|
কয়েক সপ্তাহ নতুন বাসার আশেপাশের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে বেড়ায় ব্রুনো। একদিন তারের জাল দিয়ে নির্মিত একটি দেয়ালের পাশে সে পৌঁছে যায় ।
সেখানে দাঁড়িয়ে সে দেখতে পায়, দেয়ালের অন্য পাশে ডোরাকাটা পাজামা পড়া তার সমবয়সী একজন ছেলে তথাকথিত সেই কৃষি খামারে কাজ করছে। এই ছেলেকে দেখে ব্রুনো অবাক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দও বোধ করে। সে ভাবতে থাকে পরবর্তীতে সে ওই ছেলের সঙ্গে খেলতে পারবে।
দেয়ালের অন্য পাশ থেকে সেই ছেলে ব্রুনোর কাছে নিজের পরিচয় প্রকাশ করে। সে বলে, তার নাম শমুয়েল এবং সে একজন ইহুদি। তারপর নতুন বন্ধু শমুয়েলের সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রতিদিন ব্রুনো গোপনে এখানে আসে। খুব তাড়াতাড়ি তারা ঘনিষ্ঠ বন্ধু হয়ে যায়।
শমুয়েলের সঙ্গে ব্রুনোর সম্পর্ক দিন দিন ঘনিষ্ঠতর হতে থাকে, কিন্তু নিজের দেখা ও শোনা নিয়ে বিভ্রান্তি বোধ করে ব্রুনো। কারণ তার নতুন শিক্ষক তাকে শিখিয়েছেন যে, সকল ইহুদি শয়তানের মতো। সে বুঝতে পারে না, কেন প্রতিবার যখন বাঁশি বেজে ওঠে তখন শমুয়েলের মুখের হাসি অদৃশ্য হয়ে যায় এবং তাড়াহুড়া করে সে চলে যায়।
একদিন আকস্মিক এক সুযোগে সহজ-সরল ব্রুনো ফ্যাসিবাদ সুন্দর করে তোলা সম্পর্কিত নির্মিত একটি ভিডিও দেখে। ভিডিও দেখে তার মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয়। সে ভাবতে থাকে, তারের জাল দিয়ে নির্মিত দেয়ালের পাশের ওই জায়গা আসলেই একটি সুন্দর জায়গা। সেখানে সিনেমা হল আছে, কফির দোকান আছে। সেখানে বাস করা লোকজন হাসিখুশিতে জীবনযাপন করেন।
তবে ব্রুনোর মা খুব দ্রুতই শিবিরের সত্য ঘটনা আবিষ্কার করেন। তিনি দারুণ ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি বিশ্বাস করতে চান না, নিজের প্রিয় স্বামী একজন হত্যাকারী। নিজের সন্তান এমন একটি পরিবেশে বড় হবে মা তা মেনে নিতে পারেন না। তাই তিনি ছেলেকে নিয়ে এখান থেকে অন্য জায়গায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |