্দতম চীনের (শোকুয়াং) আন্তর্জাতিক শাকসবজি প্রযুক্তি মেলা ২০ এপ্রিল থেকে ৩০ মে চীনের শানতুং প্রদেশের শোকুয়াং শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এ মেলা বিশ্বের ৫০টিরও বেশি দেশের বিশেষজ্ঞ, ব্যবসায়ী ও পর্যটকদের আকর্ষণ করে। এবারের মেলার প্রতিপাদ্য ছিল 'সবুজ, প্রযুক্তি ও ভবিষ্যত'।
চৌদ্দতম শাকসবজি মেলার আয়োজক কমিটির কার্যালয়ের স্থায়ী উপ-পরিচালক সুই শেন লি জানান, সাধারণ প্রদর্শনী হল ছাড়া এবারের শাকসবজি মেলায় দুটি ১০ হাজার বর্গমিটার আয়তনের উচ্চ-প্রযুক্তি প্রদর্শনী হল খোলা হয়।
তিনি বলেন, "নতুন করে বাড়ানো নয় নম্বর আর দশ নম্বর প্রদর্শনী হলে প্রধানত নতুন প্রজাতির পণ্য এবং উন্নত মানের প্রযুক্তি সম্প্রসারণ প্রদর্শন করা হয়, যাতে চীনের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কৃষক এখান থেকে নতুন প্রযুক্তি শিখতে পারে এবং বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যবসায়ীরা নতুন প্রযুক্তি ও নতুন প্রজাতির পণ্য বিক্রি করতে পারে।"
এর মধ্যে নয় নম্বর প্রদর্শনী হলে শাংতুং শোকুয়াং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমি কেন্দ্রীভূতভাবে শাকসবজি চাষ আর উদ্ভিদ রক্ষার প্রযুক্তি প্রদর্শন করে। এ হলে তথ্যায়ন পরিচালনা, যান্ত্রিকায়ন, পানি ও রাসায়নিক সারের সহায়তায় উত্পাদন দেখানো হয়। শাকসবজি চাষের চাঁদোয়ায় ইন্টারনেট, মোবাইল ফোন আর কম্পিউটারের মাধ্যমে দূরপাল্লার নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হয়েছে।
তুলার মধ্যে লবণ দিয়ে উদ্ভিদ চাষ
শোকুয়াং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি একাডেমির জীববিজ্ঞান প্রকল্প গবেষণা কেন্দ্রের ডক্টর পান হাও ছিন বলেন, "নয় নম্বর হলের উদ্ভিদচাষ এলাকায় প্রধানত উন্নত মানের শাকসবজির ক্লোন প্রযুক্তির দ্বারা শাকসবজির অযৌন জনন বাস্তবায়িত হয়েছে। তুলার মধ্যে লবণ দিয়ে উদ্ভিদ চাষ এলাকায় প্রধানত নির্বীজ পরিবেশে লালন করা সামুদ্রিক শাকসবজি প্রদর্শিত হয়। এ ধরনের তুলার মধ্যে লবণ দিয়ে চাষ করা সবজির উত্পাদন পরিমাণ বেশি, খেতে সুস্বাদু এবং পোকার আক্রমণ কম হয়। ডক্টর পান বলেন, "যদি শাকসবজি মেলার মতো এমন প্লাটফর্ম না থাকতো, তাহলে তাদের প্রযুক্তির ফলাফল সম্প্রসারিত হতো না।"
তিনি বলেন, "শাকসবজি মেলা এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে দর্শকরা আমাদের চাষ করা নতুন শাকসবজির বীজ দেখেছে। এখন শোকুয়াংতে বেশির ভাগ শাকসবজির বীজ বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। দেশে উত্পাদিত বীজ বাজারের সামান্য অংশ দখল করতে পেরেছে। আমরা এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে চীনে তৈরি বীজের সুনাম অর্জন করতে চাই।"
টমেটো তোলার যন্ত্রমানব
দশ নম্বর প্রদর্শনী হলে প্রধানত আধুনিক কৃষি খাতের সবচেয়ে উন্নত মানের চাষপ্রযুক্তি প্রদর্শিত হয়, যেগুলোর মধ্যে ছিল উদ্ভিদ খামার, আধুনিক বারান্দা, শাকসবজির স্বয়ংক্রিয়তা ব্যবস্থা ইত্যাদি। বিশেষ করে টমেটো ও স্ট্রবেরি তোলার যন্ত্রমানব আর জোড়কলম যন্ত্রমানবের বুদ্ধিবৃত্তি ও স্বয়ংক্রিয়তার মাত্রা আশ্চর্যজনক।
| ||||