|
এই কেন্দ্রে পাকা চলচ্চিত্র নির্মাতা ছাড়াও, আরো আছেন প্রশিক্ষণরত তরুণ-তরুণীরা। আতিয়া আশা করেন, ইরানের তরুণ প্রজন্ম ইরাকের চলচ্চিত্র শিল্পে আত্মনিয়োগ করতে পারবেন। কারণ বিশ্বের অন্যান্য দেশের জনগণের মনে ইরাকের রেখে যাওয়া ছাপ কেবল যুদ্ধ ও মৃত্যু ছাড়াও, মহান শিল্প থাকতে হবে।
তবে বর্তমানে ইরাকের কখনো ভালো কখনো মন্দ পরিস্থিতিতে চলচ্চিত্র তৈরি সহজ একটি ব্যাপার নয়। আসাল আত্তা নামে এ চলচ্চিত্র কেন্দ্রের একজন মেয়ে ইরানে বড় হয়েছেন। তিনি চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য বাগদাদে ফিরে এসেছেন। তাঁর জন্য নিরাপত্তা সমস্যা সবচেয়ে একটি কঠিন বিষয়। তিনি বলেন, 'আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় কঠিন হলো নিরাপত্তা পরিস্থিতি। তা ছাড়া, মাঝেমাঝে বিদ্যুত বন্ধ ও পানির সমস্যাও আমাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছে। ইরাকী জনগণ শান্তিপূর্ণ পরিবেশে জীবনযাপন করতে পারেন না। এখানে আবার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ তৈরি হবে বলে আমি আশা করি।'
ইরাকী জনগণের জন্য বর্তমানে বৃহত্তম হুমকি হলো চরমপন্থী সংগঠন আইএসআইএল। ইয়াহয়া সংবাদদাতাকে জানান, এখন তিনি দখলকৃত মোসুলের জনগণ সম্পর্কিত একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি আরো বলেন, 'আমার এই চলচ্চিত্র দু'জন ভাইয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত। চরমপন্থী সশস্ত্র যোদ্ধারা তাদের বাড়িতে প্রবেশ করে এবং তাদের বাবা-মাকে হত্যা করে। তারপর তারা বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় এবং গৃহহারা অবস্থায় দিনাপাত করে। তারা মোসুল থেকে আরো নিরাপদ জায়গায় পালিয়ে যেতে চায়। এই প্রক্রিয়ায় তারা বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে মিলিত হয়'।
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved. 16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040 |