Web bengali.cri.cn   
'হাজার বুদ্ধের দেশ' মিয়ানমারে 'চলুন বেড়িয়ে আসি'
  2014-02-06 15:33:10  cri

আলিম. কালাওয়ে প্রাসাদ মিয়ানমার বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্থাপত্য। এর ডিজাইন রূপকথার দুটি পবিত্র পাখির মতো। স্থাপত্যে মিয়ানমারের বিভিন্ন জাতির জীবনযাপনের দৃশ্য তুলে ধরা হয়েছে চিত্রকলার মাধ্যমে। স্থাপত্যের প্রধান রঙ সোনালী আর লাল, যা সুখ ও আনন্দের প্রতীক। প্রতিদিন রাত ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এখানে মিয়ানমার জাতির ঐতিহ্যবাহী নৃত্যের প্রদর্শনী হয়। বিভিন্ন দেশের পর্যটক এ প্রদর্শনী দেখতে খুবই পছন্দ করেন।

সুবর্ণা. আংসান বাজার ইয়াংগুনের কেন্দ্রীয় এলাকায় অবস্থিত। শহরের সবচে বড় শিল্পকর্মের বাজার এটি। মিয়ানমারের জেড পাথরের সুনাম আছে। এখানে নানা ধরনের মণি, জেড শিল্পকর্ম, কাঠে খোদাই শিল্পকর্ম, সোনার সুতার সূচিকর্ম আর চামড়ার দ্রব্যাদি পাওয়া যায়। এশিয়ার লোকেরা জেড দিয়ে তৈরি মালা ও চুড়ি বেশ পছন্দ করে। বিশেষ করে, চীনারা মনে করে জেড পাথর পবিত্র বস্তু এবং জেড পাথরের অলঙ্কার গায়ে পড়লে শরীর-স্বাস্থ্য ভালো থাকে, নিরাপদ থাকে। এ জন্য চীনা পর্যটকরা জেড পাথর দিয়ে তৈরী নানা ধরনের অলংকার কিনতে আগ্রহী হন। তবে মনে রাখতে হবে, জেড পাথর নানাধরনের হতে পারে। বাইরে দেখতে প্রায় একই রকম মনে হলেও, ভালো মানের জেড পাথরের দাম অনেক বেশি। সস্তা দামের জেড পাথর তেমন মানসম্মত নয়। ভালো মানের জেড পাথরের দ্রব্যের মূল্য কয়েক লাখ ইউয়ান হতে পারে।

আলিম. মিয়ানমারে জেড পাথর ও জেড পাথরের তৈরি অলঙ্কার পর্যটকদের আকর্ষণ করে থাকে। দেশটির হাজার হাজার প্যাগোডাও দেখার মতো। প্রাচীনকালে ভারত থেকে নিয়ে-আসা ঐতিহাসিক বুদ্ধ-মূর্তিও অনেকের কাছে আকর্ষণের বস্তু। ধার্মিক বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা এ মূর্তিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আগ্রহী হন। বস্তুত, এ দেশের বৌদ্ধ ধর্মের সংস্কৃতি বিভিন্ন দেশের বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি দারুণ আকর্ষণীয় ব্যাপার।

সুবর্ণা. মিয়ানমারের দর্শনীয় স্থান ও বৌদ্ধ ধর্ম পরিচয় দেয়ার পর এ দেশের খাবার সম্পর্কে কিছু তথ্য তুলে ধরি। মিয়ানমারে চাল উত্পন্ন হয়। এখানকার মানুষ সবসময় ভাত খায়। প্রতিদিন সকালে লোকেরা নারিকেল নুডলস, নারিকেল সিদ্ধ ভাত, ঠাণ্ডা নুডলস আর রাইস নুডলস খেতে পছন্দ করে। তারা নারিকেল, চিনি ও স্টিম চাল দিয়ে নানা ধরনের মিষ্টি তৈরী করে। মিয়ানমারের লোকরা দক্ষিণ চীনের লোকদের মতো নাস্তায় চা খেতে পছন্দ করে। চা দোকানে কফি ও দুধ-চা খাওয়ার পাশাপাশি তারা নানা ধরনের মিষ্টি ও পাউরুটিও খায়।

আলিম. মিয়ানমারের লোকদের লাঞ্চ ও ডিনারের খাবার হয় একটু ঝাল, টক ও সুগন্ধীযুক্ত। তাদের খাবার হয় ভাজা, রোস্ট বা সিদ্ধ। চিংড়ি মাছের সস, মরিচ ও শাকসবজি বা বাঁশের কোঁড় ভাতের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে তারা পছন্দ করে। তাদের খাবারের স্বাদ চীনের সিছুয়ান প্রদেশের মতো; খাবারে মরিচ-তেল থাকে। মুরগী, হাঁস, মাছ, চিংড়ি মাছের ডিশে তারা টমেটো ও অন্যান্য ফল মিশায় বিধায় খেতে টক-মিষ্টি-ঝাল লাগে।

সুবর্ণা. আচ্ছা, আপনার বর্ণনা শুনে আমার জিভে তো পানি এসে গেল। সময় পেলে আমিও এ সুন্দর দেশে বেড়াতে যাবো এবং পাহাড়ের নিবিড় বনের হোটেলে কয়েক দিন থেকে আসবো।

আলিম. অবশ্যই। তবে, এখন আমাদের অনুষ্ঠান শেষ করার সময় হয়েছে। সুপ্রিয় শ্রোতা, আশা করি আপনারাও সুবর্নার মতো মিয়ানমারে বেড়াতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত মনে মনে নিয়ে ফেলেছেন। হ্যা, সময়-সুযোগ পেলে ঘুরে আসুন হাজার বুদ্ধের দেশে। আপনাদের ভ্রমণ-পরিকল্পনা চলতে থাকুক; এই ফাঁকে আমরা বিদায় নিই। সবাই ভালো থাকুন, সুন্দর থাকুন; আগামী সপ্তাহে আবার কথা হবে। যাইচিয়ান।(সুবর্ণা/আলিম)


1 2
সংশ্লিষ্ট প্রতিবেদন
মন্তব্যের পাতা
ভিডিও চিত্র
সাক্ষাত্কার
চিঠিপত্র
Play Stop
© China Radio International.CRI. All Rights Reserved.
16A Shijingshan Road, Beijing, China. 100040